ঢাকা ০৭:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সৌদির সাথে মিল রেখে রাজশাহীর পুঠিয়ায় ঈদের নামাজ আদায়

 রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার কৃষ্ণপুরে এলাকায় সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উদযাপন করেছে বেশ কয়েকটি পরিবার। শুক্রবার  (০৬ জুন) সকাল ৭ টা ৩০ মিনিটে কৃষ্ণপুর মুসলিম জামে মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়

নামাজের ইমামতি করেন চারঘাট উপজেলার ডাকরা এলাকার ব্যাবসায়ী আনোয়ার হোসেন। নামাজে মুসল্লিদের উপস্থিত ছিল মোট ১০ জন । পুরুষ মুসলি ৮জন এবং মহিলাদের উপস্থিত ২ জন। ঈদের নামাজ আদায় করা একাধিক ব্যক্তি জানান, আমরা প্রতি বছরে এখানে ঈদ জামাতে আদায় করি। আমি পূর্বে দেশের প্রচলিত নিয়মের ঈদের জামাত আদায় করতাম ।

তবে এখন সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদের সালাত আদায় করতে পেরে আমরা অনেক খুশি। ঈদের নামাজ শেষে মো: রহিম গাজী বলেন, মানুষ মনে করে সৌদি আরবে ঈদ হচ্ছে তাই আমাদের এই স্থানে ঈদ হচ্ছে আসলে ব্যাপারটা তা না। চাঁদ শুধু বাংলাদেশ বা সৌদি আরবের জন্য উঠেনা। চাঁদ উঠে সারা পৃথিবীর জন্য। যেদিন চাঁদ উঠে সেদিন থেকেই রমজান মাস শুরু হয়।

পৃথিবীর পরিসীমা যেহেতু অনেক বড় তাই বিভিন্ন দেশ থেকে আমরা চাঁদ দেখতে পাই না। সেটা আমাদের ব্যর্থতা। তিনি আরও বলেন, সৌদি আরব পৃথিবীর মূল কেন্দ্র সে কারণে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ পালন করা হয় একথা বলা হয়। আমরা ঈদ পালন করে আসছি ৮ থেকে ১০ বছর  যাবত। আগে মুসলি কম থাকায় আমরা নিজ বাড়িতেই নামাজ আদায় করতাম বর্তমানে সংখ্যা বেশি হওয়ায় তিন-চার বছর থেকে কৃষ্ণপুর মুসলিম মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়। 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Gojnobi biplob

Popular Post

মাহিন হত্যা মামলায় আরো এক আসামি গ্রেফতার হলো ফটিকছড়িতে

সৌদির সাথে মিল রেখে রাজশাহীর পুঠিয়ায় ঈদের নামাজ আদায়

প্রকাশের সময় : ১০:০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জুন ২০২৫

 রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার কৃষ্ণপুরে এলাকায় সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উদযাপন করেছে বেশ কয়েকটি পরিবার। শুক্রবার  (০৬ জুন) সকাল ৭ টা ৩০ মিনিটে কৃষ্ণপুর মুসলিম জামে মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়

নামাজের ইমামতি করেন চারঘাট উপজেলার ডাকরা এলাকার ব্যাবসায়ী আনোয়ার হোসেন। নামাজে মুসল্লিদের উপস্থিত ছিল মোট ১০ জন । পুরুষ মুসলি ৮জন এবং মহিলাদের উপস্থিত ২ জন। ঈদের নামাজ আদায় করা একাধিক ব্যক্তি জানান, আমরা প্রতি বছরে এখানে ঈদ জামাতে আদায় করি। আমি পূর্বে দেশের প্রচলিত নিয়মের ঈদের জামাত আদায় করতাম ।

তবে এখন সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদের সালাত আদায় করতে পেরে আমরা অনেক খুশি। ঈদের নামাজ শেষে মো: রহিম গাজী বলেন, মানুষ মনে করে সৌদি আরবে ঈদ হচ্ছে তাই আমাদের এই স্থানে ঈদ হচ্ছে আসলে ব্যাপারটা তা না। চাঁদ শুধু বাংলাদেশ বা সৌদি আরবের জন্য উঠেনা। চাঁদ উঠে সারা পৃথিবীর জন্য। যেদিন চাঁদ উঠে সেদিন থেকেই রমজান মাস শুরু হয়।

পৃথিবীর পরিসীমা যেহেতু অনেক বড় তাই বিভিন্ন দেশ থেকে আমরা চাঁদ দেখতে পাই না। সেটা আমাদের ব্যর্থতা। তিনি আরও বলেন, সৌদি আরব পৃথিবীর মূল কেন্দ্র সে কারণে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ পালন করা হয় একথা বলা হয়। আমরা ঈদ পালন করে আসছি ৮ থেকে ১০ বছর  যাবত। আগে মুসলি কম থাকায় আমরা নিজ বাড়িতেই নামাজ আদায় করতাম বর্তমানে সংখ্যা বেশি হওয়ায় তিন-চার বছর থেকে কৃষ্ণপুর মুসলিম মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়।