ঢাকা ১২:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ৫৭ শিক্ষকসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) প্রশাসন শান্তি মিছিলের নামে সহিংসতা, নিরীহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, নির্যাতন ও সামাজিক মাধ্যমে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে ১৫৪ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।

আজ সোমবার (৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. হেলাল উদ্দীন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ আগস্ট ‘শেখ হাসিনাতেই আস্থা’ শীর্ষক শান্তি মিছিলে অংশগ্রহণ ও গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে নিরীহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগে সিন্ডিকেটের ৩২৮তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ ঘটনায় মোট ১৫৪ জনকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন—৫৭ জন শিক্ষক, ২৪ জন কর্মকর্তা, ২১ জন কর্মচারী ও ৩১ জন শিক্ষার্থী।

শাস্তির ধরন অনুযায়ী শিক্ষকদের মধ্যে ছয়জনকে বরখাস্ত, ১২ জনকে অপসারণ, আটজনকে নিম্ন পদে অবনমন ও ৩১ জনকে তিরস্কার করা হয়েছে।

এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাতজনকে আজীবন বহিষ্কার ও ২৪ জনের সনদপত্র বাতিল করা হয়েছে।

২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর আশরাফুল হক হলে চার শিক্ষার্থীকে ছাত্রদল ও শিবির ট্যাগ দিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় আরও ২১ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় তিন শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার ও ১৫ জনের সনদপত্র বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে এক শিক্ষককে নিম্ন পদে অবনমন, একজনের বেতনবৃদ্ধি স্থগিত ও একজন কর্মকর্তাকে অপসারণ করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওই মিছিলে ‘এক দফার কবর দে’ ইত্যাদি উসকানিমূলক স্লোগান দিয়ে ক্যাম্পাসে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়। এতে শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ ব্যাহত হয় এবং বৈষম্যবিরোধী চলমান আন্দোলন বাধাগ্রস্ত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, তদন্ত কমিটি তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে শাস্তির সুপারিশ করেছে। সেই সুপারিশ সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদন পেয়েছে। তিনজন শিক্ষক এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট করলেও আদালত তা খারিজ করে দিয়েছেন। আজ থেকে সংশ্লিষ্টদের শাস্তির কাগজ দেওয়া শুরু হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Gojnobi biplob

Popular Post

মাহিন হত্যা মামলায় আরো এক আসামি গ্রেফতার হলো ফটিকছড়িতে

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ৫৭ শিক্ষকসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

প্রকাশের সময় : ০৮:০৬:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) প্রশাসন শান্তি মিছিলের নামে সহিংসতা, নিরীহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, নির্যাতন ও সামাজিক মাধ্যমে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে ১৫৪ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।

আজ সোমবার (৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. হেলাল উদ্দীন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ আগস্ট ‘শেখ হাসিনাতেই আস্থা’ শীর্ষক শান্তি মিছিলে অংশগ্রহণ ও গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে নিরীহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগে সিন্ডিকেটের ৩২৮তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ ঘটনায় মোট ১৫৪ জনকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন—৫৭ জন শিক্ষক, ২৪ জন কর্মকর্তা, ২১ জন কর্মচারী ও ৩১ জন শিক্ষার্থী।

শাস্তির ধরন অনুযায়ী শিক্ষকদের মধ্যে ছয়জনকে বরখাস্ত, ১২ জনকে অপসারণ, আটজনকে নিম্ন পদে অবনমন ও ৩১ জনকে তিরস্কার করা হয়েছে।

এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাতজনকে আজীবন বহিষ্কার ও ২৪ জনের সনদপত্র বাতিল করা হয়েছে।

২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর আশরাফুল হক হলে চার শিক্ষার্থীকে ছাত্রদল ও শিবির ট্যাগ দিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় আরও ২১ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় তিন শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার ও ১৫ জনের সনদপত্র বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে এক শিক্ষককে নিম্ন পদে অবনমন, একজনের বেতনবৃদ্ধি স্থগিত ও একজন কর্মকর্তাকে অপসারণ করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওই মিছিলে ‘এক দফার কবর দে’ ইত্যাদি উসকানিমূলক স্লোগান দিয়ে ক্যাম্পাসে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়। এতে শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ ব্যাহত হয় এবং বৈষম্যবিরোধী চলমান আন্দোলন বাধাগ্রস্ত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, তদন্ত কমিটি তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে শাস্তির সুপারিশ করেছে। সেই সুপারিশ সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদন পেয়েছে। তিনজন শিক্ষক এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট করলেও আদালত তা খারিজ করে দিয়েছেন। আজ থেকে সংশ্লিষ্টদের শাস্তির কাগজ দেওয়া শুরু হয়েছে।