ঢাকা ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আদালতের রায় উপেক্ষা করে ৯টি উন্মুক্ত জলাশয়ের লিজ

  • তানিম খান আদনান
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৩৭:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ২২৪ বার পড়া হয়েছে

 মোহনগঞ্জে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে আদালতের রায় উপেক্ষা করে ৯টি উন্মুক্ত জলাশয় খাস-কালেকশনের মাধ্যমে লিজ দেওয়ার অভিযোগে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে গাগলাজুর ইউনিয়নের বরান্তর গ্রাম থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক লোক উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সমবেত হয়ে এ বিক্ষোভ করেন। পরে তারা বিষয়টি নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমেনা খাতুনকে অবগত করেন। এলাকাবাসীর দাবি, যুগ যুগ ধরে জোক্কা বিল, তাজুয়া বিল, চকচকিয়া বিল, রাঙামাটিয়া বিল, ফাতেহা বিলসহ নয়টি জলাশয় তারা উন্মুক্তভাবে ব্যবহার করে আসছিলেন।

বর্ষাকালে মাছ ধরা এবং শুকনো মৌসুমে গরুকে গোসল করানো থেকে শুরু করে বোরো জমিতে সেচের পানি দেওয়াই ছিল তাদের জীবিকার অংশ। তবে ২০১৭ সালে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা খাস-কালেকশনের মাধ্যমে এসব জলাশয় লিজ নেওয়ার চেষ্টা চালালে এলাকাবাসী আদালতে মামলা করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে নেত্রকোনা সহকারী জজ আদালত রায়ে জনস্বার্থে জলাশয়গুলো উন্মুক্ত ঘোষণা করেন।

কিন্তু সম্প্রতি ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আঙ্গুর মিয়া ও স্থানীয় বিএনপি নেতা ও ইউপি সদস্য আশরাফুল চৌধুরী সোহেল, সেলিম খান ও রুহুল আমিন আদালতের রায় অমান্য করে তথ্য গোপনপূর্বক জলাশয়গুলো দখলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। বরান্তর গ্রামের বাসিন্দা বাচ্চু মিয়া চৌধুরী ও পল্টন মিয়া চৌধুরী বলেন, “বাপ-দাদার আমল থেকেই আমরা এসব জলাশয় ব্যবহার করে আসছি। অথচ কিছু বিএনপি নেতা গ্রামবাসীর স্বার্থকে উপেক্ষা করে এগুলো দখলে নিয়েছেন। এটি শুধু দুঃখজনক নয়, রাজনৈতিকভাবেও বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

এ বিষয়ে ইউএনও আমেনা খাতুন জানান, “আদালতের আদেশটি আমাদের হাতে এসেছে। যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আঙ্গুর মিয়া বলেন, “আমি কোনো লিজের সঙ্গে জড়িত নই। বরং স্থানীয় কয়েকজন নেতা খাস-কালেকশনের মাধ্যমে জলাশয় নেওয়ার পর আমি এর বিরোধিতা করেছি।”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Gojnobi biplob

Popular Post

মাহিন হত্যা মামলায় আরো এক আসামি গ্রেফতার হলো ফটিকছড়িতে

আদালতের রায় উপেক্ষা করে ৯টি উন্মুক্ত জলাশয়ের লিজ

প্রকাশের সময় : ০৯:৩৭:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 মোহনগঞ্জে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে আদালতের রায় উপেক্ষা করে ৯টি উন্মুক্ত জলাশয় খাস-কালেকশনের মাধ্যমে লিজ দেওয়ার অভিযোগে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে গাগলাজুর ইউনিয়নের বরান্তর গ্রাম থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক লোক উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সমবেত হয়ে এ বিক্ষোভ করেন। পরে তারা বিষয়টি নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমেনা খাতুনকে অবগত করেন। এলাকাবাসীর দাবি, যুগ যুগ ধরে জোক্কা বিল, তাজুয়া বিল, চকচকিয়া বিল, রাঙামাটিয়া বিল, ফাতেহা বিলসহ নয়টি জলাশয় তারা উন্মুক্তভাবে ব্যবহার করে আসছিলেন।

বর্ষাকালে মাছ ধরা এবং শুকনো মৌসুমে গরুকে গোসল করানো থেকে শুরু করে বোরো জমিতে সেচের পানি দেওয়াই ছিল তাদের জীবিকার অংশ। তবে ২০১৭ সালে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা খাস-কালেকশনের মাধ্যমে এসব জলাশয় লিজ নেওয়ার চেষ্টা চালালে এলাকাবাসী আদালতে মামলা করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে নেত্রকোনা সহকারী জজ আদালত রায়ে জনস্বার্থে জলাশয়গুলো উন্মুক্ত ঘোষণা করেন।

কিন্তু সম্প্রতি ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আঙ্গুর মিয়া ও স্থানীয় বিএনপি নেতা ও ইউপি সদস্য আশরাফুল চৌধুরী সোহেল, সেলিম খান ও রুহুল আমিন আদালতের রায় অমান্য করে তথ্য গোপনপূর্বক জলাশয়গুলো দখলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। বরান্তর গ্রামের বাসিন্দা বাচ্চু মিয়া চৌধুরী ও পল্টন মিয়া চৌধুরী বলেন, “বাপ-দাদার আমল থেকেই আমরা এসব জলাশয় ব্যবহার করে আসছি। অথচ কিছু বিএনপি নেতা গ্রামবাসীর স্বার্থকে উপেক্ষা করে এগুলো দখলে নিয়েছেন। এটি শুধু দুঃখজনক নয়, রাজনৈতিকভাবেও বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

এ বিষয়ে ইউএনও আমেনা খাতুন জানান, “আদালতের আদেশটি আমাদের হাতে এসেছে। যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আঙ্গুর মিয়া বলেন, “আমি কোনো লিজের সঙ্গে জড়িত নই। বরং স্থানীয় কয়েকজন নেতা খাস-কালেকশনের মাধ্যমে জলাশয় নেওয়ার পর আমি এর বিরোধিতা করেছি।”