
নেত্রকোনার মদন উপজেলা কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক পদ পেয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মজিবুর রহমান লিটন।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,. মজিবুর রহমান লিটন উপজেলার মদন দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারি শিক্ষক পদে কর্মরত রয়েছেন। পাশাপাশি তিনি উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতির পদেও রয়েছে। তিনি মদন দক্ষিণপাড়ার গ্রামের বাসিন্দা।
এ বিষয়ে শিক্ষক মজিবুর রহমান লিটন বলেন, পদ পাওয়ার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। পদের জন্য কারো কাছে তদবিরও করিনি। লোকমুখে শুনেছি যে,পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক পদে আমার নাম রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে পরে এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতির সাথে কথা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছি।
আর সরকারি চাকরি করে দলীয় পদে থাকার নিয়ম নেই। বড় পদ পেলে না হয় চাকরি ছেড়ে দিতাম। তিনি আরও বলেন, স্কুল সরকারি হওয়ার আগে দীর্ঘ সময় উপজেলা ছাত্রদল, পরে যুবদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। এখন যেপদে রাখা হয়েছে, এটা আমার জন্য অসম্মানজনক। কারণ আমার অনেক জুনিয়ররা এই কমিটির অনেক বড় পদে রয়েছে। এক্ষেত্রে আমি নিজে থেকে চেয়ে নিলে অবশ্যই বড় পদের জন্য বলতাম।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সায়দা রুবায়াত বলেন, সরকারি চাকরিজীবীর কোন দলীয় পদে থাকার নিয়ম নেই। আমাকে ফোনে অনেকে ওই শিক্ষকের দলীয় পদ পাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন। এখনো কোন কাগজপত্র হাতে পাইনি। কাগজপত্র পাওয়ার পর বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হেলালী সঙ্গে মোটোফোনে কথা বললে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। উল্লেখ্য, গত ২১ আগস্ট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. আনোয়ারুল হক ও সদস্য ডক্টর রফিকুল ইসলাম হিলালী স্বাক্ষরিত মদন উপজেলা বিএনপির ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন করা হয়। এতে ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক পদে মজিবুর রহমান লিটনের নাম রয়েছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে কমিটি প্রকাশিত হয়।