
মেজর সৈয়দ আবুবকর সিদ্দিক পিএসসি (অবঃ) ২৫ বছর পর মায়ের মত কাউকে দেখে চমকে গেলেন এওয়ার্ড গিভিং অনুষ্ঠানে
তিনি তার জীবনের গল্পে অনুভূতিগুলি সাজিয়েছেন এভাবে।
পুরস্কার দেয়া হবে । এওয়ার্ড গিভিং অনুষ্ঠান । ২৬ মে ২৫ সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ১০ টা । রাজধানীর মৌচাক এলাকায় একটি অভিজাত হোটেল । ‘স্কুল অব লিডারশিপ ‘ একটি ইউ এস বেইজড আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ( থিংক ট্যাংক )। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড: গোলাম রাব্বানী নয়ন বাঙ্গালী । আমি এই প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রধান সমন্বয়ক । এই প্রতিষ্ঠানটি শ্রেষ্ঠ থিংক ট্যাংক নির্বাচিত হয়েছে । ২৬ তারিখ দুপুরে আমাকে জানানো হলো – পুরস্কার গ্রহন করতে হবে । পূর্ব নির্ধারিত মিটিং শেষ করে এওয়ার্ড গিভিং অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য হোটেলে পৌঁছলাম । Excellence in Success -পুরস্কার ভেনু সাজিয়েছে জমকালো ভাবে । রঙিন পর্দায় ভেসে আসলেন – অভিনয় সেলিব্রেটি দিলারা জামান ।
আমার হৃদয় মন নেচে উঠলো । আহা ! একি ভাগ্য আমার – আমার মায়ের হুবহু চেহারা / কথা বার্তা -ভাব ভঙ্গি অবিকল আমার মা কুলসুম আরা (মরহুম ) মা আমার চলে গেছেন ২০০০ সালে । অভিনেত্রী দিলারা জামান কে নাটকে যতবার দেখেছি-ইচ্ছে হয়েছে তাঁর সাথে পরিচিত হয়ে মা বলে ডাকি । আমার মানষিক প্রস্তুতিতে আমি কল্পনার জগতে ভাসছিলাম । সহকর্মীদের সাথে বিষয়টি শেয়ার করেছি । তিনি আসলেন -অনেক নায়ক নায়িকা , গায়ক গায়িকা এবং বিভিন্ন সফল প্রতিষ্ঠানের সফল মানুষের ভিরে মা ছিলেন মধ্যমনি ।
দিলারা জামান পেলেন আজীবন সন্মাননা । দীর্ঘ সময় স্টেইজে দাঁড়িয়ে থেকে তিনি ক্লান্ত । তাই ভিআইপি সন্মুখ সারিতে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন । আমি ,ড: মিজান এবং মি. ফয়েজ আমাদের স্কুল অব লিডারশিপ এর এওয়ার্ড নিতে প্রস্তুত ।
আমি চঞ্চল শিশুর মতই মায়ের পাশে যাই এবং বসে বল্লাম – “আসসালামু আলাইকুম । মা – আমি আপনার ছেলে “কোন কালক্ষেপন না করে – তিনি সরাসরি আমার মাথায় হাত রাখলেন । আমার মায়ের মতই – বললেন, বাবু তোমার নাম কি ? দুচোখ বেয়ে জল আসলো – ২৫ বছরের মাকে না দেখার জল । মাগো ২৫ বছর পর আপনাকে পেলাম ।
আমি বললাম । অবাক হয়ে তিনি আমাকে দেখতে লাগলেন ।
স্কুল অব লিডারশিপ- এর এওয়ার্ড গ্রহণের জন্য ডাক আসলো । এওয়ার্ড গ্রহণ করে ফিরে এসে মায়ের পাশে বসে আনন্দে বিভোর ছবি নিলাম । মা আমার হাতের পর হাত রাখলেন । তিনি কি যে মায়া লাগাতে পারেন । আহা ।সে দিন আমি দুটি এওয়ার্ড পেলাম । মা” আমার জন্য বড় এওয়ার্ড । এখন মায়ের সাথে কথা হয় এবং দেখা হয় ।