
নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় রোয়াইলবাড়ি ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার ১০ম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী সুমাইয়া ধর্ষণ ও আত্নহত্যার পরোচনার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অভিযুক্ত আশরাফুল আলম পূর্ণের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সোমবার ৭ জুলাই বেলা ১টার দিকে রোয়াইলবাড়ি ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এই মানববন্ধন হয়। এরপর একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে, মাদ্রাসা প্রাঙ্গন থেকে শুরু হয়ে রোয়াইলবাড়ি বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মানববন্ধন ও মিছিল অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা স্লোগানে স্লোগানে এলাকা প্রতিবাদের ঝড় তোলে—“সুমাইয়া হত্যার বিচার চাই”, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী মরে, প্রশাসন কি করে?”, আমার বোন মরলো কেনো, জবাব চাই”, “খুনি ও ধর্ষকের ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই” ইত্যাদি।
মানববন্ধন শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বক্তারা বলেন, এ ঘটনায় নির্দিষ্ট আসামি থাকলেও এখনও তাকে গ্রেফতার না করায় এলাকায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা দ্রুত আসামির গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান। তাদের ধারণা ধর্ষণকারী ছাত্রদলের সদস্য হওয়ায় এখন পর্সন্ত গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
উল্লেখ্য, দির্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কের জেরে বিয়ের প্রলোভনে আশরাফুল আলম পূর্ণের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে সুমাইয়ার। পরবর্তীতে পূর্ণ তা অস্বীকার করলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে সুমাইয়া। গত ২৯ জুন কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, এরপর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নেয়ার পথে ১ জুলাই সকালে গাজীপুরের স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় রাস্তায় মাইক্রোবাসের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় গত ৩ জুলাই কেন্দুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন সুমাইয়ার বাবা। কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় মামলা রজু করা হয়েছে এবং পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসামি গ্রেফতারে কাজ করছে।