ঢাকা ০৪:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যে পদ্ধতিতে হবে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের বিধি সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। নিয়োগের জন্য আর থাকছে না নিবন্ধন পরীক্ষা। এ উদ্যোগ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

এই বিধি জারি হলে সরাসরি শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে এনটিআরসিএ। নতুন বিধি অনুযায়ী, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) বিশেষ বিসিএসের আদলে হবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ।

বর্তমানে এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ হয়। প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে নিবন্ধন পরীক্ষা নেয়।

এরপর গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগের সুপারিশ করে। ফলে প্রার্থীদের দু’বার আবেদন করতে হয়। এছাড়া নিবন্ধন সনদ অর্জন করতে অনেকের বয়স শেষ হয়ে যায়। পরে তারা আর গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারেন না।

এসব অসামঞ্জস্য দূর করতে এনটিআরসিএ’র শিক্ষক নিয়োগের বিধি সংশোধন করা হচ্ছে।

সংশোধিত বিধিতে শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তির পরিবর্তে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির উল্লেখ করা হবে। এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের দিন থেকে প্রার্থীর বয়স হিসাব করা হবে। নতুন বিধিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্যপদের সংখ্যার দ্বিগুণ প্রার্থীকে ভাইভার জন্য ডাকা হবে। অর্থাৎ শূন্যপদের সংখ্যা ৫০ হাজার হলে ভাইভায় এক লাখ প্রার্থী অংশগ্রহণ করবেন।

যত পদ শূন্য থাকবে, মৌখিক পরীক্ষায় তার চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি প্রার্থীকে চূড়ান্তভাবে পাস করানো হবে, যাতে কেউ যোগদান না করলে অপেক্ষমাণ থাকা প্রার্থীদের মধ্য থেকে নিয়োগের সুপারিশ করা যায়।

পরীক্ষাপদ্ধতি নিয়ে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, “এখন শিক্ষক নিবন্ধনে যেভাবে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা হয়, সেভাবে আর হবে না। অনেকটা বিশেষ বিসিএসের মতো হবে। দেখা গেল, ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে কিছুটা এমসিকিউ, আবার কিছুটা লিখিত থাকছে। আর সব শেষে ভাইভা। যা প্রার্থীদের জন্যও সহজ হবে। যখন বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে তখন থেকেই বয়স গণনা করা হবে। এতে আর বয়সের বাধাও থাকবে না। আগামী ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনের পরিবর্তে নতুন পদ্ধতিতে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।”

সংশোধিত বিধিটি আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য আছে। সেখান থেকে এলেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় তা জারি করবে। এই বিধি জারি হলে পিএসসির আদলে সরাসরি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হবে বলে জানিয়েছেন এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, “এই বিধি জারি হলে পিএসসির আদলে সরাসরি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হবে। যত শূন্যপদ, তত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। প্রার্থীদেরও নিবন্ধন পাস করে আর বসে থাকতে হবে না।”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Gojnobi biplob

Popular Post

বিয়ে বাড়িতে গিয়ে পুকুরে ডুবে তিন শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হবিগঞ্জে

যে পদ্ধতিতে হবে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা

প্রকাশের সময় : ১২:১১:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের বিধি সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। নিয়োগের জন্য আর থাকছে না নিবন্ধন পরীক্ষা। এ উদ্যোগ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

এই বিধি জারি হলে সরাসরি শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে এনটিআরসিএ। নতুন বিধি অনুযায়ী, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) বিশেষ বিসিএসের আদলে হবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ।

বর্তমানে এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ হয়। প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে নিবন্ধন পরীক্ষা নেয়।

এরপর গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগের সুপারিশ করে। ফলে প্রার্থীদের দু’বার আবেদন করতে হয়। এছাড়া নিবন্ধন সনদ অর্জন করতে অনেকের বয়স শেষ হয়ে যায়। পরে তারা আর গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারেন না।

এসব অসামঞ্জস্য দূর করতে এনটিআরসিএ’র শিক্ষক নিয়োগের বিধি সংশোধন করা হচ্ছে।

সংশোধিত বিধিতে শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তির পরিবর্তে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির উল্লেখ করা হবে। এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের দিন থেকে প্রার্থীর বয়স হিসাব করা হবে। নতুন বিধিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্যপদের সংখ্যার দ্বিগুণ প্রার্থীকে ভাইভার জন্য ডাকা হবে। অর্থাৎ শূন্যপদের সংখ্যা ৫০ হাজার হলে ভাইভায় এক লাখ প্রার্থী অংশগ্রহণ করবেন।

যত পদ শূন্য থাকবে, মৌখিক পরীক্ষায় তার চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি প্রার্থীকে চূড়ান্তভাবে পাস করানো হবে, যাতে কেউ যোগদান না করলে অপেক্ষমাণ থাকা প্রার্থীদের মধ্য থেকে নিয়োগের সুপারিশ করা যায়।

পরীক্ষাপদ্ধতি নিয়ে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, “এখন শিক্ষক নিবন্ধনে যেভাবে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা হয়, সেভাবে আর হবে না। অনেকটা বিশেষ বিসিএসের মতো হবে। দেখা গেল, ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে কিছুটা এমসিকিউ, আবার কিছুটা লিখিত থাকছে। আর সব শেষে ভাইভা। যা প্রার্থীদের জন্যও সহজ হবে। যখন বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে তখন থেকেই বয়স গণনা করা হবে। এতে আর বয়সের বাধাও থাকবে না। আগামী ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনের পরিবর্তে নতুন পদ্ধতিতে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।”

সংশোধিত বিধিটি আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য আছে। সেখান থেকে এলেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় তা জারি করবে। এই বিধি জারি হলে পিএসসির আদলে সরাসরি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হবে বলে জানিয়েছেন এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, “এই বিধি জারি হলে পিএসসির আদলে সরাসরি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হবে। যত শূন্যপদ, তত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। প্রার্থীদেরও নিবন্ধন পাস করে আর বসে থাকতে হবে না।”