ঢাকা ১২:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় টিআর ও কাবিটা প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ।

নেত্রকোনা কেন্দুয়া উপজেলায় টি,আর ও কাবিটা প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্বে। বেশীরভাগ প্রকল্পে একাংশের কাজ করে উত্তোলন করা হয়েছে পুরো টাকা। কোন কোন প্রকল্পের কাজ না করেই উত্তোলন করা হয়েছে সমুদয় টাকা। এক জায়গার প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে অন্য জায়গায়। ইউপি সদস্যকে প্রকল্পের সভাপতি সাজিয়ে টাকা আত্নসাধের অীভযোগ ইউপি সচিবের বিরুদ্বে।

প্রকল্পে অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ থেকে বাদ যায়নি প্রকল্পের পিআইসি, ইউপি সচিব, প্রশাসক সহ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। তবে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস প্রশাসনের।

নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার ১৩ টি ইউনয়ন ও ১টি পৌরসভা রয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাটামো উন্নয়নে টি,আর ও কাবিটা প্রকল্পে ১ম ও ২য় পর্যায়ে মোট ৩ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা  বরাদ্ব দেয় সরকার। নীতিমালা অনুযায়ী ৩০ জুনের মধ্যে সকল প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন শেষে সমুদয় টাকা উত্তেলনের বিধান থাকলেও তা মানা হয়নি এ উপজেলায়। ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে বলাইশিমুল ইউনিয়নে কচন্দরা খেলার মাঠে মাটি ভরাট বাবদ ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্ব দেওয়া হলে প্রকল্পে কোন কাজ না করেই ১০ লক্ষ টাকা খরচ দেখানোর অভিযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্বে।

২০২৪-২৫ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) প্রকল্পে ১ম ও ২য় পর্যায়ে গড়াডোবা ইউনিয়নের ভরাপাড়া পাকা রাস্তা হতে বিদ্যাবল্লভ মজিবরের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার প্রকল্পে ৩ লক্ষ টাকা বরাদ্ব দেওয়া হলেও একাংশের কাজ বাকী রেখেই সমুদয় টাকা  উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে  প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে। ওয়াই দাখিল মাদ্রাসায় আসবাবপত্র ক্রয় করা হলেও  মাদ্রাসা মাঠে মাঠি ভরাটের টাকা আত্নসাধ হয়েছে। গড়াডোবা ইউপি সদস্য কাঞ্চন মিয়ার কজেও রয়েছে অনেক অনিয়ম,  গড়াডোবা বাঁশাটি পাকা রাস্তা হতে কাটাহুসিয়া রাস্তা মেরামত বাবদ বরাদ্ব ৩ লাখ টাকা। প্রকল্প সভাপতি সোনামিয়া মাত্র ৮০ হাজার টাকার কাজ করিয়ে বাকি টাকা আত্নসাধ করেছে বল দাবি ইউপি সদস্য ও এলাকাবাসীর।

গড়াডোবা ইউনিয়নের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, ব্রীজ পর্যন্ত মাঠি কাটা হলেও প্রকল্প সভাপতি শেষ করেননি সমস্থ কাজ। আমরা গরীব মানুষ তাদের বিরুদ্বে কথা বল্লে আমরা গ্রামে থাকতে পারবনা।

প্রকল্পের সভাপতি .  গড়াডোবা ইউনিয়ন, ইউপি সদস্য,   আনিছুর রহমান বলেন, একাংশের কাজ বাকী রেখেই সমুদয় টাকা উত্তোলনের কথা স্বীকার করেন ।

গড়াডোবা ইউনিয়নে  বিদ্যাবল্লভ ফারুকের বাড়ি হতে  আজিজুল মৌলানার বাড়ি পর্যন্ত  রাস্তার ২ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা বরাদ্বে এইচবিবি করণের কথা থাকলেও বিদ্যাবল্লভ সাখড়া রাস্তা থেকে ফারুকের বাড়ি পর্যন্ত গিয়েই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শেষ করা হয়েছে, যা আজিজুল মৌলানার বাড়ি পর্যন্ত করার কথা ছিল।

সাখড়া উত্তর পাড়া জামে মসজিদ উন্নয়ন বাবদ ৬৫  হাজার টাকা বরাদ্ধ পেলেও প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়নি।  প্রকল্প সভাপতি স্বপন মিয়া  ৪৬ হাজার টাকা মাদ্রাসা কমিটিকে প্রদান করে বাকি ১৯ হাজার টাকা আত্নসাধ করেছেন।  এবং ওয়াই দাখিল মাদ্রাসায় আসবাবপত্র ক্রয় ও মাদ্রাসার মাঠে মাটি ভরাট প্রকল্পে বরাদ্ধ থাকলেও মাদ্রসার মাঠে মাটি ভরাট না করেই সমুদয় টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

