ঢাকা ০৮:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেত্রকোনায় জমি নিয়ে বিরোধে গৃহবধূ ও তার স্বামীকে মারধর, থানায় অভিযোগ

 নেত্রকোনা সদর উপজেলার বাহির চাপড়া গ্রামে পারিবারিক জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গৃহবধূ মোছাঃ রেখা আক্তার (৩৫) ও তার স্বামী মোঃ আবুল কালাম (৪২) মারধরের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

 

হামলার অভিযোগ উঠেছে আত্মীয়স্বজনদের বিরুদ্ধেই। বর্তমানে ভুক্তভোগীরা নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় ২৯ জুন বিকেলে নেত্রকোনা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন রেখা আক্তার। অভিযুক্তরা হলেন মোঃ ফজলুর রহমান (৫৫), মোঃ নয়ন মিয়া (২৭), মোঃ জীবন মিয়া (২৩), মোছাঃ দোলেনা আক্তার (৪৭) এবং মোছাঃ মনি আক্তার (২০)। সকলেই একই এলাকার বাসিন্দা এবং বাদীর আত্মীয়। রেখা আক্তার জানান, আমার মামা ও মামাতো ভাই-বোনেরা আমাদের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ করে আসছে। আমরা একাধিকবার সালিশে বসেছি, কিন্তু তারা কোনো কিছুই মানে না। এবার তো সরাসরি হামলা চালিয়ে আমাদের রক্তাক্ত করল। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২৯ জুন বিকেলে বাদীর স্বামীর নাম ধরে গালিগালাজ শুরু করে বিবাদীরা।

 

এর প্রতিবাদ করলে তারা বেঁপোরোয়া হয়ে উঠেন এবং বাঁশের লাঠি, শোটা নিয়ে হামলা চালিয়ে স্বামী-স্ত্রী দু’জনকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। জমি নিয়ে বিরোধ অনেকদিনের, এবার যেন ভয়ংকর রূপ নিল” স্থানীয় ব্যক্তি জোৎনার মন্তব্য স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি মোঃ মামুন বলেন, দুই পরিবারে জমি নিয়ে অনেকদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছে। আমরা বহুবার মীমাংসার চেষ্টা করেছি, কিন্তু কিছুতেই সমাধান হয়নি। এবার যেটা হয়েছে, তা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক।

 

মানুষ এখন ভয়ে আছে পারিবারিক বিরোধ যদি এমন হিংস্রতায় রূপ নেয়, তাহলে ভবিষ্যতে কী হবে? অভিযোগে আরও বলা হয়, বিবাদীরা প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছে তারা জমি দখল করে নেবে এবং পরবর্তীতে সুযোগ পেলে বাদী ও তার স্বামীকে খুন করে লাশ গুম করবে। অভিযুক্তদের একজন ফজলুর রহমানকে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। নেত্রকোনা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহনেওয়াজ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Gojnobi biplob

Popular Post

মাহিন হত্যা মামলায় আরো এক আসামি গ্রেফতার হলো ফটিকছড়িতে

নেত্রকোনায় জমি নিয়ে বিরোধে গৃহবধূ ও তার স্বামীকে মারধর, থানায় অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ১২:৩৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

 নেত্রকোনা সদর উপজেলার বাহির চাপড়া গ্রামে পারিবারিক জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গৃহবধূ মোছাঃ রেখা আক্তার (৩৫) ও তার স্বামী মোঃ আবুল কালাম (৪২) মারধরের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

 

হামলার অভিযোগ উঠেছে আত্মীয়স্বজনদের বিরুদ্ধেই। বর্তমানে ভুক্তভোগীরা নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় ২৯ জুন বিকেলে নেত্রকোনা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন রেখা আক্তার। অভিযুক্তরা হলেন মোঃ ফজলুর রহমান (৫৫), মোঃ নয়ন মিয়া (২৭), মোঃ জীবন মিয়া (২৩), মোছাঃ দোলেনা আক্তার (৪৭) এবং মোছাঃ মনি আক্তার (২০)। সকলেই একই এলাকার বাসিন্দা এবং বাদীর আত্মীয়। রেখা আক্তার জানান, আমার মামা ও মামাতো ভাই-বোনেরা আমাদের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ করে আসছে। আমরা একাধিকবার সালিশে বসেছি, কিন্তু তারা কোনো কিছুই মানে না। এবার তো সরাসরি হামলা চালিয়ে আমাদের রক্তাক্ত করল। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২৯ জুন বিকেলে বাদীর স্বামীর নাম ধরে গালিগালাজ শুরু করে বিবাদীরা।

 

এর প্রতিবাদ করলে তারা বেঁপোরোয়া হয়ে উঠেন এবং বাঁশের লাঠি, শোটা নিয়ে হামলা চালিয়ে স্বামী-স্ত্রী দু’জনকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। জমি নিয়ে বিরোধ অনেকদিনের, এবার যেন ভয়ংকর রূপ নিল” স্থানীয় ব্যক্তি জোৎনার মন্তব্য স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি মোঃ মামুন বলেন, দুই পরিবারে জমি নিয়ে অনেকদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছে। আমরা বহুবার মীমাংসার চেষ্টা করেছি, কিন্তু কিছুতেই সমাধান হয়নি। এবার যেটা হয়েছে, তা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক।

 

মানুষ এখন ভয়ে আছে পারিবারিক বিরোধ যদি এমন হিংস্রতায় রূপ নেয়, তাহলে ভবিষ্যতে কী হবে? অভিযোগে আরও বলা হয়, বিবাদীরা প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছে তারা জমি দখল করে নেবে এবং পরবর্তীতে সুযোগ পেলে বাদী ও তার স্বামীকে খুন করে লাশ গুম করবে। অভিযুক্তদের একজন ফজলুর রহমানকে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। নেত্রকোনা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহনেওয়াজ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।