ঢাকা ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় আনন্দপুর গ্রামকে মডেল ইউনিয়নে উন্নতি করনের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন।

জেলার কলমাকান্দা উপজেলার আনন্দপুর গ্রামকে মডেল ইউনিয়নে উন্নীতকরণের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন করেছে।

গতকাল রবিবার ১৭ই আগষ্ট বিকেল আনন্দপুর বাজারেএই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেয় ২০টি গ্রামের প্রায় ৭ শতাধিক মানুষজন।

আনন্দপুর গ্রামকে ইউনিয়নে উন্নীতকরণের পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের প্রস্তাবিত গ্রামগুলো নাজিরপুর ইউনিয়নের বেতুয়া, হরিপুর, আনন্দপুর, ফকির চান্দুয়াইল, দিলুরা, গাছতলা, পাঁচকাটা গ্রাম,চন্ডিগড় ইউনিয়নের আলমপুর, নাগেরগাতি, বড়ইউন্দ, নোয়াগাঁও, সিংপুর ও মুনসুরপুর গ্রাম, কৈলাটি ইউনিয়নের

হাড়িগাতি, আজগড়া, রনসিংপুর, নাউরিপাড়া, বানিয়া পাড়া ও চাঁনকোনা গ্রাম, বাকলজোড়া ইউনিয়নের  পাইকপাড়া গ্রাম ইত্যাদি।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন একটি বৃহৎ ইউনিয়ন। প্রায় ৪০টি গ্রাম নিয়ে এই ইউনিয়ন গঠিত। এবং এই ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ৩০ হাজারেরও বেশি। উপরে উল্লেখিত ২০টি গ্রামের মধ্যস্থান আনন্দপুর গ্রাম। এই গ্রামবাসীদের বিভিন্ন কাজে নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদে আসা যাওয়া করতে প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করতে হয়। এছাড়া  গ্রামের বৃদ্ধ, অসুস্থ, গর্ভবতী, সহ বেশিরভাগ মানুষই দীর্ঘদিন ধরে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন।

 

এমতাবস্থায় ২০ টি গ্রামের মানুষ এই সমস্যা নিরসনে স্থানীয় প্রশাসনের শরণাপন্ন হয়েছেন। যদি নাজিরপুর ইউনিয়ন থেকে আনন্দপুর সহ গ্রামগুলিকে আলাদা করা যায়, তাহলে এই গ্রাম গুলির জনসাধারণ বিশেষভাবে উপকৃত হবেন।

 

আরো জানা যায় গ্রাম গুলির জনসাধারণ একত্রিত হয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগে একটি আবেদন করেছেন এবং একটি স্মারক জমা দিয়েছেন।

আজকে মানববন্ধন চলাকালে সবার মুখে একটা স্লোগান ছিল, দাবি মোদের একটাই, আনন্দপুর ইউনিয়ন চাই। এ কোন সাধারণ দাবি নয়, এ যেন শত বছরের আক্ষেপ ঘুচানোর দাবী। শত বৃদ্ধা ও গর্ভবতী মায়েদের স্বস্তির দাবি, ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের বহুদূর হেঁটে যাওয়া থেকে মুক্তির দাবি, কৃষক চাষা আবাল বনিক সর্বস্তরের জনগণের স্বপ্নের দাবি।

আরে উদ্দেশ্যেই আজকের মানববন্ধনে বিভিন্ন বক্তারা বক্তব্য ও যৌক্তিক দাবি তুলে ধরেন। মানববন্ধনে বক্তৃতা চলাকালে আব্দুল বাতেন খন্দকার বলেন , গত বছর থেকেই আনন্দপুর ইউনিয়নের কার্যক্রম প্রক্রিয়া দিন রয়েছে এবং মন্ত্রণালয় থেকে আমাদেরকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। মাননীয় জেলা প্রশাসকের কাছে আমাদের বিনীত নিবেদন অনতিবিলম্বে আনন্দপুর গ্রামকে মডেল ইউনিয়নে উন্নীত করে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করিবেন। হাজী আব্দুর রউফ মাস্টার বলেন… আমরা এখনো জানিনা কেন এই আনন্দপুর ইউনিয়নের কাজ আটকে আছে। মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়কে আমরা আহবান করব অতি দ্রুত আমাদের এই আনন্দপুর গ্রামকে মডেল ইউনিয়নে উন্নীত করে এলাকাবাসীর কষ্ট দূর করিবেন।

এছাড়াও আরো বক্তৃতা প্রদান করেন ভাষানী ,ফারুক ,জালাল উদ্দিনশেখ , , মোঃ ফাইজুর রহমান , মোঃ সৌরভ খন্দকার প্রমুখ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Gojnobi biplob

