ঢাকা ০৪:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তেলিগাতী বাজারের বেহাল দশা নিরসনে প্রশাসন নিরব

  • বেঙ্গল নিউজ ডেক্স
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৫৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
  • ৭৮৬ বার পড়া হয়েছে

 

নেত্রকোণা আটপাড়ার  ঐতিহ্যবাহী তেলিগাতী বাজারের ড্রেনেজ ব্যাবস্থা স্বচল না থাকায় বেহাল দশায় গরিণত হয়েছে বাজারটি। ময়লা আর আবর্জনার দুর্ঘন্ধে অস্তির দোকানদার ও ত্রেতারা।  পুরাতন ড্রেগুলি মেরামত আর পরিস্কার না করার কারণে  বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা শৃষ্টি হয়ে বাজারের দোকান পর্যন্ত উঠে যায় পানি। বৃষ্টির পানি আস্তে আস্তে কমতে শুরু করলে আবর্জনা গুলি রোদে পুরে শৃষ্টি হয় চরম দুর্গন্ধে। শ^াসরুদ্ব অবস্তায় চলে কেনা বেচা।  বাজারের ইজারাদার ও উপজেলা প্রশাসনকে বার বার অবহিত করার পরেও প্রশাসন রয়েছে  নিরব।

জেলার পুরাতন বাজার গুলির মধ্যে অন্যতম একটি বড় বাজার হল তেলিগাতী বাজার। এই বাজাটিতে প্রতি শুক্রবার বসে গরুর  ছাগলের হাট। বাজারটিতে ছোট বড় প্রায় পাঁচ শতাধিত ছোট বড় দোকানপাঠ রয়েছে। প্রতিবছর এই বাজারটি ইজারা বাবদ সরকারের তহবিলে জমা হয় কোটি টাকার উপড়ে। ৫ আগষ্টের পর থেকে উপজেলা প্রশাসন তহশিলদারের মাধ্যমে খাস কালেকসন করে আসছে বাজারটি। সরকারের তহবিলে জমাও হচ্ছে টাকা। কিন্তু বাজার উন্নয়নে প্রশাসনের নেই কোন ভুমিকা।

তেলিগাতী বাজারের ঔষধ ব্যাবসায়ী জাহাঙ্গীর বলেন, আবর্জনা পচে যে দুগন্ধের সৃষ্টি হয়েছে তাতে আমাদের  বাজারে ব্যাবসা করার মত কোন পরিবেশ নাই। দুর্গন্ধ এতই তিব্র যে, দোকানে বসে থাকা যায় না। কোন ক্রেতাও আসেনা। এমন অবস্থা চলতে থাকলে অসুস্থ হয়ে যাব। বাজারে ক্রেতার সংখ্যাও কমে গেছে এই পরিবেশের কারণে।

বাজারের আরেক ব্যঅবসায়ী রবিন বলেন, আমাদের এই বাজার থেকে প্রতিবছর  সরকার কোটি টাকার উপরে ইজারা নিচ্ছে, কিন্তু বাজারের উন্নয়নের ব্যাপারে প্রশাসন রয়েছে উদাসিন।  এই দর্গন্ধময় পরিবেশে আমরা টিকতে পারছিনা। এই অবস্থা চলমান থাকলে ব্যাবসা ছেড়ে বাজার থেকে চলে যেতে হবে। ড্রেনেজ ব্যাবস্থা সচল করে বাজারের ব্যাবসায়ী পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি প্রশাসনের নিকট।

ক্রেতা লিটন চৌধুরী বলেন, এমন একটা পরিবেশে কাপড় কিনতে এসে বিব্রতকর অবস্তার শিকার হয়েছি। দম বন্ধ হয়ে আসছে। ক্রেতারাসহ বাজারের ব্যাবসায়ীরা অসুস্থ হয়ে যাবে এমন পরিবেশে।

এ ব্যাপারে আটপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে  গতকাল বিকাল পাঁচটার দিকে মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Gojnobi biplob

