ঢাকা ১২:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেত্রকোণার  দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা সিমান্ত দিয়ে আসছে ভারতীয় পন্য

ফাইল ছবিঃ

নেত্রকোণার  দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা সিমান্ত দিয়ে  ভারতীয় পন্য দেশে প্রবেশের যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের উত্তরে ভারতের মেঘালয় সীমানা ঘেষা জেলা নেত্রকোণা। ভারত থেকে প্রতিদিনেই বিভিন্ন পন্য এই দুই উপজেলা দিয়ে দেশের ভিতরে প্রবেশ করছে অহরহ। প্রায়ই বিজিবি, পুলিশ ও জনতার  হাতে আটক হচ্ছে বিভিন্ন পন্য।  গত ৪ জুন শেষ রাতে বারহাট্টা থানা পুলিশ  এলাকাবাসীর ফোনে  খবর পেয়ে প্রায় দুই কোটি টাকা মূলের ভারতীয় শাড়ি ও থান কাপড় আটক করে। গতকাল শনিবার ১৪ জুন রাতে আটপাড়া থানা পুলিশ দুজন চোরা কারবারিসহ প্রায় দুই লক্ষ টাকা মূল্যেও ভারতীয় বিভিন্ন ব্রেন্ডের জুস আটক করে।

কলমাকান্দা সীমান্ত দিয়ে শাড়ি কাপড়, থান কাপড়, কসমেটিক, চকলেট, জিরা, সাবান আর দূর্গাপুর সীমান্ত দিয়ে বেশীর ভাগ ভারতীয় মদ, চিনি, কসমেটিক প্রতিনিয়ত ডুকছে  জেলার ভিতরে । আর এই সব ভারতীয় পন্য নেত্রকোণা হয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ প্রান্তে। বেশীর ভাগ চোরাচালান পাচার হয়ে গেলেও যৎসামান্ন আটক হচ্ছে পুলিশ আর বিজিবির হাতে।

নেত্রকোণার সুশিল সমাজের একজন  জানায়, আমাদের জেলার কলমাকান্দা ও দূর্ঘাপুর ভারতের সীমানায় থাকায় খূব সহজেই চোরা কারবারিদের মালামাল  সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নেত্রকোণায় প্রবেশ করছে। আমি মনে করি পুলিশের সহযোগীতা আছে, না হয়তো তাদের উদাসীনতা কাজ করছে। যদি পন্য আসতে পারে তাহলে অস্ত্রের চালান ও আসতে পারে। আসরা অরক্ষিত, এই দুই থানার পুলিশ প্রশাসনের কারণে। চোরা কারবারিদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার লেনদেনের মাধ্যমেই ঘটছে এসব, তা না হলে সম্ভব হত না।

কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ লুৎফর রহমান বলেন, চোরা চালানের ব্যাপারে আমরা খুবই সজাগ। আমার থানা এলাকাদিয়ে এ সব পন্য যায়না। প্রতিনিয়ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

শাড়ি কাপড়, চিনি, কসমেটিকের যে কয়েকটি চোরাচালান ধরা পড়েছে চোরা কারবারিরা বলছে তারা কলমাকান্দা থেকেই এ সব পন্য কিনে এনেছেন।

জনগণের প্রশ্ন, রাতে রাস্তায়  পুলিশের চৌকি আর নজরধারী থাকার পরেও কিভাবে পাচায় হয় ভারতীয় পন্য। হয়তো রয়েছে কোন ঐশ^রিক কারণ।

নাম প্রকাশ অনিচাছুক একজন আইনজীবি বলেন, থানা এলাকায় কে ভাল কে মন্দ একমাত্র পুলিশ ছাড়া কেউ ভাল জানেনা। সীমান্ত থানা এলাকায় কে বা কারা চোরা কারবারির সাথে জরিত তা খুব ভাল জানে পুলিশ। অনৈতিক ভাবে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হওয়ার আশায় তারা চোখ বুঝে থাকে, এটাই পুলিশের দোষ।

কলমাকান্দা ও দূর্গাপুর থানার পুলিশ প্রশাসন কিছুদিন পর পর পরিবর্তন না করলে তারাও অপরাধের সাথে জরিত হয়ে পড়ে।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Gojnobi biplob

