
ছবি সংগৃহীত
বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে চলছে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে সমাবেশ করছেন শিক্ষকেরা। এরইমধ্যে সড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। হাইকোর্ট, পল্টন, গুলিস্তান কাকরাইলসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া এই সমাবেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের ব্যানারে অংশ নিয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীরা।
জোটের নেতারা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে দীর্ঘ আন্দোলনের পর তৎকালীন সরকার ৫ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ও ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয়, যা পরে কার্যকর হয়। তখন তাঁদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল পরবর্তী মেয়াদে জাতীয়করণ করা হবে। তবে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানালেও আগের সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি।
তাঁরা জানান, চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির মধ্যেই ২২তম দিনে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা উপদেষ্টা উৎসব ভাতা ২৫ শতাংশ বাড়ানো এবং আগামী বাজেটে বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও শ্রান্তি বিনোদন ভাতা কার্যকরের ঘোষণা দেন। বাজেটে এই বরাদ্দ থাকলেও এখনো সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি।
শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি না হলে ধারাবাহিক আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
এদিকে শিক্ষকদের ১০ জনের একটি প্রতিনিধি দল আলোচনার জন্যে সচিবালয়ে গিয়েছেন।