
নেত্রকোণার মদনে টিআর ও কাবিখা প্রকল্পে হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নে টিআর ও কাবিখা/কাবিটা প্রকল্পের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে।
তবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নিয়মিত মনিটরিং না থাকায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে সচেতন মহল মনে করছেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ( টিআর), কাবিকা ও খাবিটা কর্মসূচি প্রকল্পের আওয়াতায় উপজেলার ৭নং নায়েকপুর ইউনিয়নে বাশঁরী পাকা রাস্তা হতে মোয়াটি মোড় পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাট ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দ পায়। প্রকল্পের সভাপতি সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য লাখি আক্তার। প্রকল্পের অধিকাংশ কাজ রেখে নামে মাত্র কাজ করে অর্থ আত্মসাৎ করার পায়ঁতারা করছে। এ নিয়ে এলাকার সচেতন মহল প্রতিবাদ করলেও আর কোন কাজ করবে না বলে জানান প্রকল্পের সাধারণ সম্পাদক হেলাল মিয়া।
অপরদিকে একই জায়াগায় মোয়াটি মোড় হতে বাস্তা দাখিল মাদ্রাসা পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে যার বরাদ্দ ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।এই প্রকল্পের সভাপতি এলাই মিয়া । এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার প্রকল্প এলাকায় গেলে, বাশঁরী পাকা রাস্তা হতে মোয়াটি মোড় পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাট কাজ প্রায় ১লাখ ২০ হাজার টাকা এবং মোয়াটি মোড় হতে বাস্তা দাখিল মাদ্রাসা পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ কাজ করে ১লাখ ৩০হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা ।
তবে সরকারের নিয়ম অনুযায়ী প্রকল্প এলাকায় বরাদ্দের সাইন বোর্ড থাকার কথা থাকলেও কোন সাইন বোর্ড পাওয়া যায়নি। এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, আমরা মাটি দিতে পারি নাই বলে এ কাজটি করে নাই। এখন যেভাবে কাজ করেছে বৃদ্ধ মানুষ তো দূরের কথা সুস্থ সবল মানুষও এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারবে না। এ সড়কে একটি সেতু রয়েছে। সেতুর এ্যাপ্রোচ নেই। এখানেও মাটি ফেলা হয়নি।রাস্তাটি সঠিক পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের জোড় সুপারিশ করছি। এ নিয়ে বাশঁরী পাকা রাস্তা হতে মোয়াটি মোড় পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাট প্রকল্পের সভাপতি লাকী আক্তার জানান, আমি নামে মাত্র সভাপতি আছি। মূল কাজ করছে প্রকল্পের সাধারণ সম্পাদক হেলাল মিয়া।
মোয়াটি মোড় হতে বাস্তা দাখিল মাদ্রাসা পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের সভাপতি এলাই মিয়া জানান, আমার প্রকল্পের যতটুকু কাজ দরকার ছিল তা করেছি। নায়েকপুর ইউপির প্রশাসক উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মাসুদ করিম সিদ্দিকী বলেন, আমি এখনো দায়িত্ব বুঝে নেয়নি। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, প্রকল্প পরিদর্শন করে শেষ বিল দেয়ার সিন্ধান্ত নেব। উপজেলা নির্বাহী অফিসার অলিদুজ্জামান জানান, তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থ নেব।