
বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে ঝালকাঠি -১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) সংসদীয় আসনে ড. ফয়জুল হক নিজেকে স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাব হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা করেন। সম্প্রতি তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগের ঘোষনা দিলে দেশব্যাপী বিষয়টি আলোচিত হয়।
ফয়জুল হক বক্তব্যে তার রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। এসময় তার সমর্থনে বক্তৃতা করেন, মাওলানা আযিযুর রহমান হোমিও প্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. মোসাদ্দেক হোসেন, কাঠালিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ইদ্রিস আলী মিয়া, রাজাপুর ইউসুফ আলী খান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ফারুক আহমেদ, কাঠালিয়ার সাবেক কলেজ অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোফাজ্জেল হোসেন।
এসময় বিভিন্ন স্তরের লোকজনসহ তার কর্মী-সমর্থকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ড. ফয়জুল হক তার বক্তব্যে বলেন, রাজনীতিতে শান্তির বার্তা নিয়ে রাজাপুর- কাঠালিয়ায় সবার সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চাই। যেখানে অন্যায় অপরাধ আছে তার বিরুদ্ধেই আমার কণ্ঠ সোচ্চার ভূমিকা পালন করে। যারা নিরাপরাধ, নির্যাতিত তাদের পক্ষেই আমার অবস্থান।
আওয়ামীলীগের ফ্যাসিবাদীর বিরুদ্ধে কথা বলায় তাদের শাসনামলের শেষের ৬ বছর আমাকে দেশে আসতে দেয়া হয়নি। তবুও সবসময় বিভিন্ন মিডিয়াতে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। এ জন্য তাকে তুর্কিতে ৬ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়েছিলো এবং মালয়েশিয়াতে দুই বার গুম করার চেষ্টা করা হয়েছিলো। তিনি আরো বলেন, মালয়োশিয়া বিএনপিতে আমি সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ছিলাম।
বিএনপির স্বর্ণ সময়ে আমি পদত্যাগ করেছি। কারণ তারা এখন চাঁদাবাজি, দখল, ছিনতাই, হত্যা, দালালীসহ নানান অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে। আমি সবসময়ে নির্যাতিতের পক্ষে এবং নির্যাতনকারী ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে। ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাস করি। ড. ফয়জুল হক আরো বলেন, রাজাপুর-কাঠালিয়ায় যে জোয়ার শুরু হয়েছে তাতে সাবেক এমপি, মন্ত্রী যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসুক তাঁদের সাথেই নির্বাচন জমবে। সবার থেকে অন্তত ৬০থেকে ৭০হাজার ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।