ঢাকা ০৪:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেজর সৈয়দ আবুবকর সিদ্দিক ২৫ বছর পর মায়ের মত কাউকে দেখে চমকে গেলেন

মেজর সৈয়দ আবুবকর সিদ্দিক পিএসসি (অবঃ) ২৫ বছর পর মায়ের মত কাউকে দেখে চমকে গেলেন এওয়ার্ড গিভিং অনুষ্ঠানে

তিনি তার জীবনের গল্পে অনুভূতিগুলি   সাজিয়েছেন এভাবে।

পুরস্কার দেয়া হবে । এওয়ার্ড গিভিং অনুষ্ঠান । ২৬ মে ২৫ সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ১০ টা । রাজধানীর মৌচাক এলাকায় একটি অভিজাত হোটেল । ‘স্কুল অব লিডারশিপ ‘ একটি ইউ এস বেইজড আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ( থিংক ট্যাংক )। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড: গোলাম রাব্বানী নয়ন বাঙ্গালী । আমি এই প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রধান সমন্বয়ক । এই প্রতিষ্ঠানটি শ্রেষ্ঠ থিংক ট্যাংক নির্বাচিত হয়েছে । ২৬ তারিখ দুপুরে আমাকে জানানো হলো – পুরস্কার গ্রহন করতে হবে । পূর্ব নির্ধারিত মিটিং শেষ করে   এওয়ার্ড গিভিং অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য  হোটেলে পৌঁছলাম । Excellence in Success -পুরস্কার ভেনু সাজিয়েছে জমকালো ভাবে । রঙিন পর্দায় ভেসে আসলেন – অভিনয় সেলিব্রেটি দিলারা জামান ।

আমার হৃদয় মন নেচে উঠলো । আহা ! একি ভাগ্য  আমার – আমার মায়ের হুবহু চেহারা / কথা বার্তা -ভাব ভঙ্গি অবিকল আমার মা কুলসুম আরা (মরহুম ) মা আমার চলে গেছেন ২০০০ সালে । অভিনেত্রী দিলারা জামান কে নাটকে যতবার দেখেছি-ইচ্ছে হয়েছে তাঁর সাথে পরিচিত হয়ে মা বলে ডাকি । আমার মানষিক প্রস্তুতিতে আমি কল্পনার জগতে ভাসছিলাম । সহকর্মীদের সাথে বিষয়টি শেয়ার করেছি । তিনি আসলেন -অনেক নায়ক নায়িকা , গায়ক গায়িকা এবং বিভিন্ন সফল প্রতিষ্ঠানের সফল মানুষের ভিরে মা ছিলেন মধ্যমনি ।

দিলারা জামান পেলেন আজীবন সন্মাননা । দীর্ঘ সময় স্টেইজে দাঁড়িয়ে থেকে তিনি ক্লান্ত । তাই ভিআইপি সন্মুখ সারিতে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন । আমি ,ড: মিজান এবং মি. ফয়েজ আমাদের স্কুল অব লিডারশিপ এর এওয়ার্ড নিতে প্রস্তুত ।

আমি চঞ্চল  শিশুর মতই মায়ের পাশে যাই এবং বসে বল্লাম – “আসসালামু আলাইকুম । মা – আমি আপনার ছেলে “কোন কালক্ষেপন না করে – তিনি সরাসরি আমার মাথায় হাত রাখলেন । আমার মায়ের মতই – বললেন, বাবু তোমার নাম কি ? দুচোখ বেয়ে জল আসলো – ২৫ বছরের মাকে না দেখার জল । মাগো ২৫ বছর পর আপনাকে পেলাম ।

আমি বললাম । অবাক হয়ে তিনি আমাকে দেখতে লাগলেন ।

স্কুল অব লিডারশিপ- এর এওয়ার্ড গ্রহণের জন্য ডাক আসলো । এওয়ার্ড গ্রহণ করে ফিরে এসে মায়ের পাশে বসে আনন্দে বিভোর ছবি নিলাম । মা আমার হাতের পর হাত রাখলেন । তিনি কি যে মায়া লাগাতে পারেন । আহা ।সে দিন আমি দুটি এওয়ার্ড পেলাম । মা” আমার জন্য বড় এওয়ার্ড । এখন মায়ের সাথে কথা হয় এবং দেখা হয় ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Gojnobi biplob

