
নেত্রকোণায় বিকাশ কর্মীর প্রতারণায় গ্রাহকের হয়রানীর অভযোগ উঠেছে। জানা যায়, নেত্রকোণা বিকাশ অফিসের মার্কেটিং অফিসার মানিক সাহার প্রতারণার শিকার হয়েছে কেন্দুয়া উপজেলার রামপুর বাজারের মিষ্টি ব্যাবসায়ী বিল্লালের ছেলে মোঃ ইমন হোসেন জনি।
গত পাঁচ মাস আগে ইমন তাদের ব্যাবসায়ী প্রতিষ্টানের জন্য বিকাশের একটি এজেন্ট একাউন্ট চালু করার জন্য। বিকাশের মার্কেটিং অফিসার মানিক সাহার সাথে যোগাযোগ করে। মানিক সাহা ইমনের কাছ থেকে তার ব্যাবসায়ী ট্রেড লাইসেন্স,জাতীয় পরিচয় পত্রের ছায়াকপি ও টিন সার্টিফিকেট নেন এজেন্ট একাউন্ট চালু করার জন্য।
কয়েক দিন পর ইমন একাউন্টটি চালু হয়েছে কি না জানতে চায় মানিকের কাছে। ইমনের কাগজপত্র দিয়ে একাউন্ট খোলা যাবেনা বলে জানায় মানিক। কিছুদিন পরে মনিক ইমনকে বলে যে, তুমার নামে নামে তো হয়নি তাহলে অন্য নামে একাউন্ট খোলতে পার, তখন ইমন তার ছোট ভাইয়ের নামে একাউন্ট খোলার কাগজপত্র জমা করে।
নেত্রকোণা বিকাশ অফিস থেকে লোক জন যখন ইমনকে তার ভাইয়ের নামে একাউন্টের সিম ও কাগজপত্র বুঝিয়ে দিতে যায় তখন ইমন জানতে পারে তার নামেও একাউহন্ট চালু রয়েছে। আর এই বিকাশ ব্যাবসায়ী একাউন্ট থেকে দেড় মাসে বিশ লক্ষ টাকার উপরে লেনদেন করা হয়েছে। ব্যাবসায়ীর অনুমতি ছাড়া একাউন্ট খোলে টাকা লেনদেন করার কারণে ব্যাবসায়ী হয়রানীর শিকার হয়েছেন।
ব্যাবসায়ী ইমন জানান, আমার অজ্ঞাতসারে এমন কাজ করা হয়েছে তা মানা যায় না। এই একাউন্টের সিম দিয়ে যদি কোন অপরাধ মূলক কাজ সংঘঠিত হয়ে থাকে তাহলে তার দায়ভার আমাকে নিতে হবে। আমি নেত্রকোণা বিকাশ অফিসে গিয়ে মৌকিক অভিযোগ করলে ম্যানেজার দ্রুব সাহা একাউন্টটি বন্ধ করে দিয়েছেন বলে আমাকে আশ^স্ত করেন। আমি এ বিষয়টি নিয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করব। এমনওতো হতে পারে মানিক সাহা আমার বিকাশ ব্যাবসায়ী একাউন্ট অনলাইন ক্যাসেনোকে ভাড়া দিয়ে টাকা লেনদেন করেছে। না হয় দেড় মাসে বিশ লক্ষ টাকার উপরে লেনদেন হয় কিভাবে।
প্রতিবেদক বিকাশ ম্যানেজার দ্রুব সাহার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ্আমি আমার উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি তারা প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করবেন। মানিক সাহা অনৈতিক ভাবে ইমনের কাছ থেকে যে টাকা এনেছিল তা আমরা ফেরত দিয়ে দিয়েছি।আর এ বিষয়টি নিয়ে আপনি মাথা ঘামাচ্ছেন কেন? এটাতো আপনার কোন বিষয় না বলে ফোন কেটে দেন।