নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলায় টিআর ও কাবিটা প্রকল্পের বরাদ্বের টাকা কাজ না করে, আংশিক কাজ ও একই অর্থ বছর এক প্রকল্পে দুই বার টাকা বরাদ্ব দিয়ে টাকা আত্নসাধের অভিযোগ উঠেছে পিআইসি কমিটি ও প্রকল্প বাস্তবায় কর্মকর্তার বিরুদ্বে।

গত ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছওে টি আর প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে স্বরমু ুশিয়া ইউনিয়নের আগবাাঁশাটি আবুল মনসুরের বাড়ির পাশে রাস্তা মেরামতে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা বরাদ্বে আংশিক কাজ, তেলিগাতী ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়নে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকার কোন কাজ করা হয়নি, দুয়জ ইউনিয়নের শ্রীরামপাশা খুরশেদ আলীর পুকুর পাড় হইতে মাজহারুলের জমি পর্যন্তরাস্তা মেরামতে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকার আংশিক কাজ। বানিয়াজান ইউনিয়নের গাভুরগাছ মেইন সিসিরাস্তা হইতে ফরিগাং বিরপাড় পর্যন্ত রাস্তা মেরামতে ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকার কাজে আংশিক কাজ। তেলিগাতীইউ নিয়নে তেলিগাতী হইতে বাদেবড়তলী সুভাসের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামতে ৭০ হাজার টাকা বরাদ্বে আংশিক কাজ।

২০২৩-২০২৪ অর্থ বছওে দ্বিতীয় পর্যয়ে বানিয়াজান ইউনিয়নে বাঘরা নদীর পাড়ে মনুমিয়ার ক্ষেত হইতে বাবুলের ক্ষেত পর্যন্ত রেড়ী বাঁধসংস্কারে ২ লক্ষ ৫ হাজার টাক াবরাদ্বে আংশিক কাজ। সুখারী ইউনিয়নে নুরু ইসলামের পুকুরের কোণা হইতে রাসেলের বাড়ির সামনে চৌরাস্তাপর্যন্ত মেরামতেরজন্য বরাদ্ব ২ লক্ষ ২০ হাজারটাকা, যৎ সামান্য কাজ কওে বাকি টাকা আত্নসাধ হয়েছে।

একই অর্থ বছওে ১ম ও ২য়পর্যয়ে বানিয়াজান ইউনিয়নে একই টি আর প্রকল্পে উপজেলা পরিষদেও টিনসেড বিল্ডিং উন্নয়নে দুইবারে ২ লক্ষ ৫৬ হাজার ৩১৩ টাকা বরাদ্বে আংশিক কাজ। একই অর্থবছরে টিআর প্রকল্পের ১ মপর্যায় তেলিগাতী ইউনিয়নের রামসিদ্ব সরকারিপ্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাঠে মাঠি ভরাট ১ লক্ষ টাকা বরাদ্ব থাকলেও কাজ না করে আত্নসাধ।
২০২৪-২০২৫ অর্থ বছওে আবার একই প্রকল্পে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্বে আংশি ককাজ।

তেলিগাতী ইউনিয়নের মঙ্গলসিদ্ব রাস্তা হইতে বাদে বড়তলী দ্বীন ইসলামের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তায় বরাদ্বে ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার কোন কাজ না করেই টাকা আত্নসাধ কর াহয়েছে। এ বছর রাস্তাটির বেহাল দশায় গ্রামবাসীর উদ্যোগে মেরামত করা হয়েছে।
তেলিগাতী ইউনিয়নের টেংগা গ্রামে হারেছ মিয়ার বাড়ি হইতে খেলার মাঠ পর্যন্ত রাস্তা মেরামতে বরাদ্ব ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার মধ্যে ১ টাকার ও কাজ করা হয়নি।

