ঢাকা ০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেত্রকোনায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পৌরসভার কর্মীকে মারপিট

নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনা পৌরসভার কর্মী ইজ্জত খান রানা কে (৫১) জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মারপিট করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় ইজ্জত খান রানা বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করার বিষয়টি বুধবার বিকালে নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি কাজী মোঃ শাহনেওয়াজ। এর আগে রবিবার বিকেলে ইজ্জত আলী খান তার জমিতে প্রাক্তন নিয়ে হাল চাষ করতে গেলে মুঘল আজম খান ও শাহনূর খান এর লোকজন মারপিট করেন। এতে তার হাতের দুটি আঙ্গুলের অগ্রভাগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ইজ্জত খান রানা নেত্রকোনা পৌরসভার পশ্চিম সাতপাই এলাকার মৃত আলী হোসেন খানের ছেলে। তিনি নেত্রকোনা পৌরসভার পানি রক্ষণাবেক্ষণ শাখার একজন কর্মী।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইজ্জত খান রানার বাবা আলী হোসেন খানের নামে বিআরএস রেকর্ডকৃত জমি মুঘল খান ও শাহনূর খানের লোকজন দখল করে রাখেন। পরে জমি রেকর্ড সংশোধনের জন্য শাহানুর খানের চাচাতো বোন সালেহা বেগম নেত্রকোনা আদালতে ২০০৮ সালে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ২০২৫ সালে সেপ্টেম্বরে ইজ্জত খান রানার বাবার পক্ষে রায় হয়। পরে গত রবিবার বিকালে জমিতে হাল চাষ করার জন্য ট্রাক্টর নিয়ে যান ইজ্জত খান। খবর পেয়ে মুঘল আজম খান ও শাহনুর খান লোকজন নিয়ে তার ওপর হামলা করেন। এতে রানার দুটি আঙ্গুলের অগ্রভাগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন। তার অবস্থা অসংখ্যজনক হওয়ায় মঙ্গলবার সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে প্রেরণ করেন চিকিৎসক এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ইজ্জত খান রানা নিজে বাদী হয়ে নেত্রকোনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
শাহানুর খান বুধবার বিকেলে মোবাইল ফোনে জানান, ইজ্জত খান রানা যে জমিতে হাল চাষ করতে গিয়েছিল সেটি তার চাচাতো বোন সালেহা বেগমের। সেই জমি একাধিকবার কয়েকজনের কাছে বিক্রি হয়েছে। ইজ্জত খান এবং সালেহা বেগম সম্পর্কের চাচাতো ভাই বোন। বেগমের বাবার ভাগের জমি ইজ্জত খানের বাবার নামে রেকর্ড হয়। সেই রেকর্ড সংশোধনী মামলা দায়ের করলে সেটি প্রত্যাহার করে সত্যের জন্য পুনরায় মামলা করেন। এখানে মারপিট তেমন কিছু ঘটেনি।  ইজ্জত খান ট্রাক্টরের মধ্যে হাত লাগিয়ে তার আঙ্গুলের কিছু অংশ কেটে যায়।
নেত্রকোনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কাজী শাহ বলেন, ইজ্জত খান রানা আঙ্গুল কাটার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Gojnobi biplob

Popular Post

মাহিন হত্যা মামলায় আরো এক আসামি গ্রেফতার হলো ফটিকছড়িতে

নেত্রকোনায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পৌরসভার কর্মীকে মারপিট

প্রকাশের সময় : ০৮:০৬:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫
নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনা পৌরসভার কর্মী ইজ্জত খান রানা কে (৫১) জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মারপিট করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় ইজ্জত খান রানা বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করার বিষয়টি বুধবার বিকালে নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি কাজী মোঃ শাহনেওয়াজ। এর আগে রবিবার বিকেলে ইজ্জত আলী খান তার জমিতে প্রাক্তন নিয়ে হাল চাষ করতে গেলে মুঘল আজম খান ও শাহনূর খান এর লোকজন মারপিট করেন। এতে তার হাতের দুটি আঙ্গুলের অগ্রভাগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ইজ্জত খান রানা নেত্রকোনা পৌরসভার পশ্চিম সাতপাই এলাকার মৃত আলী হোসেন খানের ছেলে। তিনি নেত্রকোনা পৌরসভার পানি রক্ষণাবেক্ষণ শাখার একজন কর্মী।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইজ্জত খান রানার বাবা আলী হোসেন খানের নামে বিআরএস রেকর্ডকৃত জমি মুঘল খান ও শাহনূর খানের লোকজন দখল করে রাখেন। পরে জমি রেকর্ড সংশোধনের জন্য শাহানুর খানের চাচাতো বোন সালেহা বেগম নেত্রকোনা আদালতে ২০০৮ সালে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ২০২৫ সালে সেপ্টেম্বরে ইজ্জত খান রানার বাবার পক্ষে রায় হয়। পরে গত রবিবার বিকালে জমিতে হাল চাষ করার জন্য ট্রাক্টর নিয়ে যান ইজ্জত খান। খবর পেয়ে মুঘল আজম খান ও শাহনুর খান লোকজন নিয়ে তার ওপর হামলা করেন। এতে রানার দুটি আঙ্গুলের অগ্রভাগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন। তার অবস্থা অসংখ্যজনক হওয়ায় মঙ্গলবার সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে প্রেরণ করেন চিকিৎসক এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ইজ্জত খান রানা নিজে বাদী হয়ে নেত্রকোনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
শাহানুর খান বুধবার বিকেলে মোবাইল ফোনে জানান, ইজ্জত খান রানা যে জমিতে হাল চাষ করতে গিয়েছিল সেটি তার চাচাতো বোন সালেহা বেগমের। সেই জমি একাধিকবার কয়েকজনের কাছে বিক্রি হয়েছে। ইজ্জত খান এবং সালেহা বেগম সম্পর্কের চাচাতো ভাই বোন। বেগমের বাবার ভাগের জমি ইজ্জত খানের বাবার নামে রেকর্ড হয়। সেই রেকর্ড সংশোধনী মামলা দায়ের করলে সেটি প্রত্যাহার করে সত্যের জন্য পুনরায় মামলা করেন। এখানে মারপিট তেমন কিছু ঘটেনি।  ইজ্জত খান ট্রাক্টরের মধ্যে হাত লাগিয়ে তার আঙ্গুলের কিছু অংশ কেটে যায়।
নেত্রকোনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কাজী শাহ বলেন, ইজ্জত খান রানা আঙ্গুল কাটার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।