ঢাকা ০৭:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কেন্দুয়ায় মুক্ত জলাশয়ে অবৈধ বাঁধ উচ্ছেদ, জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় মুক্ত জলাশয়ে অবৈধভাবে স্থাপিত বাঁশ, মশারী জাল, চায়না দুয়ারী জাল ও অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে নির্মিত অস্থায়ী বাঁধ উচ্ছেদ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের বেজগাঁও এলাকার ৬নং ওয়ার্ডে পাটেশ্বরী নদীর একাধিক স্থানে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দুয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ নাঈম উল ইসলাম চৌধুরী।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা খাদিজা৷ খানম,অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

অভিযানে নদীতে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ব্যাহত করে এমন বাঁধ ও জাল অপসারণ করা হয়। জব্দকৃত বিপুল পরিমাণ জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন,
“মুক্ত জলাশয়ে অবৈধ বাঁধ ও চায়না দুয়ারী জাল ব্যবহার করে মাছ ধরা সম্পূর্ণ আইনবিরোধী।

এতে একদিকে প্রাকৃতিকভাবে মাছের বংশবিস্তার ক্ষতিগ্রস্ত হয়, অন্যদিকে প্রকৃত জেলেরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। এ ধরনের অবৈধ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

এ বিষয়ে স্থানীয় জেলে আব্দুল হক বলেন, “আমরা ছোট জাল দিয়ে পরিশ্রম করে মাছ ধরি। কিন্তু বড় বড় বাঁধ আর চায়না দুয়ারী জালে নদীর সব মাছ আটকা পড়ে যায়।

এতে আমাদের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। আজকের অভিযান দেখে আমরা স্বস্তি পেয়েছি।”

স্থানীয়রা জানান, এ ধরনের নিয়মিত অভিযান হলে নদীর মাছের উৎপাদন বাড়বে এবং প্রকৃত জেলেরা উপকৃত হবেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Gojnobi biplob

Popular Post

মাহিন হত্যা মামলায় আরো এক আসামি গ্রেফতার হলো ফটিকছড়িতে

কেন্দুয়ায় মুক্ত জলাশয়ে অবৈধ বাঁধ উচ্ছেদ, জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস

প্রকাশের সময় : ০৬:২৮:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় মুক্ত জলাশয়ে অবৈধভাবে স্থাপিত বাঁশ, মশারী জাল, চায়না দুয়ারী জাল ও অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে নির্মিত অস্থায়ী বাঁধ উচ্ছেদ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের বেজগাঁও এলাকার ৬নং ওয়ার্ডে পাটেশ্বরী নদীর একাধিক স্থানে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দুয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ নাঈম উল ইসলাম চৌধুরী।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা খাদিজা৷ খানম,অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

অভিযানে নদীতে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ব্যাহত করে এমন বাঁধ ও জাল অপসারণ করা হয়। জব্দকৃত বিপুল পরিমাণ জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন,
“মুক্ত জলাশয়ে অবৈধ বাঁধ ও চায়না দুয়ারী জাল ব্যবহার করে মাছ ধরা সম্পূর্ণ আইনবিরোধী।

এতে একদিকে প্রাকৃতিকভাবে মাছের বংশবিস্তার ক্ষতিগ্রস্ত হয়, অন্যদিকে প্রকৃত জেলেরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। এ ধরনের অবৈধ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

এ বিষয়ে স্থানীয় জেলে আব্দুল হক বলেন, “আমরা ছোট জাল দিয়ে পরিশ্রম করে মাছ ধরি। কিন্তু বড় বড় বাঁধ আর চায়না দুয়ারী জালে নদীর সব মাছ আটকা পড়ে যায়।

এতে আমাদের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। আজকের অভিযান দেখে আমরা স্বস্তি পেয়েছি।”

স্থানীয়রা জানান, এ ধরনের নিয়মিত অভিযান হলে নদীর মাছের উৎপাদন বাড়বে এবং প্রকৃত জেলেরা উপকৃত হবেন।