প্রকল্পের সভাপতি সাজিয়ে চেক প্রতারণার মাধ্যমে  টাকা উত্তোলনের অভিযোগও আছে ইউপি সচিবের বিরোদ্ধে।

ইউপি সদস্য,  মঞ্জুরা  আক্তার বলেন, আমাকে কোন  প্রকল্পের সভাপতি করা হয়েছে তা আমি নিজেই জানিনা। একদিন ইউপি সচিব আমাকে বল্ল  একটি চেক বইয়ের পাতায় স্বক্ষর করতে । আমি সচিবের কথায় স্বাক্ষর করেছি  পরে শুনতে পারলাম বিদ্যাবল্লভ ব্রীজের মেরাত করা হয়েছে।  সচিব আমার  স্বাক্ষর নিয়ে ব্যাংক থেকে প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করেছে। আমি  ইউএনও স্যারের কাছে  বিষয়টি বলেছি। এ নিয়ে তদন্তও হয়েছে। আমি আদালতেও মামলা করেছি সু বিচার পাওয়ার জন্য।

একই অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টি,আর) প্রকল্পে কান্দিউড়া ইউনিয়নের দিঘলকুর্শা হারেছ মেম্বারের বাড়ি হতে রব্বানী মুন্সির বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার এবং দিঘলকুর্শা গ্রামের দক্ষিণ পাশের কবরস্থানে মাটি ভরাটের কাজ না করেই সমুদয় টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রকল্পের সভাপতি নারী ইউপি সদস্য শাপলা আক্তারের বিরোদ্ধে।

দিঘলকুর্শা গ্রামের বাসিন্দারা জানান, রাস্তা মেরামতের বরাদ্ব এসেছে শুনেছি কিন্তু রাস্তায় মাঠি কাটতে দেখিনি।

ইউপি সদস্য শাপলা আক্তারের দাবি, মাটির অভাবে একাংশের কাজ বাকী রেখেই উত্তোলন করেছেন সমুদয় টাকা। আর অবশিষ্ট  টাকা জমা রেখেছেন ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসকের কাছে। যদিও প্রশাসক তা অস্বীকার করেন। কান্দিউড়া ইউনিয়ন পরিষদ, প্রশাসক,  মোঃ হুমায়ুন মির্জা বলেন, আমি কোন টাকা জমা রাখিনি।

প্রবীন গণমাধ্যম কর্মী বলেন, অর্ন্তবতী সরকারের আমলে বিভিন্ন প্রকল্পে হরিলুট শুরু হয়েছে। শেখ হাসিনার আমলে প্রকল্পগুলিই  বেশীর ভাগ আনিয়ম দুর্নীতি লক্ষ করা যায়। হাসিনার ধুষররাই  গাফটি মেরে থেকে এই লুটপাটের সাথে জরিত। প্রকল্প সরেজমিনে  তদারকি না করেই বিল উত্তোলণের দ্বায় এড়াতে পারেন না প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা।

এশিয়ান টিভির সাংবাদিক আল-আমীন বলেন, আমি কেন্দুয়া উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন প্রকল্প  সরজমিনে  তদারকি করে দেখেছি। বেশীর ভাগ প্রকল্পে রয়েছে রড় রকমের অনিয়ম। আর এ অনিয়ম গুলিকে  বৈধতা দিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। বিভিন্ন প্রকল্পের অনিয়ম দুর্নীতি প্রমাণ থাকায়  প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা  আজিজুর রহমান  অনৈতিক প্রস্তাবে আমাকে মেনেজ করার চেষ্টা করে। আমি আমার পেষাগত  দ্বায়িত্বে অবিচল থাকায় তা পারেননি, অনেক নেতাকর্মী ও গণমাধ্যম কর্মী দিয়েও  আমাকে থামাতে চেষ্টা করা হয়েছে।

প্রকল্পে অনিয়ম দূর্নীতির সাথে যেই জড়িত থাক তার বিরোদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক,  বনানী বিশ্বাস,বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।

বিভিন্ন প্রকল্পের অনিয়ম খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণের দাবি উপজেলাবাসীর।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Gojnobi biplob