Popular Post

আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের এক কর্মকর্তাকে হেনস্তা

নেত্রকোণার  দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা সিমান্ত দিয়ে আসছে ভারতীয় পন্য

প্রকাশের সময় : ১০:০৪:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

ফাইল ছবিঃ

নেত্রকোণার  দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা সিমান্ত দিয়ে  ভারতীয় পন্য দেশে প্রবেশের যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের উত্তরে ভারতের মেঘালয় সীমানা ঘেষা জেলা নেত্রকোণা। ভারত থেকে প্রতিদিনেই বিভিন্ন পন্য এই দুই উপজেলা দিয়ে দেশের ভিতরে প্রবেশ করছে অহরহ। প্রায়ই বিজিবি, পুলিশ ও জনতার  হাতে আটক হচ্ছে বিভিন্ন পন্য।  গত ৪ জুন শেষ রাতে বারহাট্টা থানা পুলিশ  এলাকাবাসীর ফোনে  খবর পেয়ে প্রায় দুই কোটি টাকা মূলের ভারতীয় শাড়ি ও থান কাপড় আটক করে। গতকাল শনিবার ১৪ জুন রাতে আটপাড়া থানা পুলিশ দুজন চোরা কারবারিসহ প্রায় দুই লক্ষ টাকা মূল্যেও ভারতীয় বিভিন্ন ব্রেন্ডের জুস আটক করে।

কলমাকান্দা সীমান্ত দিয়ে শাড়ি কাপড়, থান কাপড়, কসমেটিক, চকলেট, জিরা, সাবান আর দূর্গাপুর সীমান্ত দিয়ে বেশীর ভাগ ভারতীয় মদ, চিনি, কসমেটিক প্রতিনিয়ত ডুকছে  জেলার ভিতরে । আর এই সব ভারতীয় পন্য নেত্রকোণা হয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ প্রান্তে। বেশীর ভাগ চোরাচালান পাচার হয়ে গেলেও যৎসামান্ন আটক হচ্ছে পুলিশ আর বিজিবির হাতে।

নেত্রকোণার সুশিল সমাজের একজন  জানায়, আমাদের জেলার কলমাকান্দা ও দূর্ঘাপুর ভারতের সীমানায় থাকায় খূব সহজেই চোরা কারবারিদের মালামাল  সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নেত্রকোণায় প্রবেশ করছে। আমি মনে করি পুলিশের সহযোগীতা আছে, না হয়তো তাদের উদাসীনতা কাজ করছে। যদি পন্য আসতে পারে তাহলে অস্ত্রের চালান ও আসতে পারে। আসরা অরক্ষিত, এই দুই থানার পুলিশ প্রশাসনের কারণে। চোরা কারবারিদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার লেনদেনের মাধ্যমেই ঘটছে এসব, তা না হলে সম্ভব হত না।

কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ লুৎফর রহমান বলেন, চোরা চালানের ব্যাপারে আমরা খুবই সজাগ। আমার থানা এলাকাদিয়ে এ সব পন্য যায়না। প্রতিনিয়ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

শাড়ি কাপড়, চিনি, কসমেটিকের যে কয়েকটি চোরাচালান ধরা পড়েছে চোরা কারবারিরা বলছে তারা কলমাকান্দা থেকেই এ সব পন্য কিনে এনেছেন।

জনগণের প্রশ্ন, রাতে রাস্তায়  পুলিশের চৌকি আর নজরধারী থাকার পরেও কিভাবে পাচায় হয় ভারতীয় পন্য। হয়তো রয়েছে কোন ঐশ^রিক কারণ।

নাম প্রকাশ অনিচাছুক একজন আইনজীবি বলেন, থানা এলাকায় কে ভাল কে মন্দ একমাত্র পুলিশ ছাড়া কেউ ভাল জানেনা। সীমান্ত থানা এলাকায় কে বা কারা চোরা কারবারির সাথে জরিত তা খুব ভাল জানে পুলিশ। অনৈতিক ভাবে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হওয়ার আশায় তারা চোখ বুঝে থাকে, এটাই পুলিশের দোষ।

কলমাকান্দা ও দূর্গাপুর থানার পুলিশ প্রশাসন কিছুদিন পর পর পরিবর্তন না করলে তারাও অপরাধের সাথে জরিত হয়ে পড়ে।