ঢাকা ১২:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাজ না করেই কেন্দুয়ার বলাইশিমুল ইউনিয়নের কচন্দরা গ্রামে প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ।

 নেত্রকোণা কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নে কচন্দরা গ্রামে  খেলার মাঠ তৈরী করতে  মাটি ভরাটের কাজ না করেই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রকল্প সভাপতি, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্বে।

অভিযোগ ও এলাকা সূত্রে জানা যায় ,গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের কাবিটার বিশেষ বরাদ্দের খেলার মাঠের মাটি-ভরাটের জন্য ৩০ লক্ষ টাকার প্রকল্পের অনুমোদন হয়েছিল  এবং সেই প্রকল্পের পিআইসির ৭ সদস্য কমিটির সভাপতি ছিলেন ওই এলাকার ইলিয়াস মিয়ার ছেলে ইয়ার খান।

নেত্রকোণা -৩ এর সংসদ সদস্য উফতেকার উদ্দিন তালূকদার পিন্টু   স্বাক্ষরিত সুপারিশে প্রকল্পটির অনুমোদনের ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্ব  দেওয়া হয় খেলার মাঠ তৈরী করার জন্য। 

কিছুদিন পরেই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় এই প্রকল্পের সম্পূর্ণ তদারকি করেন কেন্দুয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এমদাদুল হক তালুকদার ।

সে প্রকল্পের ১ম বিল ১০ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে কাজ শুরু করেন পিআই সি কমিটি। ।  মাঠটি তৈরী করতে অবৈধ ভাবে  বিলাউজির বিল থেকে  মাটি উত্তোলনের জন্য ২৪ জুন ২০২৪ লিখিত অনুমতি দিয়েছিল নির্বাহী কর্মকর্তা।

 কেন্দুয়া নির্বাহী কর্মকর্তা , প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও প্রকল্পের সভাপতি ইয়ার খানের যোগসাজশে ওই প্রকল্পের কোন কার্যক্রম না করে ১০ লক্ষ টাকার খরচ দেখিয়ে বাকি ২০ লক্ষ টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দেয় বলে জানা যায় ।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,   মাঠে কোন মাটি বা বালু উত্তোলন হয়নি। বিলাউজির বিল থেকে ড্রেজারে বালু উত্তোলন করতে চেয়েছিল সেখানে ড্রেজার দিয়ে বালু না আসায় মাঠে মাটি বা বালু ভরাট করতে পারেনি পিআইসিরা ।

 প্রকল্প সভাপতি ইয়ার খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রকল্পে ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্ব দেওয়া হয়েছিল। মাঠটিতে মাঠি ভরাটের জন্য ড্রেজার এনেছিলাম কিন্তু কোথাও কোন মাঠি না পাওয়ার কারণে মাঠি ভরাট সম্ভব হয়নি।  মাঠি ভরাট না করে ১০ লক্ষ টাকা ব্যায় দেখানোর প্রশ্নে প্রকল্পের সভাপতি ইয়ার খান  বলেন,  মাঠি ভরাটের জন্য ড্রেজার এনেছি, লেবারদের খরছ দিয়েছি। আপনি ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলেন তিনিই সব বলতে পারবেন  কোন খাতে ব্যায় হয়েছে।  

 

 প্রকল্পটির কোন কাজ না হলেও কেন্দুয়া উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, মাঠে যে পরিমাণ কাজ করা হয়েছে সেই খরচ বাদ দিয়ে বাকি টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তেকছন্দরা গ্রামের লোকজন বলেন, সরকারি টাকা প্রকল্পের নামে হরিলোট করেছে। আমরা সাধারণ মানুষ , আমাদের কোন ক্ষমতা নাই তাদেরকে জিঞ্জাস করার। সরকারি কর্মকর্তাদের যোগসাযসেই ১০ লক্ষ টাকা আত্নসাধ হয়েছে। মাঠটিতে এক টাকার মাঠিও কাটানো হয়নি। 

কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উমদাদুল হক তালূকদার বলেন,  মাঠি না পাওয়া যাওয়ার কারণে  কচন্দরা খেলার মাঠে  মাটি ভরাট সম্পুর্ন হয়নি ।  মাটি কাটতে যত টাকা খরচ করা হয়েছে তা বাদ দিয়ে বাকি টাকা সরকারী কোষাগারে  ফেরত পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে নেত্রকোণায় নবনিযোক্ত  জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে আমি জানতে পেরেছি। বিষয়টি আমি গুরুত্বসহ দেখব।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Gojnobi biplob

