
নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার প্রধান এজাহারনামীয় আসামিকে গ্রেফতার করেছে কেন্দুয়া থানা পুলিশ।
প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার গোড়াশাল প্রাণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। একই অভিযানে ভিকটিম কিশোরীকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমানের দিকনির্দেশনায় এসআই (নিরস্ত্র) মো. জাহিদ হাসান রানার নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম সোমবার (২১ জুলাই) রাতেই নরসিংদী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ জুন (শনিবার) সকাল ৯টার দিকে কেন্দুয়া উপজেলার বাশাটী বাজার বায়তুসসুন্নাহ কারী মিয়া মহিলা মাদ্রাসার সামনে থেকে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী শামিমা আক্তার মরিয়মকে অপহরণ করা হয়।
মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হলে অভিযুক্তরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি সিএনজিতে ভিকটিমকে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। ঘটনার পরদিন ভিকটিমের বাবা মো. সুমন মিয়া কেন্দুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০২০)-এর ৭/৯(১)/৩০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
কেন্দুয়া থানা মামলা নং: ১৭(০৬)২৫)। পুলিশি তদন্তে উঠে আসে, মামলার প্রধান আসামি উজ্জ্বল মিয়া (২৩), পিতা মৃত নূরু মিয়া, গ্রাম পাথরাইল, থানা গৌরীপুর, জেলা ময়মনসিংহ—এই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী। তার বিরুদ্ধে কিশোরীকে অপহরণ করে আটকে রেখে ধর্ষণেরও অভিযোগ রয়েছে।
কেন্দুয়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই (নিরস্ত্র) মো. জাহিদ হাসান রানা বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর খুব কম সময়ে তদন্ত ও প্রযুক্তিগত অনুসন্ধান চালিয়ে আমরা ভিকটিমের অবস্থান নিশ্চিত করি এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।
গ্রেফতারকৃত উজ্জ্বল মিয়াকে আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) নেত্রকোনার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন—এনামুল ওরফে এমদাদুল (৪০), জেসমিন (২৫) ও জামাল মিয়া (৩০); তারা সকলেই গৌরীপুর উপজেলার পাথরাইল গ্রামের বাসিন্দা। ওসি মিজানুর রহমান জানান, “মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ সক্রিয়ভাবে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এই ঘটনায় স্থানীয় এলাকাজুড়ে চরম উদ্বেগ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।