
অনলাইনে জুয়ার টাকার বিরোধে গলা কেটে ইদু হত্যা
নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক ইদু মিয়া (২০) হত্যা রহস্য উন্মোচনের কথা জানিয়েছে পুলিশ। তদন্তে একজন সন্দেহভাজন আততায়ীকে গ্রেপ্তারের পর খুনের এই রহস্য উন্মোচন হয় বলে পুলিশের দাবি।
পুলিশের ভাষ্য, অনলাইনে জুয়া খেলার টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে ইদু মিয়াকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।
এ হত্যা মামলায় মো. রফিক ওরফে হাবু ওরফে আবু (২৮) নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার মো. রফিক ওরফে হাবু ওরফে আবু উপজেলার ছয়াশী গ্রামের মৃত আন্দুল হেকিমের ছেলে।
আজ মঙ্গলবার বিকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান গণমাধ্যকে এই তথ্য নিশ্চিত করলে বিষয়টি সামনে আসে।
এরআগে গত সোমবার মোহনগঞ্জ উপজেলার ছয়াশী (হাটনাইয়া) এলাকা থেকে থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গতকালই আদালতে হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আবু।
পুলিশ জানায়,গত ২৬ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোহনগঞ্জ উপজেলার আদর্শনগর শিবির এলাকার বাসিন্দা অটো রিকশা চালক রায়হান আহমেদ ইদু মিয়া নিখোঁজ হন। পরদিন সকালে স্থানীয়রা পাশের পরিত্যক্ত ব্র্যাক শিশু স্কুলের ভেতরে তার ক্ষতবিক্ষত ও গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার পরদিন নিহতের বড় ভাই মো. সুমন মিয়া বাদী হয়ে মোহনগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে থানা ও জেলা ডিবি পুলিশের যৌথ একটি টিম অভিযান শুরু করে। এক পর্যায়ে একটি সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে রফিক ওরফে হাবু ওরফে আবুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে আবু।
গ্রেপ্তার আবুর স্বীকারোক্তির বরাতে মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম জানান, স্থানীয় মোশারফ হোসেন নামে এক যুবকের সাথে অনলাইন জুয়া খেলা সংক্রান্ত আর্থিক বিরোধ ছিল ইদুর। এরই জেরে ২৬ মে রাতে ইদুকে কৌশলে বাসা থেকে ডেকে বাইরে নিয়ে যায় মোশাররফ, আবুসহ আরও কয়েকজন। পরে ইদুর মুখ বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে এবং গলা কেটে হত্যা করে। হত্যার পর ব্যবহৃত অস্ত্রটি ঘটনাস্থলের পাশের একটি বিলে ফেলে পালিয়ে যায় তারা।
ওসি আমিনুল বলেন, হত্যায় জড়িত সবাইকে সনাক্ত করা হয়েছে। আবু আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। পলাতক মোশারফসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এই হত্যায় কতজন অংশ নেয় জানতে চাইলে ওসি তদন্তের স্বার্থে নাম,পরিচয় ও সংখ্যা জানাননি।