ঢাকা ০৭:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিপৎসীমার ওপরে দক্ষিণাঞ্চলের ১১ নদীর পানি দুর্ভোগ চরমে

আকস্মিকভাবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টি কারণে দক্ষিণাঞ্চলের ১১টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং বেশ কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চ চলাচল চালু আছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) রিয়াদ হোসেন।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম।

বরিশাল আবহাওয়া অফিস জানায়, শুক্রবার ২৪ ঘণ্টায় ২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে এবং ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বাতাসের গতি ছিল ১০ কিলোমিটার। এই অবস্থা আগামী দুই-তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত এবং নদীবন্দরগুলোতে ১ নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ভোলা-ইলিশা রুটের লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া, অস্বাভাবিক জোয়ারে উপকূলীয় নদীতীরবর্তী জনপদ পানিতে তলিয়ে গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বরিশাল জেলার কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, ঝালকাঠির বিষখালী পয়েন্টে নদীর বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার, বরগুনার বেতাগী উপজেলার বিষখালী পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার, ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার সুরমা-মেঘনা পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৮২ সেন্টিমিটার, ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার সুরমা-মেঘনা পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১৬৫ সেন্টিমিটার, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার বুড়িশ্বর/পায়রা পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার, আমতলী উপজেলার বুড়িশ্বর/পায়রা পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার, বরগুনার বিষখালী পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটা উপজেলার বিষখালী পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার, উমেদপুর পয়েন্টে কচা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ও পিরোজপুর জেলার বলেশ্বর পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে বিভিন্ন নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম জানান, বর্ষা মৌসুমে বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ বেশকটি নদীর পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর মধ্যে সবশেষ শুক্রবার বিকেল ৫টার রিপোর্ট অনুযায়ী দক্ষিণাঞ্চলের ১১টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে বিভাগের নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, অমাবস্যার প্রভাবে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বন্যার কোনো প্রভাব নেই বলও জানান তিনি।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Gojnobi biplob

Popular Post

মাহিন হত্যা মামলায় আরো এক আসামি গ্রেফতার হলো ফটিকছড়িতে

বিপৎসীমার ওপরে দক্ষিণাঞ্চলের ১১ নদীর পানি দুর্ভোগ চরমে

প্রকাশের সময় : ১০:৪২:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

আকস্মিকভাবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টি কারণে দক্ষিণাঞ্চলের ১১টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং বেশ কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চ চলাচল চালু আছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) রিয়াদ হোসেন।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম।

বরিশাল আবহাওয়া অফিস জানায়, শুক্রবার ২৪ ঘণ্টায় ২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে এবং ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বাতাসের গতি ছিল ১০ কিলোমিটার। এই অবস্থা আগামী দুই-তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত এবং নদীবন্দরগুলোতে ১ নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ভোলা-ইলিশা রুটের লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া, অস্বাভাবিক জোয়ারে উপকূলীয় নদীতীরবর্তী জনপদ পানিতে তলিয়ে গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বরিশাল জেলার কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, ঝালকাঠির বিষখালী পয়েন্টে নদীর বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার, বরগুনার বেতাগী উপজেলার বিষখালী পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার, ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার সুরমা-মেঘনা পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৮২ সেন্টিমিটার, ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার সুরমা-মেঘনা পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১৬৫ সেন্টিমিটার, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার বুড়িশ্বর/পায়রা পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার, আমতলী উপজেলার বুড়িশ্বর/পায়রা পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার, বরগুনার বিষখালী পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটা উপজেলার বিষখালী পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার, উমেদপুর পয়েন্টে কচা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ও পিরোজপুর জেলার বলেশ্বর পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে বিভিন্ন নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম জানান, বর্ষা মৌসুমে বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ বেশকটি নদীর পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর মধ্যে সবশেষ শুক্রবার বিকেল ৫টার রিপোর্ট অনুযায়ী দক্ষিণাঞ্চলের ১১টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে বিভাগের নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, অমাবস্যার প্রভাবে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বন্যার কোনো প্রভাব নেই বলও জানান তিনি।