ঢাকা ১২:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তাবেদারী না করলেই নেত্রকোনায় দলীয় মামলায় নাম দেওয়া হয় পেশাদার গণমাধ্যমকর্মীদেরকে

ছবি বামে সাংবাদিক মৃনাল কান্তি দেব ও ডানে  শফিকুল ইসলাম।

সংগৃহীত ছবি

নেত্রকোনায় এক বছর আগে বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ এনে খালিয়াজুরী উপজেলায় আরও একটি মামলা  দায়ের করা হয়েছে।গতকাল ৩ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেন খালিয়াজুরী থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা । এরাআগে  বুধবার উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মজলু মিয়া বাদী হয়ে থানায় অভিযোগটি দায়ের করেন।

নেত্রকোনা  জেলায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীরা  জানান,  গত দুই-তিন মাসে যে কয়েকটি  রাজনৈতিক মামলা হয়েছে তাতে দেখা গেছে বিএনপি’র পক্ষ থেকে মামলা হলেই জেলায় পেশাগত সাংবাদিকদেরকে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।  কারণ সাংবাদিকরা তাদের তাবেদারী না কারা ।  যা ফ্যাসিবাদী আচরণের বহিঃপ্রকাশ ও নিন্দীয়। মুলতঃ স্বাধীন সংবাদ প্রবাহে বাঁধা প্রদানের উদ্দেশ্যে সাংবাদিকদের মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। এই কয়েক মাসে  জেলার ১০ জনের বেশি সাংবাদিককে দলীয় রাজনৈতিক মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। যা কাম্য নয় বলে অভিমত ব্যক্ত করেন গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ।

জানা যায়, বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা এই মামলায় ১৮৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে নেত্রকোনা-৪ (মোহনগঞ্জ-মদন-খালিয়াজুরি) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাজ্জাদুল হাসানকে। ২ নম্বর আসামি করা হয় খালিয়াজুরি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিজিএমের সাবেক পরিচালক রব্বানী জব্বারকে। আসামিদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি চাকুরিজীবী এবং সাংবাদিকও আছেন।

মামলায় ৫১ নম্বর আসামি করা হয়েছে যুগান্তরের খালিয়াজুরি উপজেলা প্রতিনিধি ও উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলামকে। তিনি সিদ্দিকুর রহমান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী। আর ১০৬ নম্বর আসামি করা হয়েছে সকালের সময়  পত্রিকার খালিয়াজুরি উপজেলা প্রতিনিধি মৃণাল কান্তি দেবকে।

সরকারি চাকুরিজীবীদের মধ্যে ১৩ নম্বর আসামি করা হয় মো. শাহিন মিয়াকে। তিনি স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত। আর ২০ নম্বর আসামি করা হয় রাজন তালুকদারকে। তিনি বারহাট্টা উপজেলায় খাদ্য গুদামে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কর্মরত।২৬ নম্বর আসামি আদিল মিয়া সিদ্দিকুর রহমান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক। ২৭ নম্বরে করা আসামি আসাদুল ইসলাম খালিয়াজুরি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক।

এ ছাড়া ১৮৬ নম্বর আসামি আবদুল মোনায়েমকে। তিনি নূরপুর বোয়ালী দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক। ৫৭ নম্বরের আসামি রফিকুল ইসলাম প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন কালবে সরকারি ব্যবস্থাপক হিসেবে কলমাকান্দায় কর্মকর্তা।

এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, গত বছরের ১৬ জুলাই বেলা ১২টা ২০ মিনিটে খালিয়াজুরি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সভা দলীয় কার্যালয়ে চলাকালে এক নম্বর বিবাদীর  হুকুমে ২ নম্বর থেকে ১০ নম্বর বিবাদীর  নেতৃত্বে  অভিযোগে উল্লেখিত বিবাদীরা  অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভয়ভীতি দেখানোসহ দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর চালিয়ে সভা পণ্ড করে দেয়। এ ছাড়া রাস্তা বন্ধ করে ১৫টি মোটরসাইকেল ও তিনটি ইজিবাইক যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে । ঐ ঘটনায় কিছুটা দেরিতে হলেও তিনি মামলাটি করেছেন।

এ বিষয়ে গতকাল  বৃহস্পতিবার বিকালে বাদী মজলু মিয়ার গণমাধ্যম কর্মীদেরকে বলেন, ‘দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত হয় মামলা করতে হবে। তাই আমি মামলার বাদী হয়েছি।সাংবাদিকরাতো সংবাদ সংগ্রহ করেছেল, তাহলে তাদের নামে কেন মামলা দিলেন? এই  প্রশ্নে তিনি উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন। পর পর আরও ফোন করা হলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি

