ঢাকা ১২:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১ মাসে ৩৩৭ জনকে বিএসএফের পুশইন, মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে

ছবি সংগৃহীত

মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে এক মাসে ৩৩৭ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের ডামাডোলের মধ্যেই অবৈধভাবে এসব বাংলাদেশিকে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ।

অনুপ্রবেশের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে জেলার বড়লেখা উপজেলা দিয়ে। উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর, দক্ষিণ শাহবাজপুর ও পাল্লথল সীমান্ত, জুড়ী উপজেলার রাজকি সীমান্ত, কুলাউড়া উপজেলার মুরইছড়া সীমান্ত, কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই, বাগীছড়া ও চাম্পাছড়া সীমান্ত দিয়ে এসব অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে।

গত ৭ মে থেকে অবৈধভাবে মৌলভীবাজার জেলায় পুশইনের ঘটনায় ৩৩৭ জন বিজিবির হাতে আটক হয়েছেন। তার মধ্যে বড়লেখা উপজেলা দিয়ে ২৫১ জন, জুড়ী উপজেলা দিয়ে ১০ জন, কুলাউড়া উপজেলা দিয়ে ২১ জন ও কমলগঞ্জ উপজেলা দিয়ে ৫৫ জন। এ ছাড়া আরও কয়েক শতাধিক লোক সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করলেও বিজিবি বা স্থানীয় প্রশাসন তাদের আটক করতে পারেনি।

আটককৃতদের মধ্যে পুরুষ, নারী ও শিশু ছিল। এদের বাড়ি বাংলাদেশের নড়াইল, চট্রগ্রাম, কুড়িগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায়।

কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শীব নারায়ন শীল বলেন, আমরা যাদের আটক করি তাদের কাছে জানতে পারি তারা দীর্ঘ পাঁচ বছর থেকে ভারতের আসামে বসবাস করে আসছিলেন। হঠাৎ করে ভারতীয় পুলিশ তাদের বাড়িঘর ভেঙে হেলিকপ্টারে ত্রিপুরার মানিক ভান্ডারে নিয়ে এসে বিএসএফের হাতে তুলে দেয়। পরে বিএসএফ কয়েকজনকে ধলই সীমান্ত দিয়ে গেট খুলে পুশইন করলে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তবে অন্যদের কোন সীমান্তে নিয়ে গেছে তারা বলতে পারেননি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Gojnobi biplob

Popular Post

মাহিন হত্যা মামলায় আরো এক আসামি গ্রেফতার হলো ফটিকছড়িতে

১ মাসে ৩৩৭ জনকে বিএসএফের পুশইন, মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে

প্রকাশের সময় : ১১:২৬:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

ছবি সংগৃহীত

মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে এক মাসে ৩৩৭ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের ডামাডোলের মধ্যেই অবৈধভাবে এসব বাংলাদেশিকে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ।

অনুপ্রবেশের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে জেলার বড়লেখা উপজেলা দিয়ে। উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর, দক্ষিণ শাহবাজপুর ও পাল্লথল সীমান্ত, জুড়ী উপজেলার রাজকি সীমান্ত, কুলাউড়া উপজেলার মুরইছড়া সীমান্ত, কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই, বাগীছড়া ও চাম্পাছড়া সীমান্ত দিয়ে এসব অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে।

গত ৭ মে থেকে অবৈধভাবে মৌলভীবাজার জেলায় পুশইনের ঘটনায় ৩৩৭ জন বিজিবির হাতে আটক হয়েছেন। তার মধ্যে বড়লেখা উপজেলা দিয়ে ২৫১ জন, জুড়ী উপজেলা দিয়ে ১০ জন, কুলাউড়া উপজেলা দিয়ে ২১ জন ও কমলগঞ্জ উপজেলা দিয়ে ৫৫ জন। এ ছাড়া আরও কয়েক শতাধিক লোক সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করলেও বিজিবি বা স্থানীয় প্রশাসন তাদের আটক করতে পারেনি।

আটককৃতদের মধ্যে পুরুষ, নারী ও শিশু ছিল। এদের বাড়ি বাংলাদেশের নড়াইল, চট্রগ্রাম, কুড়িগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায়।

কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শীব নারায়ন শীল বলেন, আমরা যাদের আটক করি তাদের কাছে জানতে পারি তারা দীর্ঘ পাঁচ বছর থেকে ভারতের আসামে বসবাস করে আসছিলেন। হঠাৎ করে ভারতীয় পুলিশ তাদের বাড়িঘর ভেঙে হেলিকপ্টারে ত্রিপুরার মানিক ভান্ডারে নিয়ে এসে বিএসএফের হাতে তুলে দেয়। পরে বিএসএফ কয়েকজনকে ধলই সীমান্ত দিয়ে গেট খুলে পুশইন করলে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তবে অন্যদের কোন সীমান্তে নিয়ে গেছে তারা বলতে পারেননি।