এ ঘটনায় উপজেলার গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের গোবিন্দশ্রী বার ঘুরিয়া গ্রামের মৃত তাজ মিয়ার ছেলে ভুক্তভোগী সোহেল মিয়া (৪৪) বাদী হয়ে শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতেই অভিযুক্ত শাপলা আক্তার (৪২) কে প্রধান আসামি করে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানা মামলা দায়ের করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ।
অভিযোগ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গোবিন্দশ্রী বারঘরিয়া গ্রামে মৃত সাইফুল ইসলামের স্ত্রী শাপলা আক্তারসহ ১০ থেকে ১২ জন লোক নিয়ে গিয়ে জমি সংক্রান্ত পূর্বের শত্রুতার জেরে শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে সোহেল মিয়া বাড়িতে গিয়ে হঠাৎ অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে ঘরের জিনিসপত্র দোকানের মালামাল ভাঙচুর করে।
এ সময় টিনের দোকান ঘর,দোকানে রাখা মালামাল নগদ টাকা এবং স্বর্ণ অলংকা নিয়ে যায়। বাধা দিলে বাড়িতে কোন পুরুষ লোক না থাকায় সোহেল মিয়ার (স্ত্রী) মোর্শেদা আক্তার (২৮) ও তার শিশু মেয়ে শর্মিন (১১)কে মারধর করে আহত করে। এ ঘটনা ভুক্তভোগী পরিবার ৯৯৯ পুলিশকে কল করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ যাওয়ার পর ঘটনাস্থল থেকে তারা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সোহেল মিয়া বলেন, আমার ভাই মোহনের কাছে সুদের টাকা পাবে মদন পৌরসভার কলাবাগানের শাপলা আক্তার নামের এক মহিলা। টাকার জন্য শাপলা ১০ থেকে ১২ জন লোক নিয়ে এসে সুদের টাকা দিতে দেরি হওয়ায় আমার ভাইকে বাড়িতে না পেয়ে আমার ঘর থাকা আলমারি, সুকেশ, দোকান ঘরের ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে নগদ টাকা স্বর্ণ অলংকার লুটপাট করে নিয়ে চলে যায়। আমি এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছি আমার বাড়িতে এসে আমার( স্ত্রী)-শিশু অবুঝ সন্তানকে মারধোর করেছে।
আমি এর বিচার চাই। ভাঙচুর লুটপাটের বিষয়ে জানতে চাওয়া অভিযুক্ত শাপলা আক্তার বলেন, আমরা কোন ভাঙচুর লুটপাট করিনি জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাদের সাথে আমাদের সমস্যা রয়েছে। এ ঘটনায় মদন থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ শামসুল আলম শাহ্ বলেন, ৯৯৯ কল দেওয়ায় ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল ভুক্তভোগী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।