
নেত্রকাণা কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের প্রশাসক জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্বে দরিদ্রদের ত্রাণের চাল বিক্রির বিরুদ্বে ইঠেছে। প্রশাসক নিজে অপর আরেক জনের সাথে ত্রণের চাল বি্ক্রির কথোপকতন যার একটি অডিও ফাস হয়েছে।
জানাযায় গত কোরবানি ঈদের সময় সরকার দরিদ্রদের জন্য বিজিএফ চাল বিতরণ করেন। চাল বিতরণের দিন ইউনিয়ন প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম চাহিদার চেয়ে ৭টন ( ৭০০০) কেজি চাল সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণ না করে অন্যত্র বিক্রি করে দেন। এই ৮ টন চালের বাজার মূল্য ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা তিনি আত্নসাধ করেন।
এ ব্যাপারে কৈলাটি ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য আল আল-আমীন জেলা প্রশাসকের বরাবর গত ২৪ আগষ্ট এক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্দ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান উপপরিচালক (উপসচিব) স্থানীয় সরকার মোঃ আরিফূল ইসলাম সরদারকে ব্যাবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। অভিাযোগের প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হলেও এখনো কোন ব্যাবস্থা গ্রহন না কারায় কৈলাটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার শৃষ্টি হয়েছে।
কৈলাটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আল আমীন বলেন, আমরা জনপ্রতিনিধি হয়েছি জনগণের সেবা করার জন্য। হতদরিদ্র মানুষের চাল বিক্রি করে খাওয়ার জন্য না। আমাদের পরিষদে এমন একটা ঘটন ঘটবে আমরা আশা করি না, বিষয়টি খুবই লজ্জাজনক।
এলাকাবাসী রাসেল মিয়া বলেন, আমাদের ছেয়ে বড় দরিদ্র প্রশাসক সাহেব। না হয়তো আমাদের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে তিনি চাল বিক্রি করে টাকা আত্নসাধ করতেন না। আমরা এলাকাবাসী এই দুর্নীবাজ প্রমাসকের অপসারণ চাই।
কামার হোসেন বলেন, আমরা এর বিচার চাই প্রশাসনের কাছে। প্রশাসন যদি এই দুর্নীতিবাজ প্রশাসককে আমাদের পরিষদ থেকে সরিয়ে না নেন তাহলে আমরা আন্দোলন করতে বাধ্য হব।
কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছুটিতে থাকায় অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি, ইউএও স্যার যেহেতু ছুটিতে আছেন তিনি আসলেই স্বীদ্বান্ত হবে।
এ ব্যাপারে ডিডিএলজি কর্মকর্তা মোঃ আরিফূল ইসলাম সরদার বলেন, আমি জেলা প্রশাসক স্যারের সাথ এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি, খুব তারাতারি আমরা এর ব্যাবস্থা গ্রহণ করব।