
নেত্রকোনায় পুলিশের সহযোগীতা অটোচালকের মহানুভবতায় প্রায় সাড়ে চৌদ্দ লক্ষ টকার ৮ ভারি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করেছে নেত্রকোণা মডেল থানা পুলিশ।
শহরের মঈনপুর এলাকার গৃহবধূ মীম আক্তার তার বাবার বাসা জয়নগর যাওয়ার পথে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সায় ৮ ভরি ওজনের বিভিন্ন রকমের গহনার ব্যাগটি ফেলে রেখে চলে যান। বাসায় গিয়ে মনে হলে রাসাতায় গিয়ে অটোরিক্সাটি আর দেখতে পান না। কোন উপায় না দেখে মীম আক্তার নেত্রকোণা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন।
সাধারণ ডায়েরি দায়েরের ৫ ঘন্টার মধ্যে মীম নামের এক গৃহবধূর প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ টাকার হারিয়ে যাওয়া স্বর্ণালংকার উদ্ধার করে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে হারিয়ে যাওয়া প্রায় ৮ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করে সোমবার রাতে গৃহবধূ মীমের হাতে তুলে দেন নেত্রকোনা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী শাহনেওয়াজ। জানা যায় এই গৃহবধূ মীম নেত্রকোনা পৌর শহরের কাটলী এলাকার মোঃ মনজুরুল হকের মেয়ে।
নেত্রকোনা মডেল থানায় ডায়েরী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,মীম রবিবার সন্ধ্যার পর অটোরিকশা করে নেত্রকোনা শহরের মঈনপুর স্বামীর বাড়ি থেকে কাটলী নিজের বাবার বাড়ি যাচ্ছিলেন।
এ সময় সাথে থাকা কাপড়ের ব্যাগে দুইটি স্বর্ণের হাড়,২ জোড়া কানের ঝুমকা,এক জোড়া হাতের বালা,৪টি স্বর্নের চেইন,এক জোরা কানের দুল,২টি স্বর্নের আংটি সহ সব মিলিয়ে প্রায় ৮ ভরি স্বর্ণালংকার। যার মূল্য অনুমানিক প্রায় সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা। মনের ভুলে মীম রিকশায় ব্যাগ ফেলে বাসায় চলে যায়।
অটো চালক শহড়ের পুকুরিয়া রংগের বাজার এলাকার মৃত ডেন্ডু মিয়ার ছেলে দুখু মিয়া জানান, ব্যাগ আমার অটোরিক্সায় ফেলে রেখে মহিলা চলে গেছেন আমি আগে খেয়াল করিনি। রাতে যখন গ্যারেজে গাড়িটি রাখতে যাই তখন আমার নজরে পড়ে ব্যাগটি। ব্যাটারীতে চার্জ না থাকায় আমি আর যেতে পরিনি। আমি ব্যাগটি খুলেও দেখিনি। পুলিশ আমার বাসায় যখন আসছে তখন আমি ব্যাগটি ফেরত দিয়েছি। পুলিশ ব্যাগটি খলে সব ঠিক পেয়েছে।
নেত্রকোণা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা কাজি শাহনেওয়াজ গতকাল রাতে মীম আক্তারের কাছে তার হারিয়ে যাওয়া স্বর্ণালংকার বুঝিয়ে দিয়েছেন।