
ইহুদিদের ধর্ম গ্রন্তের বেখ্যা ও ঐতিহাসিক ঘটনা থেকে পর্যলোচনা করে দেখা যায়, বনি ইজরাইল ইহুদিরা যখন কোন স্বতন্ত্র কোন রাষ্ট্র বা শাসন ব্যাবস্থা ঘটন করেছে আর পতন হয়েছে আশি বছরের মধ্যে। একেই ইহুদিরা বলে থাকে অষ্টম দশকের অভিশাপ।
বর্তমানে ইহুদিদের ইজরাইল রাষ্ট্র ঘটনের ৭৬ বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে। এ ছাড়া সনাতন ইহুদি রেবেইদের রেখে যাওয়া বিভিন্ন দলিল মতে ইহুদি রাষ্ট্রের শেষ নেতার নাম হবে আতাতুল্লাহ যার হিব্রো অর্থ নেতানিয়াহু। তাহলে কি আসলেই পতন হতে যাচ্ছে ইজরাইলের? এ জন্যই কি গণহত্যা ও সংঘাতে মরিয়া হয়ে উঁঠেছে নেতানিয়াহু? ঐতিহাসিক ভাবে প্রথমবার একটি ইহুদি শ্বাসন বা বনি ইজরাইলদের সংখ্যা গরিষ্টতায় একাটি রাষ্ট্র গটিত হয় কিং ডেভিড বা দাউদ আলাইয়ে আচ্ছালামের সময়। তার ছেলে কিং সোলেইমান আলাইয়ের আচ্ছালামের সময় সেই রাষ্ট্র সর্বোচ্ছ উন্নতি করে।
সে সময় তৈরী হয় প্রথম ট্রেম্পল অব সোলাইমান বা আল আকসা মসজিদ। সোলাইমান আলাইয়ে আচ্ছালামের মৃত্যুর ৮১ তম বছরে আন্ত কোন্দলের কারণে পতন হয় সে রাজত্বের। আর সে সুযোগে জেরুযালেম আক্রমন করে ট্রিম্পল অব সোলাইমান ভেঙ্গে ফেলে ভ্যাবিল্যানিয়রা। এর বহু বছর পর হাসমেনিয়ান সা¤্রাজ্যের উত্তান হয় বর্তমান ফিলিস্থিনে। হাসমেনিয়ান সা¤্রাজ্য প্রথম ৭৭ বছর খুব দাপটের সাথে চল্লেও এর পর শুরু হয় ভাঙ্গন। অভ্যন্তরিণ কোন্দলে তার পর ক্ষমতার দাপটে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় ক্ষমতার দাবিদাররা। একদল সাহয্য চায় সিরিয়ার কাছে, আর আরেক দল সাহায্য চায় রোমান সভ্যতার। ফলাফল আবারও তৃতীয় পক্ষ সুযোগ নিয়ে ইসা আলাইয়ে আচ্ছালামের বা জিশুর জন্মের ৬৩ বছর আগে ফিলিস্থিন দখল করে ছিল রোমানিয়রা।
১৯৪৮ সালে অসম বিভাজনের মাধ্যমে ফিলিস্থিনের মাঠিতেই জন্ম নেয় বর্তমান ইজয়েল রাষ্ট্র। ২০২০ সালে দেশটি পা দিয়েছে তথাকথিত স্বাধীনতার অষ্টম দশকে। এখন মাথাছাড়া দিয়ে উঠেছে পুরুনো অভিশাপের। এ ছাড়া সনাতন ইহুদী রেবেইদের বিভিন্ন লেখনী থেকে ভবিষ্যৎ বানি পাওয়া যায় যে, ইহুদী রাষ্ট্রের শেষ নেতার নাম হবে নেতানিয়াহো । যার কারণে দুচিন্তার ছাপ পড়েছে দেশটির সর্বস্তরে। ইজরায়েলের বর্তমান রাজনীতিতেও দেখা দিয়েছে কোন্দল। জোট সরকারের প্রধান নেতানিয়াহো হলেও তার মতের সাথে একমত নেই জোটের বহু নেতাদের।
এছাড়া ক্রমশ আক্রমনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে ফিলিস্থিনের মুক্তিকামিরা। ইজরায়েল আয়রন ডোন ভেদ করে দেশটির গুরুত্বপূর্ন জায়গাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভৌগুলিক ভাবে ইজরাইলের চার পাশেই আরব সংখ্যা গরিষ্ট মুসলিম রাষ্ট্র। তাই কোন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাহায্যের আশা নেই দেশটির।
ইজরাইলের একমাত্র ক্ষমতা, আর্থীক ও সামরিক উৎস হচ্ছে আমেরিকার সমর্তন। আর যদি কোন কারণে এই সমর্থন চলে যায় তাহলে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বে ইহুদী রাষ্ট্র ইজরাইল।
এই অষ্টদশের অভিশাপকে খুব গুরুত্বসহ দেখছে ইজরাইল। শুধূ নেতারাই না সাধারণ মানুষের মনেও রয়েছে চাপা আতঙ্ক। ইজরাইলের ন্যাশানাল ব্যুরো অব ষ্ট্রেটেষ্টিক্স তথ্য মতে শুধু মাত্র ২০২৪ সালেই ১০ থেকে ১৫ লাখ ইজরাইলের সাধারণ নাগরিক দেশ ছেড়েছেন। কারণ তারা বিশ^াস করা শুরু করেছেন যে, ইজরাইলের পতন অনিবার্য।
বিশ্লেষকের মতে এ কারণেই বেপরোয়া হয়ে পড়েছেন নেতানিয়াহো। কারণ তিনি যে কোন মূল্যে এই অষ্টম প্রহরটা ঠিকে যেতে চেয়েছেন। এ জন্যই লাল গাভী বা তৃতীয় টেম্পল নির্মানে জোর দিচ্ছে ইজরাইল। তাদের বিশ^াস এই ধংস বা বিপর্যয় থেকে উদ্বার করতে আসবে তাদের মাছি। ইসলামিক কোন দলিলে যেমন কুরান বা হাদিসে আষ্টম দশকের অভিশাপের ব্যাপারে কোন উল্লেখ নেই।
ফিলিস্থিনের যোদ্বারা এর সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। এই অভিষাপের ভয়ে ইতিমধ্যে মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে গেছে ইজরাইল। সত্যিই ২০২৮ সালের আগে ইজরায়েলের পতন হবে কি না তা সময়েই বলে দিবে।
সীমা লঙ্গনের চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছ ইজরাইল। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ এই জাতিকে বহুবার সতর্ক করে দিয়েছেন। আল্লাহ নিজে বর্ননা করেছেন সীমা লঙ্গনের জন্য এই জাতিকে দুই বার শাস্তি দিয়েছিলেন। ইজরাইলের পতনের ভবিষ্যৎ বানি ও করেছেন পবিত্র কোরআনে। ফিলিস্থীন সহ মুসলিম দেশগুলি অপেক্ষার প্রহর গুনছে কখন পুরণ হবে আল্লাহর ওয়াদা।