ঢাকা ০৭:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

র‍্যাব-কোস্ট গার্ডের ধাক্কাধাক্কি, দুই র‍্যাব সদস্য আহত, বিষয় মাদক উদ্ধার

কক্সবাজারের টেকনাফে ইয়াবা উদ্ধার অভিযানে র‍্যাব ও কোস্ট গার্ড সদস্যদের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মেজর পদমর্যাদার র‍্যাব-১৫ এর কোম্পানি কমান্ডারসহ দুই সদস্য আহত হন।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে সদর ইউনিয়নের মহেশখালিয়াপাড়া ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একই গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-১৫ এর সিপিসি-১ ও টেকনাফ কোস্ট গার্ড স্টেশন পৃথকভাবে অভিযানে যায়। একটি ট্রলার থেকে ইয়াবা উদ্ধারের সময় র‍্যাবের একটি উপদল এবং কোস্ট গার্ডের একজন সদস্য ও তাদের সোর্স একসঙ্গে ট্রলারে ওঠেন। এ সময় কে ইয়াবা উদ্ধার করেছে- তা নিয়ে উভয় বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে কোস্ট গার্ডের সদস্য র‍্যাব সদস্যদের ধাক্কা দেন।

এতে র‍্যাব-১৫ সিপিসি-১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহেতেশামুল হক খান ও কনস্টেবল শামীম ট্রলারের ইঞ্জিন পাইপে আঘাত পেয়ে আহত হন। পরে তারা র‍্যাব-১৫ কার্যালয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব না হলেও ৭০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। মাদকগুলো বর্তমানে র‍্যাবের হেফাজতে রয়েছে। র‍্যাব জানিয়েছে, এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

এদিকে এ ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মধ্যে আলোচনার ঝড় ওঠে। তাদের মতে, মাদকবিরোধী অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব থাকলে ভবিষ্যতে আরও জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, টেকনাফ মাদক পাচারের জন্য কুখ্যাত এলাকা। প্রায় প্রতিদিনই ইয়াবার চালান আসে নাফ নদী ও উপকূলঘেঁষে। এ পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর দাবি দীর্ঘদিন ধরেই উঠছে। একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতামূলক ভূমিকা নেওয়ার পরিবর্তে যৌথ অভিযানকে অগ্রাধিকার দিলে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো সম্ভব। উল্লেখ্য, এ অভিযানে র‍্যাব ও কোস্ট গার্ড উভয় বাহিনীর সদস্যই সিভিল পোশাকে ছিলেন।

র‍্যাব-১৫ সিপিসি-১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহেতেশামুল হক খান বলেন, ‘র‍্যাব ও কোস্টগার্ড একই স্থানে একই সাথে অভিযান চালাতে গিয়ে ইঞ্জিন চালু থাকা ট্রলারের গরম পাইপে অসাবধানতাবশত লেগে সামান্য আহত হয়েছে। যা অস্বাভাবিক কিছু নয়। প্রায় প্রতিটি অভিযানে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা এমনভাবে আঘাত প্রাপ্ত হয়। সেখানে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেনি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোস্ট গার্ড টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার মন্তব্য করতে রাজি হননি। তারা উভয়েই মিডিয়া কর্মকর্তার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। কিন্তু কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হকের মোবাইলে কয়েকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Gojnobi biplob

Popular Post

মাহিন হত্যা মামলায় আরো এক আসামি গ্রেফতার হলো ফটিকছড়িতে

র‍্যাব-কোস্ট গার্ডের ধাক্কাধাক্কি, দুই র‍্যাব সদস্য আহত, বিষয় মাদক উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ০৯:০২:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

কক্সবাজারের টেকনাফে ইয়াবা উদ্ধার অভিযানে র‍্যাব ও কোস্ট গার্ড সদস্যদের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মেজর পদমর্যাদার র‍্যাব-১৫ এর কোম্পানি কমান্ডারসহ দুই সদস্য আহত হন।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে সদর ইউনিয়নের মহেশখালিয়াপাড়া ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একই গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-১৫ এর সিপিসি-১ ও টেকনাফ কোস্ট গার্ড স্টেশন পৃথকভাবে অভিযানে যায়। একটি ট্রলার থেকে ইয়াবা উদ্ধারের সময় র‍্যাবের একটি উপদল এবং কোস্ট গার্ডের একজন সদস্য ও তাদের সোর্স একসঙ্গে ট্রলারে ওঠেন। এ সময় কে ইয়াবা উদ্ধার করেছে- তা নিয়ে উভয় বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে কোস্ট গার্ডের সদস্য র‍্যাব সদস্যদের ধাক্কা দেন।

এতে র‍্যাব-১৫ সিপিসি-১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহেতেশামুল হক খান ও কনস্টেবল শামীম ট্রলারের ইঞ্জিন পাইপে আঘাত পেয়ে আহত হন। পরে তারা র‍্যাব-১৫ কার্যালয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব না হলেও ৭০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। মাদকগুলো বর্তমানে র‍্যাবের হেফাজতে রয়েছে। র‍্যাব জানিয়েছে, এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

এদিকে এ ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মধ্যে আলোচনার ঝড় ওঠে। তাদের মতে, মাদকবিরোধী অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব থাকলে ভবিষ্যতে আরও জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, টেকনাফ মাদক পাচারের জন্য কুখ্যাত এলাকা। প্রায় প্রতিদিনই ইয়াবার চালান আসে নাফ নদী ও উপকূলঘেঁষে। এ পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর দাবি দীর্ঘদিন ধরেই উঠছে। একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতামূলক ভূমিকা নেওয়ার পরিবর্তে যৌথ অভিযানকে অগ্রাধিকার দিলে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো সম্ভব। উল্লেখ্য, এ অভিযানে র‍্যাব ও কোস্ট গার্ড উভয় বাহিনীর সদস্যই সিভিল পোশাকে ছিলেন।

র‍্যাব-১৫ সিপিসি-১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহেতেশামুল হক খান বলেন, ‘র‍্যাব ও কোস্টগার্ড একই স্থানে একই সাথে অভিযান চালাতে গিয়ে ইঞ্জিন চালু থাকা ট্রলারের গরম পাইপে অসাবধানতাবশত লেগে সামান্য আহত হয়েছে। যা অস্বাভাবিক কিছু নয়। প্রায় প্রতিটি অভিযানে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা এমনভাবে আঘাত প্রাপ্ত হয়। সেখানে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেনি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোস্ট গার্ড টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার মন্তব্য করতে রাজি হননি। তারা উভয়েই মিডিয়া কর্মকর্তার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। কিন্তু কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হকের মোবাইলে কয়েকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।