Popular Post

রংপুরে কষ্টিপাথরের মূর্তিসহ দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে ২র‌্যাব

মেজর সৈয়দ আবুবকর সিদ্দিক ২৫ বছর পর মায়ের মত কাউকে দেখে চমকে গেলেন

প্রকাশের সময় : ০১:২২:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

মেজর সৈয়দ আবুবকর সিদ্দিক পিএসসি (অবঃ) ২৫ বছর পর মায়ের মত কাউকে দেখে চমকে গেলেন এওয়ার্ড গিভিং অনুষ্ঠানে

তিনি তার জীবনের গল্পে অনুভূতিগুলি   সাজিয়েছেন এভাবে।

পুরস্কার দেয়া হবে । এওয়ার্ড গিভিং অনুষ্ঠান । ২৬ মে ২৫ সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ১০ টা । রাজধানীর মৌচাক এলাকায় একটি অভিজাত হোটেল । ‘স্কুল অব লিডারশিপ ‘ একটি ইউ এস বেইজড আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ( থিংক ট্যাংক )। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড: গোলাম রাব্বানী নয়ন বাঙ্গালী । আমি এই প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রধান সমন্বয়ক । এই প্রতিষ্ঠানটি শ্রেষ্ঠ থিংক ট্যাংক নির্বাচিত হয়েছে । ২৬ তারিখ দুপুরে আমাকে জানানো হলো – পুরস্কার গ্রহন করতে হবে । পূর্ব নির্ধারিত মিটিং শেষ করে   এওয়ার্ড গিভিং অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য  হোটেলে পৌঁছলাম । Excellence in Success -পুরস্কার ভেনু সাজিয়েছে জমকালো ভাবে । রঙিন পর্দায় ভেসে আসলেন – অভিনয় সেলিব্রেটি দিলারা জামান ।

আমার হৃদয় মন নেচে উঠলো । আহা ! একি ভাগ্য  আমার – আমার মায়ের হুবহু চেহারা / কথা বার্তা -ভাব ভঙ্গি অবিকল আমার মা কুলসুম আরা (মরহুম ) মা আমার চলে গেছেন ২০০০ সালে । অভিনেত্রী দিলারা জামান কে নাটকে যতবার দেখেছি-ইচ্ছে হয়েছে তাঁর সাথে পরিচিত হয়ে মা বলে ডাকি । আমার মানষিক প্রস্তুতিতে আমি কল্পনার জগতে ভাসছিলাম । সহকর্মীদের সাথে বিষয়টি শেয়ার করেছি । তিনি আসলেন -অনেক নায়ক নায়িকা , গায়ক গায়িকা এবং বিভিন্ন সফল প্রতিষ্ঠানের সফল মানুষের ভিরে মা ছিলেন মধ্যমনি ।

দিলারা জামান পেলেন আজীবন সন্মাননা । দীর্ঘ সময় স্টেইজে দাঁড়িয়ে থেকে তিনি ক্লান্ত । তাই ভিআইপি সন্মুখ সারিতে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন । আমি ,ড: মিজান এবং মি. ফয়েজ আমাদের স্কুল অব লিডারশিপ এর এওয়ার্ড নিতে প্রস্তুত ।

আমি চঞ্চল  শিশুর মতই মায়ের পাশে যাই এবং বসে বল্লাম – “আসসালামু আলাইকুম । মা – আমি আপনার ছেলে “কোন কালক্ষেপন না করে – তিনি সরাসরি আমার মাথায় হাত রাখলেন । আমার মায়ের মতই – বললেন, বাবু তোমার নাম কি ? দুচোখ বেয়ে জল আসলো – ২৫ বছরের মাকে না দেখার জল । মাগো ২৫ বছর পর আপনাকে পেলাম ।

আমি বললাম । অবাক হয়ে তিনি আমাকে দেখতে লাগলেন ।

স্কুল অব লিডারশিপ- এর এওয়ার্ড গ্রহণের জন্য ডাক আসলো । এওয়ার্ড গ্রহণ করে ফিরে এসে মায়ের পাশে বসে আনন্দে বিভোর ছবি নিলাম । মা আমার হাতের পর হাত রাখলেন । তিনি কি যে মায়া লাগাতে পারেন । আহা ।সে দিন আমি দুটি এওয়ার্ড পেলাম । মা” আমার জন্য বড় এওয়ার্ড । এখন মায়ের সাথে কথা হয় এবং দেখা হয় ।