Popular Post

মাহিন হত্যা মামলায় আরো এক আসামি গ্রেফতার হলো ফটিকছড়িতে

কাজ না করেই কেন্দুয়ার বলাইশিমুল ইউনিয়নের কচন্দরা গ্রামে প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ।

প্রকাশের সময় : ১০:৫৩:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 নেত্রকোণা কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নে কচন্দরা গ্রামে  খেলার মাঠ তৈরী করতে  মাটি ভরাটের কাজ না করেই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রকল্প সভাপতি, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্বে।

অভিযোগ ও এলাকা সূত্রে জানা যায় ,গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের কাবিটার বিশেষ বরাদ্দের খেলার মাঠের মাটি-ভরাটের জন্য ৩০ লক্ষ টাকার প্রকল্পের অনুমোদন হয়েছিল  এবং সেই প্রকল্পের পিআইসির ৭ সদস্য কমিটির সভাপতি ছিলেন ওই এলাকার ইলিয়াস মিয়ার ছেলে ইয়ার খান।

নেত্রকোণা -৩ এর সংসদ সদস্য উফতেকার উদ্দিন তালূকদার পিন্টু   স্বাক্ষরিত সুপারিশে প্রকল্পটির অনুমোদনের ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্ব  দেওয়া হয় খেলার মাঠ তৈরী করার জন্য। 

কিছুদিন পরেই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় এই প্রকল্পের সম্পূর্ণ তদারকি করেন কেন্দুয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এমদাদুল হক তালুকদার ।

সে প্রকল্পের ১ম বিল ১০ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে কাজ শুরু করেন পিআই সি কমিটি। ।  মাঠটি তৈরী করতে অবৈধ ভাবে  বিলাউজির বিল থেকে  মাটি উত্তোলনের জন্য ২৪ জুন ২০২৪ লিখিত অনুমতি দিয়েছিল নির্বাহী কর্মকর্তা।

 কেন্দুয়া নির্বাহী কর্মকর্তা , প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও প্রকল্পের সভাপতি ইয়ার খানের যোগসাজশে ওই প্রকল্পের কোন কার্যক্রম না করে ১০ লক্ষ টাকার খরচ দেখিয়ে বাকি ২০ লক্ষ টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দেয় বলে জানা যায় ।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,   মাঠে কোন মাটি বা বালু উত্তোলন হয়নি। বিলাউজির বিল থেকে ড্রেজারে বালু উত্তোলন করতে চেয়েছিল সেখানে ড্রেজার দিয়ে বালু না আসায় মাঠে মাটি বা বালু ভরাট করতে পারেনি পিআইসিরা ।

 প্রকল্প সভাপতি ইয়ার খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রকল্পে ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্ব দেওয়া হয়েছিল। মাঠটিতে মাঠি ভরাটের জন্য ড্রেজার এনেছিলাম কিন্তু কোথাও কোন মাঠি না পাওয়ার কারণে মাঠি ভরাট সম্ভব হয়নি।  মাঠি ভরাট না করে ১০ লক্ষ টাকা ব্যায় দেখানোর প্রশ্নে প্রকল্পের সভাপতি ইয়ার খান  বলেন,  মাঠি ভরাটের জন্য ড্রেজার এনেছি, লেবারদের খরছ দিয়েছি। আপনি ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলেন তিনিই সব বলতে পারবেন  কোন খাতে ব্যায় হয়েছে।  

 

 প্রকল্পটির কোন কাজ না হলেও কেন্দুয়া উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, মাঠে যে পরিমাণ কাজ করা হয়েছে সেই খরচ বাদ দিয়ে বাকি টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তেকছন্দরা গ্রামের লোকজন বলেন, সরকারি টাকা প্রকল্পের নামে হরিলোট করেছে। আমরা সাধারণ মানুষ , আমাদের কোন ক্ষমতা নাই তাদেরকে জিঞ্জাস করার। সরকারি কর্মকর্তাদের যোগসাযসেই ১০ লক্ষ টাকা আত্নসাধ হয়েছে। মাঠটিতে এক টাকার মাঠিও কাটানো হয়নি। 

কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উমদাদুল হক তালূকদার বলেন,  মাঠি না পাওয়া যাওয়ার কারণে  কচন্দরা খেলার মাঠে  মাটি ভরাট সম্পুর্ন হয়নি ।  মাটি কাটতে যত টাকা খরচ করা হয়েছে তা বাদ দিয়ে বাকি টাকা সরকারী কোষাগারে  ফেরত পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে নেত্রকোণায় নবনিযোক্ত  জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে আমি জানতে পেরেছি। বিষয়টি আমি গুরুত্বসহ দেখব।