নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নের কেলাটি ফতেপুর গ্রামে অসামাজিক কার্যকলাপ—মাদক, জুয়া ও দেহব্যবসা প্রতিরোধে গ্রামবাসীর উদ্যোগে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফতেহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এ সভায় বিপুল সংখ্যক গ্রামবাসীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সুরুজ আলী এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক বাবলু।
এ সময় ইউনিয়ন বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীও উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, ফতেহপুর গ্রামের কুখ্যাত দেহব্যবসায়ী ও মাদক কারবারি জহুরা দীর্ঘদিন ধরে তার সহযোগী রবি, রোকন, মুসলেম ও কমলদের নিয়ে এলাকায় অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।
গত ২২ আগস্ট রাতে গ্রামবাসী পাহারা দিয়ে তাকে হাতে-নাতে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। তবে পরদিনই আইনের ফাঁকফোকর গলে সে জামিনে বের হয়ে এসে পুনরায় আগের মতো অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। এমনকি সে গ্রামবাসীর কয়েকজন নিরপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। বর্তমানে মামলাটি সিআইডির তদন্তাধীন রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়—জহুরা ও তার সহযোগী রবি, রোকন ও মুসলেমকে আর কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। তাদের সামাজিকভাবে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয় এবং আইনগত লড়াই অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করা হয়। সভাপতির বক্তব্যে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সুরুজ আলী বলেন, “অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধে বিএনপির নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের সিদ্ধান্ত আমরা জানি।
এ ক্ষেত্রে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করব। এসব কর্মকাণ্ডে যদি ইউনিয়ন বিএনপির কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তবে তাকেও দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।” গ্রামবাসীর প্রত্যয়—ফতেহপুরে আর কোনোভাবেই মাদক ও দেহব্যবসার স্থান হবে না।