Popular Post

মাহিন হত্যা মামলায় আরো এক আসামি গ্রেফতার হলো ফটিকছড়িতে

তেলিগাতী বাজারের বেহাল দশা নিরসনে প্রশাসন নিরব

প্রকাশের সময় : ০৯:৫৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

 

নেত্রকোণা আটপাড়ার  ঐতিহ্যবাহী তেলিগাতী বাজারের ড্রেনেজ ব্যাবস্থা স্বচল না থাকায় বেহাল দশায় গরিণত হয়েছে বাজারটি। ময়লা আর আবর্জনার দুর্ঘন্ধে অস্তির দোকানদার ও ত্রেতারা।  পুরাতন ড্রেগুলি মেরামত আর পরিস্কার না করার কারণে  বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা শৃষ্টি হয়ে বাজারের দোকান পর্যন্ত উঠে যায় পানি। বৃষ্টির পানি আস্তে আস্তে কমতে শুরু করলে আবর্জনা গুলি রোদে পুরে শৃষ্টি হয় চরম দুর্গন্ধে। শ^াসরুদ্ব অবস্তায় চলে কেনা বেচা।  বাজারের ইজারাদার ও উপজেলা প্রশাসনকে বার বার অবহিত করার পরেও প্রশাসন রয়েছে  নিরব।

জেলার পুরাতন বাজার গুলির মধ্যে অন্যতম একটি বড় বাজার হল তেলিগাতী বাজার। এই বাজাটিতে প্রতি শুক্রবার বসে গরুর  ছাগলের হাট। বাজারটিতে ছোট বড় প্রায় পাঁচ শতাধিত ছোট বড় দোকানপাঠ রয়েছে। প্রতিবছর এই বাজারটি ইজারা বাবদ সরকারের তহবিলে জমা হয় কোটি টাকার উপড়ে। ৫ আগষ্টের পর থেকে উপজেলা প্রশাসন তহশিলদারের মাধ্যমে খাস কালেকসন করে আসছে বাজারটি। সরকারের তহবিলে জমাও হচ্ছে টাকা। কিন্তু বাজার উন্নয়নে প্রশাসনের নেই কোন ভুমিকা।

তেলিগাতী বাজারের ঔষধ ব্যাবসায়ী জাহাঙ্গীর বলেন, আবর্জনা পচে যে দুগন্ধের সৃষ্টি হয়েছে তাতে আমাদের  বাজারে ব্যাবসা করার মত কোন পরিবেশ নাই। দুর্গন্ধ এতই তিব্র যে, দোকানে বসে থাকা যায় না। কোন ক্রেতাও আসেনা। এমন অবস্থা চলতে থাকলে অসুস্থ হয়ে যাব। বাজারে ক্রেতার সংখ্যাও কমে গেছে এই পরিবেশের কারণে।

বাজারের আরেক ব্যঅবসায়ী রবিন বলেন, আমাদের এই বাজার থেকে প্রতিবছর  সরকার কোটি টাকার উপরে ইজারা নিচ্ছে, কিন্তু বাজারের উন্নয়নের ব্যাপারে প্রশাসন রয়েছে উদাসিন।  এই দর্গন্ধময় পরিবেশে আমরা টিকতে পারছিনা। এই অবস্থা চলমান থাকলে ব্যাবসা ছেড়ে বাজার থেকে চলে যেতে হবে। ড্রেনেজ ব্যাবস্থা সচল করে বাজারের ব্যাবসায়ী পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি প্রশাসনের নিকট।

ক্রেতা লিটন চৌধুরী বলেন, এমন একটা পরিবেশে কাপড় কিনতে এসে বিব্রতকর অবস্তার শিকার হয়েছি। দম বন্ধ হয়ে আসছে। ক্রেতারাসহ বাজারের ব্যাবসায়ীরা অসুস্থ হয়ে যাবে এমন পরিবেশে।

এ ব্যাপারে আটপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে  গতকাল বিকাল পাঁচটার দিকে মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।