গত বছর আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ১৭ আগস্ট থেকে এখন  পর্যন্ত জেলায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত ৬০টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ছয় হাজারের মতো  রাজনৈতিক ব্যাক্তি ও  পেশাদার গণমাধ্যম কর্মীকে বিবাদী করা হয়েছে ।

মামলার আসামি সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এজাহারে যে সময় ও ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে, সে সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। আমাকে অহেতুক হয়রানি করা হচ্ছে। আমি কোন রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নই। সাংবাদিক মৃণাল কান্তি দেব জানান, আমি অন্যায় অবিচার দেখলেই প্রতিবাদ করি সেটা বিএনপি কিংবা আওয়ামী লীগ যে কোন দল হউক না কেন। আমি কোন দলের তাবেদারী করি না, আমি মহান পেষা সাংবাদিকতা করি এটাই আমার অপরাধ। আমাকে  হয়রানি করার জন্যই  এই মামলায় আসামি করা হয়েছে। এরকম কোন ঘটনােআমার  জানা নেই ও  এর সঙ্গে তিনি সম্পৃক্তও নই।

খালিয়াজুরি প্রেসক্লাবের আহবায়ক মো. হাবিবুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, শফিকুল ইসলাম ও মৃণাল দেব তাঁরা পেশাদার সাংবাদিক। সহিংসতাসংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগ এনে তাঁদের এভাবে আসামি করা স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী। এটা তাঁদের জন্য অত্যন্ত মানহানিকর ও অসম্মানজনক। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আশা করছি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খালিয়াজুরি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুর রউফ স্বাধীন বলেন, মামলায় আসামিদের বিষয় আমার জানা নেই। বাদী আমার সঙ্গে পরামর্শ করেননি। এ নিয়ে আমাকে অনেকেই ফোন করছেন। আপনি আমাদের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের কাছ থেকে জানলে ভালো হয়। তিনি সব কিছু বলতে পারবেন। তবে মাহবুবুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

খালিয়াজুরি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুকবুল হোসেন বলেন, মামলার পর অভিযান চালিয়ে তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। অবশ্য এর মধ্যে বেশ কয়েকজন আসামি অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Gojnobi biplob

Popular Post

মাহিন হত্যা মামলায় আরো এক আসামি গ্রেফতার হলো ফটিকছড়িতে

তাবেদারী না করলেই নেত্রকোনায় দলীয় মামলায় নাম দেওয়া হয় পেশাদার গণমাধ্যমকর্মীদেরকে

প্রকাশের সময় : ০৯:৪২:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫

ছবি বামে সাংবাদিক মৃনাল কান্তি দেব ও ডানে  শফিকুল ইসলাম।

সংগৃহীত ছবি

নেত্রকোনায় এক বছর আগে বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ এনে খালিয়াজুরী উপজেলায় আরও একটি মামলা  দায়ের করা হয়েছে।গতকাল ৩ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেন খালিয়াজুরী থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা । এরাআগে  বুধবার উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মজলু মিয়া বাদী হয়ে থানায় অভিযোগটি দায়ের করেন।

নেত্রকোনা  জেলায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীরা  জানান,  গত দুই-তিন মাসে যে কয়েকটি  রাজনৈতিক মামলা হয়েছে তাতে দেখা গেছে বিএনপি’র পক্ষ থেকে মামলা হলেই জেলায় পেশাগত সাংবাদিকদেরকে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।  কারণ সাংবাদিকরা তাদের তাবেদারী না কারা ।  যা ফ্যাসিবাদী আচরণের বহিঃপ্রকাশ ও নিন্দীয়। মুলতঃ স্বাধীন সংবাদ প্রবাহে বাঁধা প্রদানের উদ্দেশ্যে সাংবাদিকদের মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। এই কয়েক মাসে  জেলার ১০ জনের বেশি সাংবাদিককে দলীয় রাজনৈতিক মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। যা কাম্য নয় বলে অভিমত ব্যক্ত করেন গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ।

জানা যায়, বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা এই মামলায় ১৮৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে নেত্রকোনা-৪ (মোহনগঞ্জ-মদন-খালিয়াজুরি) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাজ্জাদুল হাসানকে। ২ নম্বর আসামি করা হয় খালিয়াজুরি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিজিএমের সাবেক পরিচালক রব্বানী জব্বারকে। আসামিদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি চাকুরিজীবী এবং সাংবাদিকও আছেন।

