ঢাকা ০৭:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালীর চাঞ্চল্যকর আলমগীর হত্যারকান্ডের অভিযোগে চার আসামীকে গ্রেপ্তার

 পটুয়াখালীর আউলিয়াপুরে আলমগীর তালুকদারকে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগে চার আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে, মো. শাহিন সিকদার (৪৩),  মো. জাফর জোমাদ্দার (৬১)  মো. রুহুল আমীন খান (৪৮) ও মো. রিপন শরীফ (৪২)। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ২৭ জুলাই  রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার মতিঝিল এলাকা থেকে প্রথমে শাহিন সিকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শাহিন আউলিয়াপুর ময়দান গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক সিকদারের ছেলে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী শাহিন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় এবং আলমগীরকে হত্যার দায় স্বীকার করেন। শাহিনের দেওয়া তথ্যেরভিত্তিতে ২৭ ও ২৮ জুলাই বিভিন্ন সময়ে অপর তিন আসামীকে সদর উপজেলার ভিন্ন ভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ)  মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল জানান, চলতি বছরের ৭ এপ্রিল রাত ৮টা থেকে ১২ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৭টার মধ্যে যে কোনো মূহুর্তে আলমগীর তালুকদারের হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধা এবং ও চোখ-মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা, অর্ধগলিত পঁচা লাশ তালাবদ্ধ নিজ বাসায় ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। যা ওই সময় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে নিহত আলমগীরের স্ত্রী মোসা. আমেনা বেগম বাদী হয়ে ওইদিনই পটুয়াখালী সদর থানার মামলা করেন।

এ নৃশংস হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের যৌথ অভিযানে শাহিনকে ঢাকার মতিঝিল এবং অন্য তিনজনকে পটুয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Gojnobi biplob

Popular Post

মাহিন হত্যা মামলায় আরো এক আসামি গ্রেফতার হলো ফটিকছড়িতে

পটুয়াখালীর চাঞ্চল্যকর আলমগীর হত্যারকান্ডের অভিযোগে চার আসামীকে গ্রেপ্তার

প্রকাশের সময় : ১১:৩৫:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

 পটুয়াখালীর আউলিয়াপুরে আলমগীর তালুকদারকে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগে চার আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে, মো. শাহিন সিকদার (৪৩),  মো. জাফর জোমাদ্দার (৬১)  মো. রুহুল আমীন খান (৪৮) ও মো. রিপন শরীফ (৪২)। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ২৭ জুলাই  রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার মতিঝিল এলাকা থেকে প্রথমে শাহিন সিকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শাহিন আউলিয়াপুর ময়দান গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক সিকদারের ছেলে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী শাহিন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় এবং আলমগীরকে হত্যার দায় স্বীকার করেন। শাহিনের দেওয়া তথ্যেরভিত্তিতে ২৭ ও ২৮ জুলাই বিভিন্ন সময়ে অপর তিন আসামীকে সদর উপজেলার ভিন্ন ভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ)  মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল জানান, চলতি বছরের ৭ এপ্রিল রাত ৮টা থেকে ১২ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৭টার মধ্যে যে কোনো মূহুর্তে আলমগীর তালুকদারের হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধা এবং ও চোখ-মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা, অর্ধগলিত পঁচা লাশ তালাবদ্ধ নিজ বাসায় ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। যা ওই সময় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে নিহত আলমগীরের স্ত্রী মোসা. আমেনা বেগম বাদী হয়ে ওইদিনই পটুয়াখালী সদর থানার মামলা করেন।

এ নৃশংস হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের যৌথ অভিযানে শাহিনকে ঢাকার মতিঝিল এবং অন্য তিনজনকে পটুয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।