ঢাকা ১১:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টেকনাফে সড়ক অবরোধ, বিজিবির গুলি, আহত ৯জন

কক্সবাজারের টেকনাফে জাহাঙ্গীর নামের এক জেলেকে আটকের ঘটনায় সড়ক অবরোধ, ফাঁকা গুলিবর্ষণ ও ৯ জন আহতের ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

৯ জুন  সোমবার বিকালে উপজেলার হ্নীলা মৌলভীবাজারে এসব ঘটনা ঘটে।বিজিবি সূত্র জানায়, গত ২৮ মে হ্নীলা বিওপি’র টহলদল অভিযান চালিয়ে মাদক চোরাকারবারি জাহাঙ্গীর আলম (৪০) আটক করতে গেলে আনুমানিক ৪০/৫০ সহযোগী বিজিবির টহল দলকে তাদের কাজে বাধা প্রদান করে। এমনকি জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে লোকজন জড়ো করে বেআইনি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিজিবি টহল দলের উপর অতর্কিত হামলা করে। পরে জাহাঙ্গীর আলম ও তার অনুসারী ১৫ জনসহ আরও অজ্ঞাতনামা ২০/৩০ জনের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

ওই মামলার জের ধরে ৯ জুন বিকেলে খারাংখালী বিওপি’র বিওপি কমান্ডারের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহলদল মামলার প্রধান আসামি মৌলভীবাজার পূর্বপাড়া এলাকার আজিজুল হকের ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করে বিওপিতে নিয়ে আসে। এ সময় তার কিছু অনুসারী জড়ো হয়ে রাস্তা ব্লক করে রাখে। তবে তৎক্ষণাৎ বিওপি ও ব্যাটালিয়ন সদর হতে উক্ত এলাকায় অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়।

বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে দাবি করে বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন বিজিবির ৬৪ ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন।

এদিকে, স্থানীয়রা দাবি করেন জাহাঙ্গীর আলম পেশায় একজন জেলে। তিনি নাফনদীতে মাছধরার জন্য জাল নিয়ে গেলে বিজিবি সদস্যরা তাকে আটক করে মারধর করে জালসহ বিওপিতে নিয়ে যায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিজিবির হাত থেকে তাকে উদ্ধারের নানা চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হলে বিকেলের দিকে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে টানা সাড়ে ৪ ঘন্টাব্যাপী যান চলাচল বন্ধ থাকায় সড়কে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েন।

খবর শুনে সন্ধ্যার দিকে ব্যাটালিয়ন সদর থেকে বিজিবি সদস্যরা এসে সড়ক অবরোধ তুলে নিতে বললে উত্তেজিত জনতা বিজিবির গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটায়। পরে বিজিবি সদস্যরা আত্নরক্ষার্থে একাধিক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। এ ঘটনায় শিশু ও নারী অন্তত ৮/৯ জন গুলিবিদ্ধ হয় বলে দাবি এলাকাবাসীর। তাদের উদ্ধার করে দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয় জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

 

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Gojnobi biplob

Popular Post

মাহিন হত্যা মামলায় আরো এক আসামি গ্রেফতার হলো ফটিকছড়িতে

টেকনাফে সড়ক অবরোধ, বিজিবির গুলি, আহত ৯জন

প্রকাশের সময় : ১২:৩২:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

কক্সবাজারের টেকনাফে জাহাঙ্গীর নামের এক জেলেকে আটকের ঘটনায় সড়ক অবরোধ, ফাঁকা গুলিবর্ষণ ও ৯ জন আহতের ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

৯ জুন  সোমবার বিকালে উপজেলার হ্নীলা মৌলভীবাজারে এসব ঘটনা ঘটে।বিজিবি সূত্র জানায়, গত ২৮ মে হ্নীলা বিওপি’র টহলদল অভিযান চালিয়ে মাদক চোরাকারবারি জাহাঙ্গীর আলম (৪০) আটক করতে গেলে আনুমানিক ৪০/৫০ সহযোগী বিজিবির টহল দলকে তাদের কাজে বাধা প্রদান করে। এমনকি জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে লোকজন জড়ো করে বেআইনি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিজিবি টহল দলের উপর অতর্কিত হামলা করে। পরে জাহাঙ্গীর আলম ও তার অনুসারী ১৫ জনসহ আরও অজ্ঞাতনামা ২০/৩০ জনের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

ওই মামলার জের ধরে ৯ জুন বিকেলে খারাংখালী বিওপি’র বিওপি কমান্ডারের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহলদল মামলার প্রধান আসামি মৌলভীবাজার পূর্বপাড়া এলাকার আজিজুল হকের ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করে বিওপিতে নিয়ে আসে। এ সময় তার কিছু অনুসারী জড়ো হয়ে রাস্তা ব্লক করে রাখে। তবে তৎক্ষণাৎ বিওপি ও ব্যাটালিয়ন সদর হতে উক্ত এলাকায় অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়।

বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে দাবি করে বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন বিজিবির ৬৪ ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন।

এদিকে, স্থানীয়রা দাবি করেন জাহাঙ্গীর আলম পেশায় একজন জেলে। তিনি নাফনদীতে মাছধরার জন্য জাল নিয়ে গেলে বিজিবি সদস্যরা তাকে আটক করে মারধর করে জালসহ বিওপিতে নিয়ে যায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিজিবির হাত থেকে তাকে উদ্ধারের নানা চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হলে বিকেলের দিকে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে টানা সাড়ে ৪ ঘন্টাব্যাপী যান চলাচল বন্ধ থাকায় সড়কে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েন।

খবর শুনে সন্ধ্যার দিকে ব্যাটালিয়ন সদর থেকে বিজিবি সদস্যরা এসে সড়ক অবরোধ তুলে নিতে বললে উত্তেজিত জনতা বিজিবির গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটায়। পরে বিজিবি সদস্যরা আত্নরক্ষার্থে একাধিক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। এ ঘটনায় শিশু ও নারী অন্তত ৮/৯ জন গুলিবিদ্ধ হয় বলে দাবি এলাকাবাসীর। তাদের উদ্ধার করে দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয় জানিয়েছেন স্থানীয়রা।