ঢাকা ০৭:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেরপুরের ঝিনাইগাতী মাদ্রাসায় কে পাশ করল মাদরাসা সুপার কিছুই জানেন না

  • শেরপুর প্রতনিধি
  • প্রকাশের সময় : ০১:৪৪:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
  • ২১৬ বার পড়া হয়েছে

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় কোনো পরীক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। প্রতিষ্ঠানটির নাম তাওয়াকুছা তিলাতারা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা। 

১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদরাসাটিতে ১৪ জন শিক্ষক এবং ৩ জন স্টাফ রয়েছেন। এ বছর এই মাদরাসা থেকে ৪ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও ৪ জনই ফেল করেছে।

শেরপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, এ বছর শেরপুর জেলায় মাধ্যমে পাসের হার ৫৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ। দাখিলে পাসের হার ৪৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। শেরপুর জেলার ১০৫টি দাখিল মাদরাসায় শিক্ষার্থী ছিল ৩ হাজার ৩৩ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১ হাজার ৫১৩ জন শিক্ষার্থী। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৫ জন শিক্ষার্থী। শুধুমাত্র একটা দাখিল মাদরাসায় ৪ জন শিক্ষার্থী ছিল। ওই চার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি।

তাওয়াকুছা তিলাতারা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসাটি ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নে অবস্থিত। ইউনিয়নের ১নং ওয়াডের ইউপি সদস্য রহমত বলেন, আমার বাড়ির পাশেই মাদরাসাটি। এখানে তেমন পড়াশোনা হয় না। কিছুদিন আগে জানতে পেরেছি এখানে নতুন ভবন হবে। ভবন হয়ে লাভ কি, যদি পড়াশোনাই না হয়। এই মাদরাসায় নামে মাত্র এডক কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার। তিনি কোনোদিন খোঁজখবর নিয়েছে বলে মনে হয় না।

মাদরাসার সুপার মোতাবেক ঢাকা পোস্টকে জানান, রেজাল্ট খারাপ হওয়ার বিষয়ে তার কিছুই জানা নেই। কেন খারাপ হয়েছে? গত বছর কেমন রেজাল্ট ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত বছর রেজাল্ট খারাপ ছিল বা কেমন খারাপ ছিল তা জানি না। পড়াশোনা মান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ফোন কেটে দেন এবং ফোন বন্ধ করে দেন।

তাওয়াকুছা তিলাতারা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার এডিট কমিটির সভাপতি এবং ঝিনাইগাতী উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. আশরাফুল আলম রাসেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, ৫ আগস্টের পর পদাধিকারের বলে তিনি উপজেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি। প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় এই প্রতিষ্ঠানে তেমন ক্লাস হয় না। এখন থেকে এই মাদরাসা বিষয় আমি নিয়মিত মনিটরিং করব উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে একটু আগে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নিয়মিত খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Gojnobi biplob

Popular Post

মাহিন হত্যা মামলায় আরো এক আসামি গ্রেফতার হলো ফটিকছড়িতে

শেরপুরের ঝিনাইগাতী মাদ্রাসায় কে পাশ করল মাদরাসা সুপার কিছুই জানেন না

প্রকাশের সময় : ০১:৪৪:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় কোনো পরীক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। প্রতিষ্ঠানটির নাম তাওয়াকুছা তিলাতারা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা। 

১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদরাসাটিতে ১৪ জন শিক্ষক এবং ৩ জন স্টাফ রয়েছেন। এ বছর এই মাদরাসা থেকে ৪ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও ৪ জনই ফেল করেছে।

শেরপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, এ বছর শেরপুর জেলায় মাধ্যমে পাসের হার ৫৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ। দাখিলে পাসের হার ৪৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। শেরপুর জেলার ১০৫টি দাখিল মাদরাসায় শিক্ষার্থী ছিল ৩ হাজার ৩৩ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১ হাজার ৫১৩ জন শিক্ষার্থী। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৫ জন শিক্ষার্থী। শুধুমাত্র একটা দাখিল মাদরাসায় ৪ জন শিক্ষার্থী ছিল। ওই চার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি।

তাওয়াকুছা তিলাতারা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসাটি ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নে অবস্থিত। ইউনিয়নের ১নং ওয়াডের ইউপি সদস্য রহমত বলেন, আমার বাড়ির পাশেই মাদরাসাটি। এখানে তেমন পড়াশোনা হয় না। কিছুদিন আগে জানতে পেরেছি এখানে নতুন ভবন হবে। ভবন হয়ে লাভ কি, যদি পড়াশোনাই না হয়। এই মাদরাসায় নামে মাত্র এডক কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার। তিনি কোনোদিন খোঁজখবর নিয়েছে বলে মনে হয় না।

মাদরাসার সুপার মোতাবেক ঢাকা পোস্টকে জানান, রেজাল্ট খারাপ হওয়ার বিষয়ে তার কিছুই জানা নেই। কেন খারাপ হয়েছে? গত বছর কেমন রেজাল্ট ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত বছর রেজাল্ট খারাপ ছিল বা কেমন খারাপ ছিল তা জানি না। পড়াশোনা মান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ফোন কেটে দেন এবং ফোন বন্ধ করে দেন।

তাওয়াকুছা তিলাতারা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার এডিট কমিটির সভাপতি এবং ঝিনাইগাতী উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. আশরাফুল আলম রাসেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, ৫ আগস্টের পর পদাধিকারের বলে তিনি উপজেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি। প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় এই প্রতিষ্ঠানে তেমন ক্লাস হয় না। এখন থেকে এই মাদরাসা বিষয় আমি নিয়মিত মনিটরিং করব উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে একটু আগে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নিয়মিত খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য।