
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ওছখালি এলাকার ‘হীড বাংলাদেশ’ নামের একটি এনজিও অফিস থেকে শংকর সাহা (৪০) নামে এক ঋণগ্রহীতাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করার পর তিনি মারা গেছেন। নিহতের পরিবারের অভিযোগ—এনজিওর কর্মকর্তারা শংকরকে ঋণ না দিয়ে উল্টো তাকে বিষ পান করিয়ে হত্যা করেছেন। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে এনজিও কর্তৃপক্ষের দাবি, তিনি অফিসে যাওয়ার আগেই বিষ পান
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে হাতিয়া থানা পুলিশ। নিহত শংকর সাহা হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ষশী চন্দ্র সাহার ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দিনমজুর শংকর সাহা ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। পরিবারের অভাব ঘোচাতে প্রায় ৮-৯ মাস আগে ‘হীড বাংলাদেশ’-এর ওছখালি শাখা থেকে শতকরা সাড়ে ১২ শতাংশ সুদে ২ লাখ টাকা ঋণ নেন তিনি। ঋণ নেওয়ার সময় এনজিওর পক্ষ থেকে বলা হয়—নির্দিষ্ট সময়ে ঋণ পরিশোধ করতে পারলে পুনরায় তাকে আরও ২ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হবে।
নিহতের স্ত্রী রিংকু সাহা অভিযোগ করে বলেন, এনজিও থেকে নেওয়া ২ লাখ টাকা পরিশোধের পর সোমবার বিকেল ৪টার দিকে পুনরায় ঋণের জন্য শংকর অফিসে যায়। এর আগে টানা দুই দিন অফিসে গিয়ে সে খালি হাতে ফিরেছিল। সেদিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শংকর আমাকে ফোনে জানায়, হীড কর্মকর্তারা ঋণ দেবে না, বরং অপমানজনক কথা বলছে। এরপর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অফিসের একটি নম্বর থেকে আমার ছেলে হৃদয় সাহাকে জানানো হয়—শংকর বিষ পান করেছে, তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, এনজিও কর্মকর্তারা ঋণ না দিয়ে উল্টো শংকরকে অপমান ও মানসিকভাবে চাপ প্রয়োগ করে। সবশেষ তারা অফিসে ডেকে নিয়ে তাকে বিষ খাইয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন তিনি।