Popular Post

মাহিন হত্যা মামলায় আরো এক আসামি গ্রেফতার হলো ফটিকছড়িতে

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় টিআর ও কাবিটা প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ।

প্রকাশের সময় : ১১:০৯:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫

নেত্রকোনা কেন্দুয়া উপজেলায় টি,আর ও কাবিটা প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্বে। বেশীরভাগ প্রকল্পে একাংশের কাজ করে উত্তোলন করা হয়েছে পুরো টাকা। কোন কোন প্রকল্পের কাজ না করেই উত্তোলন করা হয়েছে সমুদয় টাকা। এক জায়গার প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে অন্য জায়গায়। ইউপি সদস্যকে প্রকল্পের সভাপতি সাজিয়ে টাকা আত্নসাধের অীভযোগ ইউপি সচিবের বিরুদ্বে।

প্রকল্পে অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ থেকে বাদ যায়নি প্রকল্পের পিআইসি, ইউপি সচিব, প্রশাসক সহ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। তবে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস প্রশাসনের।

নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার ১৩ টি ইউনয়ন ও ১টি পৌরসভা রয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাটামো উন্নয়নে টি,আর ও কাবিটা প্রকল্পে ১ম ও ২য় পর্যায়ে মোট ৩ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা  বরাদ্ব দেয় সরকার। নীতিমালা অনুযায়ী ৩০ জুনের মধ্যে সকল প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন শেষে সমুদয় টাকা উত্তেলনের বিধান থাকলেও তা মানা হয়নি এ উপজেলায়। ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে বলাইশিমুল ইউনিয়নে কচন্দরা খেলার মাঠে মাটি ভরাট বাবদ ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্ব দেওয়া হলে প্রকল্পে কোন কাজ না করেই ১০ লক্ষ টাকা খরচ দেখানোর অভিযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্বে।

২০২৪-২৫ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) প্রকল্পে ১ম ও ২য় পর্যায়ে গড়াডোবা ইউনিয়নের ভরাপাড়া পাকা রাস্তা হতে বিদ্যাবল্লভ মজিবরের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার প্রকল্পে ৩ লক্ষ টাকা বরাদ্ব দেওয়া হলেও একাংশের কাজ বাকী রেখেই সমুদয় টাকা  উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে  প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে। ওয়াই দাখিল মাদ্রাসায় আসবাবপত্র ক্রয় করা হলেও  মাদ্রাসা মাঠে মাঠি ভরাটের টাকা আত্নসাধ হয়েছে। গড়াডোবা ইউপি সদস্য কাঞ্চন মিয়ার কজেও রয়েছে অনেক অনিয়ম,  গড়াডোবা বাঁশাটি পাকা রাস্তা হতে কাটাহুসিয়া রাস্তা মেরামত বাবদ বরাদ্ব ৩ লাখ টাকা। প্রকল্প সভাপতি সোনামিয়া মাত্র ৮০ হাজার টাকার কাজ করিয়ে বাকি টাকা আত্নসাধ করেছে বল দাবি ইউপি সদস্য ও এলাকাবাসীর।

গড়াডোবা ইউনিয়নের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, ব্রীজ পর্যন্ত মাঠি কাটা হলেও প্রকল্প সভাপতি শেষ করেননি সমস্থ কাজ। আমরা গরীব মানুষ তাদের বিরুদ্বে কথা বল্লে আমরা গ্রামে থাকতে পারবনা।

প্রকল্পের সভাপতি .  গড়াডোবা ইউনিয়ন, ইউপি সদস্য,   আনিছুর রহমান বলেন, একাংশের কাজ বাকী রেখেই সমুদয় টাকা উত্তোলনের কথা স্বীকার করেন ।

গড়াডোবা ইউনিয়নে  বিদ্যাবল্লভ ফারুকের বাড়ি হতে  আজিজুল মৌলানার বাড়ি পর্যন্ত  রাস্তার ২ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা বরাদ্বে এইচবিবি করণের কথা থাকলেও বিদ্যাবল্লভ সাখড়া রাস্তা থেকে ফারুকের বাড়ি পর্যন্ত গিয়েই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শেষ করা হয়েছে, যা আজিজুল মৌলানার বাড়ি পর্যন্ত করার কথা ছিল।