Popular Post

মাহিন হত্যা মামলায় আরো এক আসামি গ্রেফতার হলো ফটিকছড়িতে

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় আনন্দপুর গ্রামকে মডেল ইউনিয়নে উন্নতি করনের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন।

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৭:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫

জেলার কলমাকান্দা উপজেলার আনন্দপুর গ্রামকে মডেল ইউনিয়নে উন্নীতকরণের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন করেছে।

গতকাল রবিবার ১৭ই আগষ্ট বিকেল আনন্দপুর বাজারেএই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেয় ২০টি গ্রামের প্রায় ৭ শতাধিক মানুষজন।

আনন্দপুর গ্রামকে ইউনিয়নে উন্নীতকরণের পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের প্রস্তাবিত গ্রামগুলো নাজিরপুর ইউনিয়নের বেতুয়া, হরিপুর, আনন্দপুর, ফকির চান্দুয়াইল, দিলুরা, গাছতলা, পাঁচকাটা গ্রাম,চন্ডিগড় ইউনিয়নের আলমপুর, নাগেরগাতি, বড়ইউন্দ, নোয়াগাঁও, সিংপুর ও মুনসুরপুর গ্রাম, কৈলাটি ইউনিয়নের

হাড়িগাতি, আজগড়া, রনসিংপুর, নাউরিপাড়া, বানিয়া পাড়া ও চাঁনকোনা গ্রাম, বাকলজোড়া ইউনিয়নের  পাইকপাড়া গ্রাম ইত্যাদি।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন একটি বৃহৎ ইউনিয়ন। প্রায় ৪০টি গ্রাম নিয়ে এই ইউনিয়ন গঠিত। এবং এই ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ৩০ হাজারেরও বেশি। উপরে উল্লেখিত ২০টি গ্রামের মধ্যস্থান আনন্দপুর গ্রাম। এই গ্রামবাসীদের বিভিন্ন কাজে নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদে আসা যাওয়া করতে প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করতে হয়। এছাড়া  গ্রামের বৃদ্ধ, অসুস্থ, গর্ভবতী, সহ বেশিরভাগ মানুষই দীর্ঘদিন ধরে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন।

 

এমতাবস্থায় ২০ টি গ্রামের মানুষ এই সমস্যা নিরসনে স্থানীয় প্রশাসনের শরণাপন্ন হয়েছেন। যদি নাজিরপুর ইউনিয়ন থেকে আনন্দপুর সহ গ্রামগুলিকে আলাদা করা যায়, তাহলে এই গ্রাম গুলির জনসাধারণ বিশেষভাবে উপকৃত হবেন।

 

আরো জানা যায় গ্রাম গুলির জনসাধারণ একত্রিত হয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগে একটি আবেদন করেছেন এবং একটি স্মারক জমা দিয়েছেন।

আজকে মানববন্ধন চলাকালে সবার মুখে একটা স্লোগান ছিল, দাবি মোদের একটাই, আনন্দপুর ইউনিয়ন চাই। এ কোন সাধারণ দাবি নয়, এ যেন শত বছরের আক্ষেপ ঘুচানোর দাবী। শত বৃদ্ধা ও গর্ভবতী মায়েদের স্বস্তির দাবি, ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের বহুদূর হেঁটে যাওয়া থেকে মুক্তির দাবি, কৃষক চাষা আবাল বনিক সর্বস্তরের জনগণের স্বপ্নের দাবি।

আরে উদ্দেশ্যেই আজকের মানববন্ধনে বিভিন্ন বক্তারা বক্তব্য ও যৌক্তিক দাবি তুলে ধরেন। মানববন্ধনে বক্তৃতা চলাকালে আব্দুল বাতেন খন্দকার বলেন , গত বছর থেকেই আনন্দপুর ইউনিয়নের কার্যক্রম প্রক্রিয়া দিন রয়েছে এবং মন্ত্রণালয় থেকে আমাদেরকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। মাননীয় জেলা প্রশাসকের কাছে আমাদের বিনীত নিবেদন অনতিবিলম্বে আনন্দপুর গ্রামকে মডেল ইউনিয়নে উন্নীত করে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করিবেন। হাজী আব্দুর রউফ মাস্টার বলেন… আমরা এখনো জানিনা কেন এই আনন্দপুর ইউনিয়নের কাজ আটকে আছে। মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়কে আমরা আহবান করব অতি দ্রুত আমাদের এই আনন্দপুর গ্রামকে মডেল ইউনিয়নে উন্নীত করে এলাকাবাসীর কষ্ট দূর করিবেন।

এছাড়াও আরো বক্তৃতা প্রদান করেন ভাষানী ,ফারুক ,জালাল উদ্দিনশেখ , , মোঃ ফাইজুর রহমান , মোঃ সৌরভ খন্দকার প্রমুখ।