ঢাকা ১১:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোতে আটকে গেল গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামাসকে উৎখাত আর তাদের কবল থেকে জিম্মি উদ্ধারের নামে ইসরায়েলের নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চলছেই। প্রতিদিনই তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা; দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে লাশের মিছিল। নিরাপদ বলে কোনো স্থান বাকি নেই গাজাবাসীর জন্য। একদিকে আকাশ ও স্থল অভিযান, অন্যদিকে ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ; গাজা যেন সাক্ষাৎ নরক হয়ে উঠেছে তার বাসিন্দাদের জন্য।

এ অবস্থায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত এ ভূখণ্ডটিতে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং অবাধ মানবিক সহায়তা প্রবেশের আহ্বান জানিয়ে আসছেন বিশ্বনেতারা। এরকম একটি প্রস্তাবের ওপর সবশেষ বুধবার (৪ জুন) ভোটাভুটিও হয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে। তবে, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক সহায়তা প্রবেশের সবশেষ বড় এ উদ্যোগও ভেস্তে গেল যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর কারণে। খবর রয়টার্সের।

স্থানীয় সময় বুধবার (৪ জুন) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রস্তাবটি নিয়ে ভোটাভুটি হয়। এতে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া নিরাপত্তা পরিষদের অন্য সব সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। গত নভেম্বরের পর থেকে ১৫ সদস্যের এই সংস্থার এটিই ছিল প্রথম ভোট। নভেম্বরেও যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আনা একটি প্রস্তাব আটকে দেয় ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

নতুন প্রস্তাবে সব পক্ষের মাধ্যমে গাজায় অবিলম্বে নিঃশর্ত এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতি দাবি করা হয়। পাশাপাশি হামাস এবং অন্যান্য গোষ্ঠীর হাতে আটক সব জিম্মিকে অবিলম্বে মর্যাদাপূর্ণ এবং নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ারও আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ‘বিপর্যয়কর মানবিক পরিস্থিতি’ তুলে ধরে প্রস্তাবটিতে গাজায় মানবিক সাহায্য প্রবেশের ওপর থেকে সমস্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারেরও দাবি করা হয়েছিল।

ভেটোর ব্যাপারে নিরাপত্তা পরিষদে মার্কিন প্রতিনিধি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন কোনো প্রস্তাবে সম্মতি দেবে না যাতে ইসরায়েলে হামাসের হামলার নিন্দা জানানো এবং সংগঠনটিকে নিরস্ত্র করে গাজা ত্যাগ করতে বলা না হয়। ভোটাভুটি শুরুর আগেই জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ডরোথি শিয়া ১৫ সদস্যের কাউন্সিলের ১০টি দেশের উপস্থাপিত প্রস্তাবের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতার কথা স্পষ্ট করে দেন।

তিনি বলেন, এই সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র খুব স্পষ্টভাবে জানিয়ে আসছে যে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Gojnobi biplob

Popular Post

মাহিন হত্যা মামলায় আরো এক আসামি গ্রেফতার হলো ফটিকছড়িতে

একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোতে আটকে গেল গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ

প্রকাশের সময় : ১১:৪১:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামাসকে উৎখাত আর তাদের কবল থেকে জিম্মি উদ্ধারের নামে ইসরায়েলের নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চলছেই। প্রতিদিনই তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা; দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে লাশের মিছিল। নিরাপদ বলে কোনো স্থান বাকি নেই গাজাবাসীর জন্য। একদিকে আকাশ ও স্থল অভিযান, অন্যদিকে ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ; গাজা যেন সাক্ষাৎ নরক হয়ে উঠেছে তার বাসিন্দাদের জন্য।

এ অবস্থায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত এ ভূখণ্ডটিতে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং অবাধ মানবিক সহায়তা প্রবেশের আহ্বান জানিয়ে আসছেন বিশ্বনেতারা। এরকম একটি প্রস্তাবের ওপর সবশেষ বুধবার (৪ জুন) ভোটাভুটিও হয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে। তবে, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক সহায়তা প্রবেশের সবশেষ বড় এ উদ্যোগও ভেস্তে গেল যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর কারণে। খবর রয়টার্সের।

স্থানীয় সময় বুধবার (৪ জুন) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রস্তাবটি নিয়ে ভোটাভুটি হয়। এতে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া নিরাপত্তা পরিষদের অন্য সব সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। গত নভেম্বরের পর থেকে ১৫ সদস্যের এই সংস্থার এটিই ছিল প্রথম ভোট। নভেম্বরেও যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আনা একটি প্রস্তাব আটকে দেয় ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

নতুন প্রস্তাবে সব পক্ষের মাধ্যমে গাজায় অবিলম্বে নিঃশর্ত এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতি দাবি করা হয়। পাশাপাশি হামাস এবং অন্যান্য গোষ্ঠীর হাতে আটক সব জিম্মিকে অবিলম্বে মর্যাদাপূর্ণ এবং নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ারও আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ‘বিপর্যয়কর মানবিক পরিস্থিতি’ তুলে ধরে প্রস্তাবটিতে গাজায় মানবিক সাহায্য প্রবেশের ওপর থেকে সমস্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারেরও দাবি করা হয়েছিল।

ভেটোর ব্যাপারে নিরাপত্তা পরিষদে মার্কিন প্রতিনিধি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন কোনো প্রস্তাবে সম্মতি দেবে না যাতে ইসরায়েলে হামাসের হামলার নিন্দা জানানো এবং সংগঠনটিকে নিরস্ত্র করে গাজা ত্যাগ করতে বলা না হয়। ভোটাভুটি শুরুর আগেই জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ডরোথি শিয়া ১৫ সদস্যের কাউন্সিলের ১০টি দেশের উপস্থাপিত প্রস্তাবের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতার কথা স্পষ্ট করে দেন।

তিনি বলেন, এই সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র খুব স্পষ্টভাবে জানিয়ে আসছে যে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।