ঢাকা ০৪:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উপদেষ্টাদের কষ্ট করতে হবে না সেফ এক্সিট খুঁজতে : রুমিন ফারহানা

ছবি সংগৃহিত

বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেছেন, ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন দিতে না পারলে প্রধান উপদেষ্টা চলে যাবেন এবং অনেক উপদেষ্টা বিদেশে তাদের আরাম আয়েশের জীবনে ফিরে যাবেন। দেশ অনিশ্চয়তায় পড়বে। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগও সক্রিয় হচ্ছে রাজপথে। অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার কারণেই আওয়ামী লীগ আবারও রাজনীতিতে ফেরার সাহস পাচ্ছে।

সম্প্রতি এক টকশোতে তিনি এসব কথা বলেন। অন্তর্বর্তী সরকার প্রসঙ্গে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছেন ফেব্রুয়ারির পর উনি আর একদিনও থাকতে চান না এবং ফেব্রুয়ারির মধ্যে যদি পলিটিক্যাল পার্টিগুলো একটা নির্বাচনের ফায়সালা চূড়ান্ত করতে না পারে তাহলে সম্ভবত তিনি ফেব্রুয়ারির পর চলে যাবেন।

এনসিপি নেতা নাহিদ ইসলামের কথাটা আজকে মেলান, উপদেষ্টারা অনেকেই সেফ এক্সিট খুঁজছে এবং আমার মনে হয় সেফ এক্সিট খুঁজতে উপদেষ্টাদের খুব কষ্ট করতে হবে না। কারণ ম্যাক্সিমাম উপদেষ্টা ডুয়েল সিটিজেনশিপ নিয়ে চলছেন। সো তাদের একটা বড় অংশই দেশের বাইরে অটোমেটিক্যালি চলে যেতে পারবেন। শুধু দেশের বাইরে তো না বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দেশগুলোতেই তারা আবারও ফিরে যাবেন।

সো এজন্য তাদের খুব একটা এক্সিট রুট খুঁজতে খুব কষ্ট করতে হবে তেমনটিও না। সুতরাং, আমরা যদি সাদা চোখে এই ইনফরমেশনগুলো দেখি তাহলে এটা সহজেই অনুমেয় যে যদি পলিটিক্যাল পার্টিগুলো একটা নির্বাচন আয়োজন করতে ব্যর্থ হয় ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাহলে বাংলাদেশ একটা গভীর অনিশ্চয়তায় পড়বে।’

আওয়ামী লীগের মিছিল বড় হচ্ছে জানিয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মিছিল আগের চেয়ে অনেক বেশি ঘন ঘন হচ্ছে। আওয়ামী লীগের মিছিল ঢাকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে হতে দেখছি আমরা এবং মিছিলের দৈর্ঘ্য প্রস্থ যথেষ্ট বড়। সুতরাং ঘরের পাশে আওয়ামী লীগ যে হাত-পা গুটিয়ে বসে আছে তেমনটিও নয়।

শুরুর দিকে আমরা যেমন তাদের মধ্যে কিছুটা হতবিহ্বল ভাব বা কিছুটা হতচকিত অবস্থা লক্ষ্য করেছিলাম, এই সরকারের ক্রমাগত উপর্যপরি ব্যর্থতা তাদেরকে সেই সাহস দিয়েছে যাতে তারা কোনো দুঃখ প্রকাশ না করে কোনোরকম কোনো অনুশোচনা না করে আবারো বীরদর্পে পলিটিক্সে আসবার কথা চিন্তা করে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Gojnobi biplob

Popular Post

বিয়ে বাড়িতে গিয়ে পুকুরে ডুবে তিন শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হবিগঞ্জে

উপদেষ্টাদের কষ্ট করতে হবে না সেফ এক্সিট খুঁজতে : রুমিন ফারহানা

প্রকাশের সময় : ০১:৩১:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

ছবি সংগৃহিত

বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেছেন, ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন দিতে না পারলে প্রধান উপদেষ্টা চলে যাবেন এবং অনেক উপদেষ্টা বিদেশে তাদের আরাম আয়েশের জীবনে ফিরে যাবেন। দেশ অনিশ্চয়তায় পড়বে। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগও সক্রিয় হচ্ছে রাজপথে। অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার কারণেই আওয়ামী লীগ আবারও রাজনীতিতে ফেরার সাহস পাচ্ছে।

সম্প্রতি এক টকশোতে তিনি এসব কথা বলেন। অন্তর্বর্তী সরকার প্রসঙ্গে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছেন ফেব্রুয়ারির পর উনি আর একদিনও থাকতে চান না এবং ফেব্রুয়ারির মধ্যে যদি পলিটিক্যাল পার্টিগুলো একটা নির্বাচনের ফায়সালা চূড়ান্ত করতে না পারে তাহলে সম্ভবত তিনি ফেব্রুয়ারির পর চলে যাবেন।

এনসিপি নেতা নাহিদ ইসলামের কথাটা আজকে মেলান, উপদেষ্টারা অনেকেই সেফ এক্সিট খুঁজছে এবং আমার মনে হয় সেফ এক্সিট খুঁজতে উপদেষ্টাদের খুব কষ্ট করতে হবে না। কারণ ম্যাক্সিমাম উপদেষ্টা ডুয়েল সিটিজেনশিপ নিয়ে চলছেন। সো তাদের একটা বড় অংশই দেশের বাইরে অটোমেটিক্যালি চলে যেতে পারবেন। শুধু দেশের বাইরে তো না বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দেশগুলোতেই তারা আবারও ফিরে যাবেন।

সো এজন্য তাদের খুব একটা এক্সিট রুট খুঁজতে খুব কষ্ট করতে হবে তেমনটিও না। সুতরাং, আমরা যদি সাদা চোখে এই ইনফরমেশনগুলো দেখি তাহলে এটা সহজেই অনুমেয় যে যদি পলিটিক্যাল পার্টিগুলো একটা নির্বাচন আয়োজন করতে ব্যর্থ হয় ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাহলে বাংলাদেশ একটা গভীর অনিশ্চয়তায় পড়বে।’

আওয়ামী লীগের মিছিল বড় হচ্ছে জানিয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মিছিল আগের চেয়ে অনেক বেশি ঘন ঘন হচ্ছে। আওয়ামী লীগের মিছিল ঢাকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে হতে দেখছি আমরা এবং মিছিলের দৈর্ঘ্য প্রস্থ যথেষ্ট বড়। সুতরাং ঘরের পাশে আওয়ামী লীগ যে হাত-পা গুটিয়ে বসে আছে তেমনটিও নয়।

শুরুর দিকে আমরা যেমন তাদের মধ্যে কিছুটা হতবিহ্বল ভাব বা কিছুটা হতচকিত অবস্থা লক্ষ্য করেছিলাম, এই সরকারের ক্রমাগত উপর্যপরি ব্যর্থতা তাদেরকে সেই সাহস দিয়েছে যাতে তারা কোনো দুঃখ প্রকাশ না করে কোনোরকম কোনো অনুশোচনা না করে আবারো বীরদর্পে পলিটিক্সে আসবার কথা চিন্তা করে।