
নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের কুমরুড়া গ্রামে পারিবারিক বিরোধের জেরে হিন্দু এক পরিবার গত ২৯ জুন থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
পরিবারটির সদস্যরা অভিযোগ করেন, প্রাণভয়ে তাঁরা ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে থাকতে বাধ্য হয়েছেন। এ বিষয়ে ৩ জুলাই কেন্দুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন খোকন চক্রবর্তীর বড় ভাই শিবনাথ চক্রবর্তী।
অভিযোগে কুমরুড়া গ্রামের মো. রাব্বি (৩০) এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৭-৮ জনকে অভিযুক্ত । অভিযোগে উল্লেখ করা হয়
বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রাণনাশের হুমকির কথা ।
ঘটনার পেছনে রয়েছে একটি পারিবারিক ইতিহাস। জানা গেছে, খোকন চক্রবর্তীর ছোট বোন সীমা রানী চক্রবর্তী ৯০ দশকের শুরুর দিকে একই গ্রামের আব্দুল খালেকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ধর্মান্তরিত হয়ে তিনি বর্তমানে ‘নূরুন্নাহার খানম’ নামে পরিচিত। মো. রাব্বি তাঁদেরই সন্তান। সরেজমিনে গিয়ে রাব্বির মা, খালা ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাব্বি তার মামারবাড়ি সূত্রে কিছু পারিবারিক দাবি উত্থাপন করেছেন।
তবে তা আদায়ে তিনি যে পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন, তা স্থানীয়দের মতে, অনভিপ্রেত। তাঁরা এ ঘটনাকে কোনোভাবেই সাম্প্রদায়িক কিংবা সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয় বলে মনে করছেন না। বরং বিষয়টিকে পারিবারিক মালিকানা ও উত্তরাধিকার সংক্রান্ত একটি অস্থায়ী বিরোধ বলেই তারা অভিহিত করেছেন।
শিবনাথ চক্রবর্তী মুঠোফোনে বলেন, আমার বোন ধর্মান্তরিত হয়েছে । সম্পত্তিতে তার ও তার ছেলের কোন অধিকার নেই । অথচ আমার বোনের ছেলে রাব্বি যা ইচ্ছে তাই করছে । এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” এদিকে এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, বিষয়টি যেন দ্রুত সমাধান হয় এবং উভয় পক্ষ শান্তিপূর্ণভাবে তাদের দৈনন্দিন জীবনে ফিরতে পারেন।