
নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় অটোর চাপায় হোসাইন (৭) নামের এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুর আনুমানিক ২টা ৩০ মিনিটের দিকে কেন্দুয়া পৌরসভার সাউদপাড়া এলাকার মতির মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত হোসাইন তার চাচা মোঃ তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গে বের হয়েছিল। তিনি আনসার ভিডিপির একজন কর্মকর্তা। মতির মোড়ে রাস্তার এক পাশে শিশুটিকে দাঁড় করিয়ে চাচা দই কিনতে পাশের দোকানে যান।
এই ফাঁকে হোসাইন রাস্তা পার হতে গিয়ে একটি দ্রুতগামী অটোর নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। কিন্তু পথেই শিশুটি মৃত্যুবরণ করে। প্রত্যক্ষদর্শী দোকানদার ও পথচারীরা জানান, শিশুটি মাথায় আঘাত পেয়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিল। তারা অভিযোগ করে বলেন, মতির মোড় এলাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।
সপ্তাহে অন্তত এক-দুটি দুর্ঘটনা এখানে ঘটে। তাই এই স্থানে জরুরি ভিত্তিতে একটি স্পিড ব্রেকার স্থাপনের দাবি জানান তারা। নিহত হোসাইনের পিতা শহীদুল ইসলাম একজন মালয়েশিয়া প্রবাসী। তাদের গ্রামের বাড়ি কেন্দুয়া উপজেলার ৯নং নওপাড়া ইউনিয়নের শ্রীধরপুর গ্রামে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তারা কোনো মামলা-মোকদ্দমায় যেতে চাচ্ছেন না।
মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে এবং দ্রুত জানাজা ও দাফনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন কেন্দুয়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাঈন উদ্দিন, পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন আহমেদ খোকন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান শরীফ, কেন্দুয়া সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক আব্দুল কাদের নয়নসহ এলাকার বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ। কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ থেকে শিশুটির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শিশুটির অকাল মৃত্যুতে স্থানীয়রা গভীরভাবে শোকাহত।