
, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা): নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের পাড়া দূর্গাপুর গ্রামে এক নারীকে মারধর ও শ্লীলতাহানির পর স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী নাজমা আক্তার (৩০)। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নাজমা আক্তারের স্বামী মোঃ আল-আমিন তার অনুমতি ছাড়াই শিল্পী আক্তার নামে এক নারীকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেন
। এ নিয়ে পারিবারিক বিরোধ চরমে উঠলে নাজমা একাধিক মামলা দায়ের করেন। এরই জেরে ৪ আগস্ট (সোমবার) বিকেলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার উপর হামলা চালানো হয় বলে দাবি করেন তিনি। নাজমা আক্তারের অভিযোগ, ঘটনার দিন তার ছেলে মোবাইলফোন নিয়ে পাশের বাড়িতে গেলে তিনি তাকে আনতে বের হন।
এ সময় বিবাদীরা – শিল্পী আক্তার, রোকসানা, রুমা, শাহ আলম ও খোকন মিয়া মিলে তাদের বাড়ির সামনের সরকারি কাঁচা রাস্তায় তাকে পথরোধ করে। এরপর ৪নং ও ৫নং বিবাদী শাহ আলম ও খোকন মিয়া তার পরনের কাপড় ধরে টানাটানি করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়। এ সময় ১নং বিবাদী শিল্পী আক্তার ধারালো কিরিচ দিয়ে নাজমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ মারেন।
কোপটি কানে গিয়ে লাগলে তিনি রক্তাক্ত জখম হন। এছাড়া ২নং বিবাদী রোকসানা বাঁশের লাঠি দিয়ে পিঠে ও কোমড়ে আঘাত করেন এবং ৩নং বিবাদী রুমা আক্তার পেটে ও তলপেটে লাথি ও ঘুষি মেরে নাজমাকে গুরুতর আহত করেন। হামলার এক পর্যায়ে ১নং বিবাদী তার কানে থাকা আনুমানিক ৫ আনা ওজনের স্বর্ণের দুল (মূল্য আনুমানিক ৫০,০০০ টাকা) এবং ৩নং বিবাদী রুমা গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন (মূল্য আনুমানিক ৮০,০০০ টাকা) ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
ভুক্তভোগী নাজমার আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, অভিযোগটি গ্রহণ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।