মামলায় ৫১ নম্বর আসামি করা হয়েছে যুগান্তরের খালিয়াজুরি উপজেলা প্রতিনিধি ও উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলামকে। তিনি সিদ্দিকুর রহমান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী। আর ১০৬ নম্বর আসামি করা হয়েছে সকালের সময়  পত্রিকার খালিয়াজুরি উপজেলা প্রতিনিধি মৃণাল কান্তি দেবকে।

সরকারি চাকুরিজীবীদের মধ্যে ১৩ নম্বর আসামি করা হয় মো. শাহিন মিয়াকে। তিনি স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত। আর ২০ নম্বর আসামি করা হয় রাজন তালুকদারকে। তিনি বারহাট্টা উপজেলায় খাদ্য গুদামে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কর্মরত।২৬ নম্বর আসামি আদিল মিয়া সিদ্দিকুর রহমান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক। ২৭ নম্বরে করা আসামি আসাদুল ইসলাম খালিয়াজুরি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক।

এ ছাড়া ১৮৬ নম্বর আসামি আবদুল মোনায়েমকে। তিনি নূরপুর বোয়ালী দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক। ৫৭ নম্বরের আসামি রফিকুল ইসলাম প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন কালবে সরকারি ব্যবস্থাপক হিসেবে কলমাকান্দায় কর্মকর্তা।

এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, গত বছরের ১৬ জুলাই বেলা ১২টা ২০ মিনিটে খালিয়াজুরি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সভা দলীয় কার্যালয়ে চলাকালে এক নম্বর বিবাদীর  হুকুমে ২ নম্বর থেকে ১০ নম্বর বিবাদীর  নেতৃত্বে  অভিযোগে উল্লেখিত বিবাদীরা  অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভয়ভীতি দেখানোসহ দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর চালিয়ে সভা পণ্ড করে দেয়। এ ছাড়া রাস্তা বন্ধ করে ১৫টি মোটরসাইকেল ও তিনটি ইজিবাইক যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে । ঐ ঘটনায় কিছুটা দেরিতে হলেও তিনি মামলাটি করেছেন।

এ বিষয়ে গতকাল  বৃহস্পতিবার বিকালে বাদী মজলু মিয়ার গণমাধ্যম কর্মীদেরকে বলেন, ‘দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত হয় মামলা করতে হবে। তাই আমি মামলার বাদী হয়েছি।সাংবাদিকরাতো সংবাদ সংগ্রহ করেছেল, তাহলে তাদের নামে কেন মামলা দিলেন? এই  প্রশ্নে তিনি উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন। পর পর আরও ফোন করা হলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি

গত বছর আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ১৭ আগস্ট থেকে এখন  পর্যন্ত জেলায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত ৬০টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ছয় হাজারের মতো  রাজনৈতিক ব্যাক্তি ও  পেশাদার গণমাধ্যম কর্মীকে বিবাদী করা হয়েছে ।

মামলার আসামি সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এজাহারে যে সময় ও ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে, সে সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। আমাকে অহেতুক হয়রানি করা হচ্ছে। আমি কোন রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নই। সাংবাদিক মৃণাল কান্তি দেব জানান, আমি অন্যায় অবিচার দেখলেই প্রতিবাদ করি সেটা বিএনপি কিংবা আওয়ামী লীগ যে কোন দল হউক না কেন। আমি কোন দলের তাবেদারী করি না, আমি মহান পেষা সাংবাদিকতা করি এটাই আমার অপরাধ। আমাকে  হয়রানি করার জন্যই  এই মামলায় আসামি করা হয়েছে। এরকম কোন ঘটনােআমার  জানা নেই ও  এর সঙ্গে তিনি সম্পৃক্তও নই।

খালিয়াজুরি প্রেসক্লাবের আহবায়ক মো. হাবিবুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, শফিকুল ইসলাম ও মৃণাল দেব তাঁরা পেশাদার সাংবাদিক। সহিংসতাসংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগ এনে তাঁদের এভাবে আসামি করা স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী। এটা তাঁদের জন্য অত্যন্ত মানহানিকর ও অসম্মানজনক। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আশা করছি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খালিয়াজুরি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুর রউফ স্বাধীন বলেন, মামলায় আসামিদের বিষয় আমার জানা নেই। বাদী আমার সঙ্গে পরামর্শ করেননি। এ নিয়ে আমাকে অনেকেই ফোন করছেন। আপনি আমাদের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের কাছ থেকে জানলে ভালো হয়। তিনি সব কিছু বলতে পারবেন। তবে মাহবুবুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

খালিয়াজুরি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুকবুল হোসেন বলেন, মামলার পর অভিযান চালিয়ে তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। অবশ্য এর মধ্যে বেশ কয়েকজন আসামি অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।