
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যকে কটুক্তি করেও বহাল তবিয়তে আছেন নেত্রকোনার মদন উপজেলার হিসাবরক্ষণ অফিসের কম্পিউটার অপারেটর আব্দুল আউয়াল।
জানা যায়,গত ৬ই আগস্ট জুলাই যোদ্ধাদের চিকিৎসা ব্যয় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য সম্মিলিত সংবাদের ফটো কার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে কটুক্তি করেন আব্দুল আউয়াল।বিষয়টি নজরে আসে উপজেলার একাধিক জুলাই যোদ্ধার।
তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৭ই আগস্ট আব্দুল আউয়ালকে দায়সারা ভাবে কারণ দর্শানোর নোটিশ করেন উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা জোবায়েদ আহমেদ। কারণ দর্শানোর নোটিশে পত্র পাওয়া মাত্রই অভিযোগের বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য বলা হলেও অভিযোগে দশ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো অভিযোগের বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেননি আব্দুল আওয়াল।
এ বিষয়ে মদন উপজেলার একাধিক জুলাই যোদ্ধা বলেন, জুলাই যোদ্ধাদের চিকিৎসা ব্যয় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের সংবাদের ফটোকার্ড ফেসবুকে পোস্ট করে কটুক্তি মূলক মন্তব্য করেন আব্দুল আউয়াল।যা আমরা দেখতে পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাই কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে দেখিনি।
আমরা চাই অতি শীঘ্রই এ বিষয়ে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুক কর্তৃপক্ষ অন্যতায় কঠোর থেকে কঠোরতর কর্মসূচি ঘোষণা হবে। অভিযুক্ত আব্দুল আউয়াল জানান,আমি অসুস্থ থাকায় কারণে কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দিতে পারিনি। দুই দিনের মধ্যেই এর জবাব দিব।
এ বিষয়ে উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা জোবায়েদ আহমেদ বলেন, জুলাই যোদ্ধাদের চিকিৎসা ব্যয় ও প্রধান উপদেষ্টার মন্তব্যে বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করায় আব্দুল আউয়ালকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে গত ৭ই আগস্ট।যার অনুলিপি দেওয়া হয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ডিভিশনাল কন্ট্রোলার্স অফ একাউন্টস, ময়মনসিংহকে।
কিন্তু এখন পর্যন্ত কারণ দর্শানো নোটিশের উত্তর দেয়নি আওয়াল। এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অলিদুজ্জামানের মোটোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। ডিভিশনাল কন্ট্রোলার অফ একাউন্টস অফিসার প্রনয় কুমার পাল জানান,
এ বিষয়ে আমি কোন অভিযোগ পাইনি এখন পর্যন্ত। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।