২৩-২৪ অর্থ বছওে টিআর প্রকল্পের প্রথম কিস্তিতে ২০ লক্ষ ও সংসদ সদস্যর স্প্রেশাল বরাদ্বের ৯ লাখ ২০হাজার । মোট ২৯ লক্ষ ২০ হাজার টাক াটিআর প্রকল্পের টাকা ব্যয় করে আওয়ামী লীগ রাজনৈতি ককার্যলয় তৈরীকর াহয়েছে। যা সম্পুর্ন নিয়ম নীতির বাহিরে।
আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক কার্যলয় তৈরীতে মাটি ভরাটে বরাদ্ব ৩ লাখ ৬০ হাজারটাকা। আসবাবপত্র সরবরাহ বাবদ বরাদ্ব ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। গ্রেড বীম নির্মাণ বরাদ্ব ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ফ্লোওে টাইল্স স্থাপনে বরাদ্বরাদ্ব ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ছাঁদ দ¦ারা উন্নয়ন বাবদ বরাদ্ব৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কেচি গেইট, সাটার, দরজা-জানালা বাবদ বরাদ্ব ২ লাখ ।

ওয়াসরুম নির্মাণ বরাদ্ব ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ওয়াসরুমের টাইস ক্রয় এবং সাবমারসিবল স্থাপন বাবদ বরাদ্ব ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসের টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক নির্মাণ বাবদ বরাদ্ব৩ লাখ ৩০ হাজারটাকা।
২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে গস্খামীণ অবকাঠামোর ক্ষণাবেক্ষন (টিআর) কর্মসূচির আওতায় উপজেলা ওয়ারী১ম ও ২য় কিস্তির বরাদ্বের আটপারা উপজেলার খেলার মাঠের সীমানা প্রাচির বরাবর গর্ত ভরাট প্রকল্পেবরাদ্ব ৩ লাখ ৫০ হাজারটাকা।

কোন কাজ না করেই আত্নসাধ হয়েছে টাকা। শুনই ইউনিয়নে কালা মিয়া মাষ্টারের বারির পাশে সিসি রাস্তার উত্তর পাশে অলি মেম্বারের বাড়িহইতে তরিকুল খানের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তায় ইউড্রেন সহ সংস্কার বরাদ্ব ২ লাখ ৯৫ হাজার ৭১০ টাকা।ইউড্রেন নির্মাণ করা হলেও রাস্তা মেরামতের কাজ হয়নি তেমন। এক ইইউনিয়নের পিয়াজকান্দি বড়খাল হইতে চঞ্চলের বিএডিসি মেসিন ঘর পর্যš Íরাস্তা উন্নয়ন প্রকল্প বরাদ্ব ২ লক্ষটাকা। প্রকল্পের কাজ আংশিক করেই বাকি টাকা আত্ন সাধকরা হয়েছে।

অনৈতিক সুবিধা নিয়ে সরকারি টাকা আত্নসাধে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিকে সহযোগীতা করেছে ২৩-২৪ অর্থবছরে দ্¦ায়িত্ব প্রাপ্ত আটপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেসকাতুল ইসলাম । বর্তমানে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা।

২৩-২৪ ও ২৪-২৫ অর্থ বছরে দ্বায়িত্বে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্ত।
উপজেলা নর্বহীকর্মকর্তা——, প্রশাসক উপজেলাপরিষদ, জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুলআমীন, জেলা প্রশাসক সাবেক অব্ধনা খান মজলিশ, বর্তমান জেলা প্রশাসক বনানী বিশ^াস, সাবেক সংসদ সদস্য অসীমকুমার উকিলও সদ্য প্রয়াত সংসদ সদস্য ইফতেষার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু।

বর্তমান দ্বায়িত্বে আটপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলেন, আমি গত ডিসেম্বর মাসে যোগদান করেছি। এর আগে কি হয়েছে আমি জানিনা। আমার সময় যেসব প্রকল্পের কাজ হয়েছে তা সঠিক ভাবে হয়েছে।
২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে আটপাড়ার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ছিলেন মোঃ মেছকাতুল ইসলাম। বর্তমানে তিনি সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ইপজেলা প্রকলাপ বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানে রয়েছেন। বার বার ফোন করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা রুহুল আমীনবলেন, প্রত্যেক উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রয়েছেন, তারা প্রকল্প বাস্তবায়নে তদারকি করেন। তারা যে তালিকা পাঠায় আমি তার অনুমোদন করি, কাজ সঠিক হয়েছে কি না দেখার দ্বায়িত্ব তাদের।
জেলাপ্রশাসকবনানীবিশ^াস বলেন, ফেসিষ্ট সরকারের আমলে অনেক অনিয়ম হয়েছে। আমার নজরে আসলে আমি প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করব।