
নেত্রকোণা কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ি কৈলাটি ফতেপুর কান্দাপাড়া গ্রামে এক নারীকে সংঘবব্ধ ঘর্ষনের অভিযেগে ১ সেপ্টেম্বর নেত্রকোণা নারী ও শিশূ নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ৫ জনকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেছে ভোক্তভোগী।
মামলার বিবরণে জানাযায়, ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার চন্ডিপাশা বাশাঁটি গামের বদরুল আলমের মেয়ে নুসরাত (৩৬)
ঘটনার দিন ও তারিখঃ গত ২২শে আগষ্ট রাত অনুমান আটটার দিকে ভোক্তভোগী তার আত্নীয় বাড়ি নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নের ফতেপুর কান্দাপাড়া গ্রামে জহুরা আক্তারের বাড়িতে বেড়াইতে আসার সময় নান্দাইল থেকে রোয়াইলবাড়ি বাজারে আসেন অটো রিক্সা করে। গ্রাম ও রাস্তা না চিনার কারণে রোয়াইল বাড়ি বাজারে এক জনকে জিজ্ঞেস করলেন ফতেপুর কান্দাপাড়া গ্রামটি কোন দিকে ও কতদূরে। এ সময় ফতেপুর গ্রামের লিটন মিয়া বলেন আমার বাড়িও একই গ্রামে, আমি চিনি আপনি আমার সাথে যেতে পারেন।
রাতে কাঁচা রাস্তায় কোন যানবাহন চলাচল না করার কারণে পায়ে হেঁটেই রওয়ানা দেয় দুজন। পথিমধ্যে শাহাব উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে আসতেই আরও চারজন লোক যোগদেয়। তখন আরা ভিকটিমকে নানান রকম কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। অনুমান রত ৯ টার দিকে
এক পর্যয়ে কৈলাটি ফতেপুর গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে রিটন মিয়া (৪৫), মৃত মোস্তফা কামালের ছেলে মৃদুল (৩২), মোঃ মুসলেম উদ্দিনের ছেলে মোঃ মোখলেছুর রহমান (৪০), মোঃ হাবুল মিয়ার ছেলে আমিদুল ইসলাম (২৬), ও মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে মতিউর রহমান জুর পূর্বক ভিকটিমকে শাহাব উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় নিয়ে পালাত্রমে ধর্ষণ করে।
ভিকটিমের আসতে দেরী ও মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় ১নং সাক্ষী জহুরা আগাইয়া গেলে পথোপোকথন শুনতে পান। তিনি আগাইয়া গেলে লিটন গংরা ভিকটিমকে ফেলে রেখে চলে যায়। যলে যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে যায় যদি ঘটনাটি কাউকে জানায় তাহলে তাদেরকে হত্যা করিয়া ফেলবে।
ভোক্তভোগী নুসরাত জানায়, আমাকে ধর্ষণ করেও লম্পটরা কান্ত হয়নি, ঘটনাটি পরদিন সকালে যেন কাউকে বলতে না পারি, বিচার শালিস বসাতে না পারি তার জন্য ভোর রাতে আমাকে ও ১ নং সাক্ষী জহুরাকে আসামীরা ঘর থেকে টেনে হিছরে বের করে নিয়ে যায়। গ্রাম বাসীর কাছে আমাকে খারাপ ও জহুরাকে খারাপ মহিলা হিসেবে উপস্থাপন হিসেবে উপস্থাপন করে। আমাদের কোন কথাই গ্রামবাসীরা বিশ্বাস না করে পুলিশ ডেকে এনে আমাদেরকে তুলে দেয় আইনশৃংখলা বাহীনির হাতে। সামাজিক ভাবে আমাদের হেয় প্রতিপন্য করে।
আমাকে রাস্তায় একা পেয়ে দলবদ্ব ভাবে ধর্ষণ করেছে আমি তার সুবিচার পাওয়ার জন্য আদালতে মামলা দায়ের করেছি। ইনশাআল্লাহ সুবিচার পাব।