ঢাকা ০৪:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাজারে গরুর দাম কম চালান উঠলেও গরু বিক্রি করে দিবে ব্যাবসায়ীরা

  • ভোলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : ১১:২৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫
  • ২৮৪ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

ভোলায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। ক্রেতা বিক্রেতাদের হাঁকডাকে মুখরিত হয়ে উঠেছে হাটগুলো। তবে দাম নিয়ে রয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অন্যদিকে পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে জেলায় এ বছর প্রায় ৭২০ কোটি টাকা বাণিজ্যের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য মতে, জেলার ৭ উপজেলায় স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে ৬৯টি এবং অস্থায়ী ৭৮টি। এ বছর ভোলা জেলায় কুরবানির জন্য ১ লাখ ২ হাজার ৭৬৯টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে, চাহিদা রয়েছে ৯০ হাজার ২৫৩টি। চাহিদার বিপরীতে উদ্বৃত্ত রয়েছে ১২ হাজার ৫১৬টি।

সরেজমিনে ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের শতবছরের গজারিয়া হাট ঘুরে দেখা গেছে, কোরবানির পশু নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে চলছে চরম দরকষাকষি। কোনো কোনো ক্রেতা তাদের পছন্দমতো কুরবানির পশু ক্রয় করেছেন, আবার কেউ কেউ দাম কমার আশায় শেষ হাটে তাদের কোরবানির পশুটি কেনার অপেক্ষায় রয়েছেন। অন্যদিকে ক্রেতারা এখনও আশানুরূপ দাম না বলায় কিছু কিছু খামারি শেষের হাটগুলোতে তাদের পরম যত্নে লালন পালন করা পশুটির দাম বাড়বে বলে আশায় রয়েছেন।

হাটে প্রায় ৯ মণ ওজনের একটি বিশাল ষাড় বিক্রির উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছেন সদর উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা খামারি মো. জাহাঙ্গীর। তার ষাড়টির দাম দিয়েছেন আড়াই লাখ টাকা। কিন্তু ক্রেতারা আশানুরূপ দাম না বলায় হতাশ তিনি।

তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ষাড়টি ৩ বছর ধরে লালন পালন করে বড় করেছি। বিক্রির উদ্দেশ্য হাটে নিয়ে এসেছি, কিন্তু ক্রেতারা দাম বলছেন সর্বোচ্চ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এ দামে বিক্রি করলে অনেক টাকা লস হবে,তাই এখনও বিক্রি করিনি। ষাড়টির আর রাখব না, বিক্রি করব। শেষের হাটগুলোতে দাম বাড়ার অপেক্ষায় রয়েছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Gojnobi biplob

Popular Post

রংপুরে কষ্টিপাথরের মূর্তিসহ দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে ২র‌্যাব

বাজারে গরুর দাম কম চালান উঠলেও গরু বিক্রি করে দিবে ব্যাবসায়ীরা

প্রকাশের সময় : ১১:২৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫

ফাইল ছবি

ভোলায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। ক্রেতা বিক্রেতাদের হাঁকডাকে মুখরিত হয়ে উঠেছে হাটগুলো। তবে দাম নিয়ে রয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অন্যদিকে পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে জেলায় এ বছর প্রায় ৭২০ কোটি টাকা বাণিজ্যের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য মতে, জেলার ৭ উপজেলায় স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে ৬৯টি এবং অস্থায়ী ৭৮টি। এ বছর ভোলা জেলায় কুরবানির জন্য ১ লাখ ২ হাজার ৭৬৯টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে, চাহিদা রয়েছে ৯০ হাজার ২৫৩টি। চাহিদার বিপরীতে উদ্বৃত্ত রয়েছে ১২ হাজার ৫১৬টি।

সরেজমিনে ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের শতবছরের গজারিয়া হাট ঘুরে দেখা গেছে, কোরবানির পশু নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে চলছে চরম দরকষাকষি। কোনো কোনো ক্রেতা তাদের পছন্দমতো কুরবানির পশু ক্রয় করেছেন, আবার কেউ কেউ দাম কমার আশায় শেষ হাটে তাদের কোরবানির পশুটি কেনার অপেক্ষায় রয়েছেন। অন্যদিকে ক্রেতারা এখনও আশানুরূপ দাম না বলায় কিছু কিছু খামারি শেষের হাটগুলোতে তাদের পরম যত্নে লালন পালন করা পশুটির দাম বাড়বে বলে আশায় রয়েছেন।

হাটে প্রায় ৯ মণ ওজনের একটি বিশাল ষাড় বিক্রির উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছেন সদর উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা খামারি মো. জাহাঙ্গীর। তার ষাড়টির দাম দিয়েছেন আড়াই লাখ টাকা। কিন্তু ক্রেতারা আশানুরূপ দাম না বলায় হতাশ তিনি।

তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ষাড়টি ৩ বছর ধরে লালন পালন করে বড় করেছি। বিক্রির উদ্দেশ্য হাটে নিয়ে এসেছি, কিন্তু ক্রেতারা দাম বলছেন সর্বোচ্চ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এ দামে বিক্রি করলে অনেক টাকা লস হবে,তাই এখনও বিক্রি করিনি। ষাড়টির আর রাখব না, বিক্রি করব। শেষের হাটগুলোতে দাম বাড়ার অপেক্ষায় রয়েছি।