ঢাকা ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিধলী বাজারে সশস্ত্র হামলা, ৭ জন গুরুতর আহত ‎

বিশেষ প্রতিনিধি:
‎নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের সিধলী বাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে সাতজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের হাতের তিনটি আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

‎পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৬ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে সিধলী-শ্যামপুর অটোস্ট্যান্ড এলাকায় লুডু খেলাকে কেন্দ্র করে পূর্ববিরোধের জেরে বাপ্পি কবির ও ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে ২৫–২৭ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। লক্ষ্যবস্তু ছিলেন বিষমপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস ছাত্তার। হামলায় তার ডান হাতের তিনটি আঙুল কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

‎ছাত্তারের চিৎকারে আত্মীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা তাদের ওপরও চড়াও হয় এবং ধারালো রামদা ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে মোট সাতজন গুরুতর জখম হন।

‎আহতদের প্রথমে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তিনজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং আব্দুস ছাত্তারকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এদের মধ্যে দুইজন এখনো ময়মনসিংহ মেডিকেলে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।

‎ঘটনার পরদিন শুক্রবার (৭ আগস্ট) বিকেলে মারুফের চাচা বাদী হয়ে কলমাকান্দা থানায় মামলা করেন। এতে বাপ্পি কবির ও যুবদল নেতা সাইফুল ইসলামসহ একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

‎কলমাকান্দা থানার ওসি লুৎফুর জামান বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

মাহিন হত্যা মামলায় আরো এক আসামি গ্রেফতার হলো ফটিকছড়িতে

সিধলী বাজারে সশস্ত্র হামলা, ৭ জন গুরুতর আহত ‎

প্রকাশের সময় : ০৫:১৯:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫

বিশেষ প্রতিনিধি:
‎নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের সিধলী বাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে সাতজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের হাতের তিনটি আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

‎পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৬ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে সিধলী-শ্যামপুর অটোস্ট্যান্ড এলাকায় লুডু খেলাকে কেন্দ্র করে পূর্ববিরোধের জেরে বাপ্পি কবির ও ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে ২৫–২৭ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। লক্ষ্যবস্তু ছিলেন বিষমপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস ছাত্তার। হামলায় তার ডান হাতের তিনটি আঙুল কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

‎ছাত্তারের চিৎকারে আত্মীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা তাদের ওপরও চড়াও হয় এবং ধারালো রামদা ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে মোট সাতজন গুরুতর জখম হন।

‎আহতদের প্রথমে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তিনজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং আব্দুস ছাত্তারকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এদের মধ্যে দুইজন এখনো ময়মনসিংহ মেডিকেলে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।

‎ঘটনার পরদিন শুক্রবার (৭ আগস্ট) বিকেলে মারুফের চাচা বাদী হয়ে কলমাকান্দা থানায় মামলা করেন। এতে বাপ্পি কবির ও যুবদল নেতা সাইফুল ইসলামসহ একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

‎কলমাকান্দা থানার ওসি লুৎফুর জামান বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”