ঢাকা ১২:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোনো গণমাধ্যম হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলেই নেওয়া হবে আইনি ব্যবস্থা

কোনো গণমাধ্যম ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অডিও সমপ্রচার ও প্রচার করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ধরনের কার্যকলাপ সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর গুরুতর লঙ্ঘন। গতকাল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং এক বিবৃতিতে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের টেলিভিশন, সংবাদ এবং অনলাইন আউটলেটগুলোতে ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত অপরাধী এবং গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত পলাতক আসামি আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনার অডিও সমপ্রচার এবং প্রচার ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের গুরুতর লঙ্ঘন। তাছাড়া গত বছরের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাবেক স্বৈরশাসকের ঘৃণামূলক বক্তব্য সমপ্রচার নিষিদ্ধ করেছে।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, কিছু গণমাধ্যম বৃহস্পতিবার আইন ও আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসকের একটি ভাষণ প্রচার করেছে, যেখানে তিনি মিথ্যা ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। আমরা এ ধরনের অপরাধমূলক প্রচারকর্মে জড়িত গণমাধ্যমের কর্মকর্তাদের সতর্ক করছি এবং দৃঢ়ভাবে জানাচ্ছি, শেখ হাসিনার বক্তব্য কেউ ভবিষ্যতে প্রকাশ করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আমাদের জাতির ইতিহাসের এ গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আমরা অপ্রয়োজনীয় বিভ্রান্তি তৈরির ঝুঁকি নিতে পারি না উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে শেখ হাসিনা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় শত শত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীকে গণহত্যার নির্দেশ দেয়ার মতো গুরুতর অভিযোগের পরে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং বর্তমানে তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচারাধীন রয়েছেন।

বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং একই সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ অনুযায়ী, যেকোনো ব্যক্তি বা সংগঠন যারা তাদের নেতাদের কার্যকলাপ বা বক্তব্য প্রচার, প্রকাশ বা সমপ্রচার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার বিধান রয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনার উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং এটা কেবল জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার জন্য কাজ করে। তাই তার বক্তব্য প্রচারের ক্ষেত্রে সতর্কতা এবং দায়িত্বশীলতা অবলম্বনের আহ্বান জানায় সরকার। এক্ষেত্রে বিধিনিষেধ অমান্যকারী যেকোনো সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশের আইনের অধীনে আইনি জবাবদিহির আওতায় পড়বে।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ন্যায়বিচার, জবাবদিহি এবং গণতান্ত্রিক অখণ্ডতার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশকে ভবিষ্যতের দিকে পরিচালিত করার জন্য কাজ করছে এবং জনগণ প্রথমবারের মতো সত্যিকার অর্থে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Gojnobi biplob

Popular Post

আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের এক কর্মকর্তাকে হেনস্তা

কোনো গণমাধ্যম হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলেই নেওয়া হবে আইনি ব্যবস্থা

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৭:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

কোনো গণমাধ্যম ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অডিও সমপ্রচার ও প্রচার করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ধরনের কার্যকলাপ সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর গুরুতর লঙ্ঘন। গতকাল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং এক বিবৃতিতে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের টেলিভিশন, সংবাদ এবং অনলাইন আউটলেটগুলোতে ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত অপরাধী এবং গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত পলাতক আসামি আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনার অডিও সমপ্রচার এবং প্রচার ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের গুরুতর লঙ্ঘন। তাছাড়া গত বছরের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাবেক স্বৈরশাসকের ঘৃণামূলক বক্তব্য সমপ্রচার নিষিদ্ধ করেছে।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, কিছু গণমাধ্যম বৃহস্পতিবার আইন ও আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসকের একটি ভাষণ প্রচার করেছে, যেখানে তিনি মিথ্যা ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। আমরা এ ধরনের অপরাধমূলক প্রচারকর্মে জড়িত গণমাধ্যমের কর্মকর্তাদের সতর্ক করছি এবং দৃঢ়ভাবে জানাচ্ছি, শেখ হাসিনার বক্তব্য কেউ ভবিষ্যতে প্রকাশ করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আমাদের জাতির ইতিহাসের এ গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আমরা অপ্রয়োজনীয় বিভ্রান্তি তৈরির ঝুঁকি নিতে পারি না উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে শেখ হাসিনা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় শত শত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীকে গণহত্যার নির্দেশ দেয়ার মতো গুরুতর অভিযোগের পরে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং বর্তমানে তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচারাধীন রয়েছেন।

বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং একই সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ অনুযায়ী, যেকোনো ব্যক্তি বা সংগঠন যারা তাদের নেতাদের কার্যকলাপ বা বক্তব্য প্রচার, প্রকাশ বা সমপ্রচার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার বিধান রয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনার উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং এটা কেবল জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার জন্য কাজ করে। তাই তার বক্তব্য প্রচারের ক্ষেত্রে সতর্কতা এবং দায়িত্বশীলতা অবলম্বনের আহ্বান জানায় সরকার। এক্ষেত্রে বিধিনিষেধ অমান্যকারী যেকোনো সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশের আইনের অধীনে আইনি জবাবদিহির আওতায় পড়বে।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ন্যায়বিচার, জবাবদিহি এবং গণতান্ত্রিক অখণ্ডতার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশকে ভবিষ্যতের দিকে পরিচালিত করার জন্য কাজ করছে এবং জনগণ প্রথমবারের মতো সত্যিকার অর্থে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।