ঢাকা ১২:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কেন্দুয়ায় হাইদ ফিডের উদ্যোগে আধুনিক মাছ চাষ পদ্ধতি বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

 নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় হাইদ ফিড বাংলাদেশ লিমিটেড-এর উদ্যোগে “আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত মাছ চাষ পদ্ধতি উন্নয়ন” শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৮ জুন) সকাল ১০টায় কেন্দুয়া উপজেলা হলরুমে এ প্রশিক্ষণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন হাইদ ফিড বাংলাদেশ লিমিটেড-এর সিনিয়র সেলস এক্সিকিউটিভ তরিকুল ইসলাম তারেক। সভাপতিত্ব করেন কেন্দুয়া পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও হাইদ ফিডের স্থানীয় ডিলার জসিম উদ্দিন খোকন। প্রশিক্ষণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চীন থেকে আগত হাইদ ফিড বাংলাদেশ লি.-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তিয়ান বিং।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কোম্পানির হেড অফ এইচআর সুয়ে উই, হেড অফ অ্যানিমেল নিউট্রিশন লিউ ইয়াং লং, ম্যানেজার (অর্থ বিভাগ) লি চিয়াং, কান্ট্রি ডিরেক্টর রিয়াদ মিয়া, সহকারী ব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম ও সাব্বির হোসেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দুয়ার হাইদ ফিড ডিলার মো. সাইকুল ইসলাম, উজ্জ্বল আহমেদ খান, শফিউল আলম রেনু, কেন্দুয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল হাই সেলিম এবং বিভিন্ন ইউনিয়নের শতাধিক খামারি। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী রাজিবপুর গ্রামের খামারি আওয়াল মিয়া বলেন, “হাইদ ফিড খুবই উন্নতমানের। আমি খামারে ব্যবহার করে আশানুরূপ সাফল্য পেয়েছি।

প্রধান অতিথি তিয়ান বিং তার বক্তব্যে বলেন, “হাইদ ফিড বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত একটি ব্র্যান্ড। বাংলাদেশে খামারিরা যাতে কম খরচে বেশি উৎপাদন করতে পারেন, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।” তিনি আরও বলেন, হাইদ ফিড ব্যবহারে চাষিরা লাভবান হচ্ছেন এবং ভবিষ্যতে এ খাতে আরও নতুন প্রযুক্তি যুক্ত করা হবে। সভাপতির বক্তব্যে জসিম উদ্দিন খোকন বলেন, “আমি একজন ব্যবসায়ী হলেও রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। দেশের খামারিদের মঙ্গলের কথা মাথায় রেখেই হাইদ ফিডের মতো মানসম্পন্ন খাদ্য সরবরাহে আমরা সচেষ্ট।

তিনি কেন্দুয়ায় একটি আধুনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্থাপনের পরিকল্পনার কথা জানান এবং সাধারণ মানুষের জন্য ৫০% খরচে চিকিৎসা সেবা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। প্রশিক্ষণ শেষে হাইদ ফিড লিমিটেড আয়োজিত র্যাফেল ড্রতে প্রথম পুরস্কার হিসেবে একটি ১০০ সিসি হিরো স্প্লেন্ডার হোন্ডা বাইকসহ ৫০ জন খামারিকে পুরস্কৃত করা হয়। প্রথম পুরস্কার বিজয়ী হন মাসকা পানগাঁও গ্রামের আনিসুল। খামারিদের উন্নয়নে এই প্রশিক্ষণ সভা এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং মাছ চাষ খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Gojnobi biplob

Popular Post

মাহিন হত্যা মামলায় আরো এক আসামি গ্রেফতার হলো ফটিকছড়িতে

কেন্দুয়ায় হাইদ ফিডের উদ্যোগে আধুনিক মাছ চাষ পদ্ধতি বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

প্রকাশের সময় : ১১:২৪:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

 নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় হাইদ ফিড বাংলাদেশ লিমিটেড-এর উদ্যোগে “আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত মাছ চাষ পদ্ধতি উন্নয়ন” শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৮ জুন) সকাল ১০টায় কেন্দুয়া উপজেলা হলরুমে এ প্রশিক্ষণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন হাইদ ফিড বাংলাদেশ লিমিটেড-এর সিনিয়র সেলস এক্সিকিউটিভ তরিকুল ইসলাম তারেক। সভাপতিত্ব করেন কেন্দুয়া পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও হাইদ ফিডের স্থানীয় ডিলার জসিম উদ্দিন খোকন। প্রশিক্ষণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চীন থেকে আগত হাইদ ফিড বাংলাদেশ লি.-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তিয়ান বিং।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কোম্পানির হেড অফ এইচআর সুয়ে উই, হেড অফ অ্যানিমেল নিউট্রিশন লিউ ইয়াং লং, ম্যানেজার (অর্থ বিভাগ) লি চিয়াং, কান্ট্রি ডিরেক্টর রিয়াদ মিয়া, সহকারী ব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম ও সাব্বির হোসেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দুয়ার হাইদ ফিড ডিলার মো. সাইকুল ইসলাম, উজ্জ্বল আহমেদ খান, শফিউল আলম রেনু, কেন্দুয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল হাই সেলিম এবং বিভিন্ন ইউনিয়নের শতাধিক খামারি। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী রাজিবপুর গ্রামের খামারি আওয়াল মিয়া বলেন, “হাইদ ফিড খুবই উন্নতমানের। আমি খামারে ব্যবহার করে আশানুরূপ সাফল্য পেয়েছি।

প্রধান অতিথি তিয়ান বিং তার বক্তব্যে বলেন, “হাইদ ফিড বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত একটি ব্র্যান্ড। বাংলাদেশে খামারিরা যাতে কম খরচে বেশি উৎপাদন করতে পারেন, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।” তিনি আরও বলেন, হাইদ ফিড ব্যবহারে চাষিরা লাভবান হচ্ছেন এবং ভবিষ্যতে এ খাতে আরও নতুন প্রযুক্তি যুক্ত করা হবে। সভাপতির বক্তব্যে জসিম উদ্দিন খোকন বলেন, “আমি একজন ব্যবসায়ী হলেও রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। দেশের খামারিদের মঙ্গলের কথা মাথায় রেখেই হাইদ ফিডের মতো মানসম্পন্ন খাদ্য সরবরাহে আমরা সচেষ্ট।

তিনি কেন্দুয়ায় একটি আধুনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্থাপনের পরিকল্পনার কথা জানান এবং সাধারণ মানুষের জন্য ৫০% খরচে চিকিৎসা সেবা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। প্রশিক্ষণ শেষে হাইদ ফিড লিমিটেড আয়োজিত র্যাফেল ড্রতে প্রথম পুরস্কার হিসেবে একটি ১০০ সিসি হিরো স্প্লেন্ডার হোন্ডা বাইকসহ ৫০ জন খামারিকে পুরস্কৃত করা হয়। প্রথম পুরস্কার বিজয়ী হন মাসকা পানগাঁও গ্রামের আনিসুল। খামারিদের উন্নয়নে এই প্রশিক্ষণ সভা এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং মাছ চাষ খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।