ঢাকা ০৩:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৯ শিক্ষকসহ ৩৯ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ , নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে

ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ জন শিক্ষক ও ২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কমিটি এই নোটিশ দেয়। তাদের কাছে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সদস্যদের সমন্বয়ে তিনটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। প্রশাসনিক অনিয়ম ও দুর্নীতিসংক্রান্ত তদন্ত কমিটি, একাডেমিক অনিয়ম ও দুর্নীতিসংক্রান্ত তদন্ত কমিটি ও বিভিন্ন সময়ে ক্যাম্পাসে সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনার তথ্য যাচাই-বাছাইসংক্রান্ত তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এসব কমিটির প্রধান হিসেবে আছেন সিন্ডিকেট সদস্য মাহবুবুর রহমান, জাকির হোসেন খান ও অধ্যাপক আকতার হোসেন মজুমদার। এসব কমিটির পক্ষ থেকে ১৯ জন শিক্ষক ও ২০ জন কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, শোকজ নোটিশ পাওয়া শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন ফোকলোর বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মুহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ, থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মুনফিজুর রহমান (হিরক মুশফিক), সংগীত বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহিদুল কবীর, ড. মুশাররাত শবনম, থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নুসরাত শারমিন তানিয়া, একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, চারুকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নগরবাসী বর্মণ (পার্থ), একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাসুম হালদার, দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. তারিকুল ইসলাম, একই বিভাগের প্রভাষক মো. তরিকুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মার্জিয়া আক্তার, হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাসুদ রানা, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোল্লা আমিনুল ইসলাম, হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অন্তরা মাহবুব, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহাবুদ্দীন, একই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাহবুব হোসেন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সেলিম আল মামুন, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারজানা খানম ও ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তুহিন অবন্ত।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই শোকজ নোটিশের মাধ্যমে শিক্ষকদের কাছে অভিযোগের বিষয়ে তাদের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সন্তোষজনক উত্তর না পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, সিন্ডিকেট গঠিত তিনটি তদন্ত কমিটি বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং প্রাথমিকভাবে তথ্য–প্রমাণ মিলেছে, তাদের শোকজ করা হয়েছে। তাদের জবাব নেওয়ার পর এবং চূড়ান্ত প্রতিবেদন আমাদের কাছে এলে বিস্তারিত বলা যাবে। এখন তদন্ত কমিটিতেই বিষয়গুলো আছে। তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

 

 

 

 

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Gojnobi biplob

Popular Post

গাইবান্ধায় মাদক কারবারি গ্রেফতার

১৯ শিক্ষকসহ ৩৯ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ , নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে

প্রকাশের সময় : ০৪:০৬:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ জন শিক্ষক ও ২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কমিটি এই নোটিশ দেয়। তাদের কাছে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সদস্যদের সমন্বয়ে তিনটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। প্রশাসনিক অনিয়ম ও দুর্নীতিসংক্রান্ত তদন্ত কমিটি, একাডেমিক অনিয়ম ও দুর্নীতিসংক্রান্ত তদন্ত কমিটি ও বিভিন্ন সময়ে ক্যাম্পাসে সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনার তথ্য যাচাই-বাছাইসংক্রান্ত তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এসব কমিটির প্রধান হিসেবে আছেন সিন্ডিকেট সদস্য মাহবুবুর রহমান, জাকির হোসেন খান ও অধ্যাপক আকতার হোসেন মজুমদার। এসব কমিটির পক্ষ থেকে ১৯ জন শিক্ষক ও ২০ জন কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, শোকজ নোটিশ পাওয়া শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন ফোকলোর বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মুহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ, থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মুনফিজুর রহমান (হিরক মুশফিক), সংগীত বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহিদুল কবীর, ড. মুশাররাত শবনম, থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নুসরাত শারমিন তানিয়া, একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, চারুকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নগরবাসী বর্মণ (পার্থ), একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাসুম হালদার, দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. তারিকুল ইসলাম, একই বিভাগের প্রভাষক মো. তরিকুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মার্জিয়া আক্তার, হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাসুদ রানা, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোল্লা আমিনুল ইসলাম, হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অন্তরা মাহবুব, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহাবুদ্দীন, একই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাহবুব হোসেন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সেলিম আল মামুন, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারজানা খানম ও ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তুহিন অবন্ত।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই শোকজ নোটিশের মাধ্যমে শিক্ষকদের কাছে অভিযোগের বিষয়ে তাদের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সন্তোষজনক উত্তর না পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, সিন্ডিকেট গঠিত তিনটি তদন্ত কমিটি বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং প্রাথমিকভাবে তথ্য–প্রমাণ মিলেছে, তাদের শোকজ করা হয়েছে। তাদের জবাব নেওয়ার পর এবং চূড়ান্ত প্রতিবেদন আমাদের কাছে এলে বিস্তারিত বলা যাবে। এখন তদন্ত কমিটিতেই বিষয়গুলো আছে। তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।