
নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল বড়বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটি ছাড়াই ১৫ দিন ধরে এক সহকারী শিক্ষিকা কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।
তাঁর পরিবর্তে পাঠদান করছেন একজন ডিগ্রি পড়ুয়া শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষিকা সুমাইয়া জাহান রিম্মির পরিবর্তে পাঠদান করছেন অর্পিতা আক্তার নামের এক ডিগ্রি পর্যায়ের শিক্ষার্থী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুমাইয়া জাহান রিম্মির স্থায়ী ঠিকানা রাজিবপুর, বটরগাতি, বলাইশিমুল ইউনিয়নে হলেও বর্তমানে তিনি নেত্রকোণার বনুয়াপাড়ায় বসবাস করছেন।
অভিযোগ রয়েছে, তিনি গত দুই মাস যাবত নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন না—মাঝে মাঝে এসে শুধু স্বাক্ষর করে চলে যান। স্থানীয় এক বাসিন্দা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, “রিম্মি ম্যাডাম মাসে পনেরো দিনে একবার আসেন, তাও শুধু সই করে চলে যান।”
বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “যারা স্কুল ফাঁকি দেয়, তারা ক্ষমতার জোরেই ফাঁকি দেয়। আমাদের মতো মানুষ খেটে খাই, শেষে আবার দোষের ভাগীদারও হই।”
অভিযুক্ত সুমাইয়া জাহান রিম্মির সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে জানতে চান, কে অভিযোগ করেছে, পরে ‘কল করছি’ বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাহান জানান, “রিম্মি একটু অসুস্থ, মানে প্রেগন্যান্ট। তাই ১৫ দিন ধরে আসছেন না। কয়েকজন শিক্ষক নেতার অনুরোধে ও মানবিক কারণে তাঁর জায়গায় আপাতত অর্পিতা পাঠদান করছেন।
তবে অফিসিয়ালি তিনি কোনো ছুটি নেননি।” উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. সবুর মিয়া বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেব।” উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমদাদুল হক তালুকদার জানান, “আমি শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে কথা বলব, যাতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।”