
একসময় কোলাহলমুখর ঝিনাইদহের বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) অফিস এখন যেন জনশূন্য ও প্রাণহীন। বছরের পর বছর নিয়োগ বন্ধ থাকায় জনবলের সংকট চরমে পৌঁছেছে। ফলে টেলিফোন ও জি-ফোন ইন্টারনেট সেবা
মুখ থুবড়ে পড়েছে, আর গ্রাহকরা একে একে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। এক যুগে সবকিছু পাল্টে গেছে তথ্য অনুযায়ী, একসময় ঝিনাইদহ জেলায় কয়েক হাজার টেলিফোন লাইন চালু ছিল। বাসাবাড়ি ও অফিসে বিটিসিএলের সংযোগ পাওয়া ছিল মর্যাদার প্রতীক।
কিন্তু মোবাইল ফোনের যুগে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারেনি একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান বিটিসিএল। বর্তমানে জেলার টেলিফোন সংযোগ কমতে কমতে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১,২৭৪টি, এর মধ্যে জি-ফোন ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে ৬০০টি। ২৪ ঘণ্টা সেবা না থাকায় জি-ফোনের গ্রাহকরাও বিরক্ত। ইন্টারনেট বা লাইন সমস্যায় দ্রুত সমাধান মেলে না, অথচ বেসরকারি ইন্টারনেট সংযোগে সেবা মেলে অনায়াসেই।
জনবলের ভয়াবহ সংকট ঝিনাইদহ বিটিসিএল অফিস সূত্রে জানা গেছে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মাত্র ৩ জন কর্মকর্তা বর্তমানে কর্মরত। বয়সজনিত কারণে তাদের অবসরে গেলে পদগুলোও বিলুপ্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। বর্তমানে জেলার উপজেলা পর্যায়ে বিটিসিএলের অফিস ও সম্পদ পাহারায় কোথাও মাত্র একজন, কোথাও দুইজন কর্মচারী রয়েছেন।
পুরো জেলায় কর্মকর্তা-কর্মচারির মোট সংখ্যা মাত্র ১৩ জন। ফলে সেবা কার্যত শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। গ্রাহকদের ভোগান্তি এসএম বিল্লাহ জানান, ৮ বছর আগে তিনি টেলিফোন লাইন সারেন্ডার করলেও সম্প্রতি একসঙ্গে ৮ বছরের বিল ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার জি-ফোন সংযোগের বিলও নিয়মিত পৌঁছায় না। মিনারা পারভিন অভিযোগ করেন, নিয়মিত বিল না আসায় একসঙ্গে বড় অঙ্কের টাকা পরিশোধ করতে হয়, যা কষ্টকর। অন্য এক গ্রাহক বলেন, তার বাড়িতে কখনও টেলিফোন বিল পৌঁছায় না।
প্রশাসনের বক্তব্য বিটিসিএলের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার পল্লবী ঘোষ বলেন, “অফিসে কত জনবল রয়েছে তা সঠিকভাবে আমার জানা নেই, যশোর অফিসে জানতে হবে। তবে জনবল পূরণ হলে অধিকাংশ সমস্যার সমাধান হবে।