সাখড়া উত্তর পাড়া জামে মসজিদ উন্নয়ন বাবদ ৬৫  হাজার টাকা বরাদ্ধ পেলেও প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়নি।  প্রকল্প সভাপতি স্বপন মিয়া  ৪৬ হাজার টাকা মাদ্রাসা কমিটিকে প্রদান করে বাকি ১৯ হাজার টাকা আত্নসাধ করেছেন।  এবং ওয়াই দাখিল মাদ্রাসায় আসবাবপত্র ক্রয় ও মাদ্রাসার মাঠে মাটি ভরাট প্রকল্পে বরাদ্ধ থাকলেও মাদ্রসার মাঠে মাটি ভরাট না করেই সমুদয় টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

প্রকল্পের সভাপতি সাজিয়ে চেক প্রতারণার মাধ্যমে  টাকা উত্তোলনের অভিযোগও আছে ইউপি সচিবের বিরোদ্ধে।

ইউপি সদস্য,  মঞ্জুরা  আক্তার বলেন, আমাকে কোন  প্রকল্পের সভাপতি করা হয়েছে তা আমি নিজেই জানিনা। একদিন ইউপি সচিব আমাকে বল্ল  একটি চেক বইয়ের পাতায় স্বক্ষর করতে । আমি সচিবের কথায় স্বাক্ষর করেছি  পরে শুনতে পারলাম বিদ্যাবল্লভ ব্রীজের মেরাত করা হয়েছে।  সচিব আমার  স্বাক্ষর নিয়ে ব্যাংক থেকে প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করেছে। আমি  ইউএনও স্যারের কাছে  বিষয়টি বলেছি। এ নিয়ে তদন্তও হয়েছে। আমি আদালতেও মামলা করেছি সু বিচার পাওয়ার জন্য।

একই অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টি,আর) প্রকল্পে কান্দিউড়া ইউনিয়নের দিঘলকুর্শা হারেছ মেম্বারের বাড়ি হতে রব্বানী মুন্সির বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার এবং দিঘলকুর্শা গ্রামের দক্ষিণ পাশের কবরস্থানে মাটি ভরাটের কাজ না করেই সমুদয় টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রকল্পের সভাপতি নারী ইউপি সদস্য শাপলা আক্তারের বিরোদ্ধে।

দিঘলকুর্শা গ্রামের বাসিন্দারা জানান, রাস্তা মেরামতের বরাদ্ব এসেছে শুনেছি কিন্তু রাস্তায় মাঠি কাটতে দেখিনি।

ইউপি সদস্য শাপলা আক্তারের দাবি, মাটির অভাবে একাংশের কাজ বাকী রেখেই উত্তোলন করেছেন সমুদয় টাকা। আর অবশিষ্ট  টাকা জমা রেখেছেন ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসকের কাছে। যদিও প্রশাসক তা অস্বীকার করেন। কান্দিউড়া ইউনিয়ন পরিষদ, প্রশাসক,  মোঃ হুমায়ুন মির্জা বলেন, আমি কোন টাকা জমা রাখিনি।

প্রবীন গণমাধ্যম কর্মী বলেন, অর্ন্তবতী সরকারের আমলে বিভিন্ন প্রকল্পে হরিলুট শুরু হয়েছে। শেখ হাসিনার আমলে প্রকল্পগুলিই  বেশীর ভাগ আনিয়ম দুর্নীতি লক্ষ করা যায়। হাসিনার ধুষররাই  গাফটি মেরে থেকে এই লুটপাটের সাথে জরিত। প্রকল্প সরেজমিনে  তদারকি না করেই বিল উত্তোলণের দ্বায় এড়াতে পারেন না প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা।

এশিয়ান টিভির সাংবাদিক আল-আমীন বলেন, আমি কেন্দুয়া উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন প্রকল্প  সরজমিনে  তদারকি করে দেখেছি। বেশীর ভাগ প্রকল্পে রয়েছে রড় রকমের অনিয়ম। আর এ অনিয়ম গুলিকে  বৈধতা দিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। বিভিন্ন প্রকল্পের অনিয়ম দুর্নীতি প্রমাণ থাকায়  প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা  আজিজুর রহমান  অনৈতিক প্রস্তাবে আমাকে মেনেজ করার চেষ্টা করে। আমি আমার পেষাগত  দ্বায়িত্বে অবিচল থাকায় তা পারেননি, অনেক নেতাকর্মী ও গণমাধ্যম কর্মী দিয়েও  আমাকে থামাতে চেষ্টা করা হয়েছে।

প্রকল্পে অনিয়ম দূর্নীতির সাথে যেই জড়িত থাক তার বিরোদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক,  বনানী বিশ্বাস,বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।

বিভিন্ন প্রকল্পের অনিয়ম খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণের দাবি উপজেলাবাসীর।